Maikhana E Jahangir

হাজার, হাজার বছর আগে থেকে প্রচলিত , জীবাত্মা ও পরমাত্মার ভেদ রহস্যের পরিচয় জানবার মত ও পথকেই বলা হয় সুফিবাদ। জ্ঞানের স্বল্পতায় সুফিবাদটিকে যুগে যুগেই সংকীর্ণতার অবগুণ্ঠনে ম্রিয়মাণ করেছে এবং সংকীর্ণতার দর্শনের উপর সার্বজনীন সুফিবাদ দর্শনটির প্রলেপ দেয়া হয়েছে। কেয়ামত দর্শনটি না বোঝার দরুনই বারবার হোঁচট খেয়েছে মানব সভ্যতার ইতিহাসে। পাবার দর্শন তথা ভোগের দর্শন এবং হারাবার দর্শন তথা ত্যাগের দর্শন __ দুটি দুই প্রান্তে অবস্থান করে‌। ভোগের দর্শনের উপর দাঁড়িয়ে ত্যাগের দর্শনটির কথা বলা অনেকটা হাস্যকর। সুফিবাদের দর্শনে বৈষয়িক সুখ ও সম্পদ থাকে না বরং প্রতিটি ধাপে ধাপে ত্যাগের কোরবানি করে অগ্রসর হতে হয়। সুতরাং এই সুফিবাদী দর্শন খুব কম লোকেই গ্রহণ করে নিতে পারে। বিংশ এবং একবিংশ শতাব্দীর অপ্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী গবেষক এবং সুফিবাদ আত্ম পরিচয়ের একমাত্র পথ এ দর্শনের অন্যতম পথিকৃৎ এবং এই সুফিবাদী দর্শনের যিনি জলন্ত সূর্য, আসরারে মাজ্জুব, হেরমায়ে আবদাল, জানজিরে বেখুদি, সাগীরে আজম, নূরে তাবাসসুম, নিগাহে সারাপা, শাহ্ সুফি সৈয়দ চেরাগে জান শরীফ কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী।