Mom N Daughter Life
Positive Vibes Only ♥️♥️
বাপের বাড়িতে এখন এই ভাবেই বুঝে শুনে কথা বলি, নাহলেই বিপদ চলে আসবে।
বাবা,রিয়া আর দাদার ওপর রেগে গেলো,আমি গিয়ে মুগ্ধ কে রাখলাম,রাত 12 টায় ফিরলো ওরা।
মুগ্ধর পাপা মানে দাদা কে ধরলাম চেপে, অনেকে ছাড় দিয়েছি আর না।সাথে ছিল দেবলীনার বাবাও।
আমি একটা বাচ্চা বড় করেছি,বুঝবো না কিভাবে বাচ্চা রাখতে হয়?রিয়ার বাধা দেওয়া আমার খুব খারাপ লাগে
রাতের কিছু ভালো অভ্যেস আমাদের জীবনে পজিটিভিটি এনে দিতে পারে,সেগুলোই আজ শেয়ার করলাম।
পিসি শাশুড়ির বাড়ি গেলাম বাবা মা কে আনতে,গ্রামের অপরূপ দৃশ্য যত দেখি আমি মুগ্ধ হয়ে যাই।
আমার ওপর অত্যাচার করে আমাকে বাধ্য করে এই সব করতে,বরের জন্যে করতেই হয় আর কি করবো।
এই সুখবর তোমাদের না দিলেই নয়,আমি জানি তোমরা শুনে খুশি ই হবে।দেখা যাক আগে কি হয়।
নিজেই মেনে নিতে পারছি না,নিজেকে দিয়েই প্রমাণ পেলাম পরিশ্রম ই সফলতা এনে দেয়।
টোটো করে মেয়ে আর আমি বেরিয়ে পরলাম,ঝাড়লেই সোনা বেরোবে এমন টাওয়াল আনলো দোকান থেকে।
নরম মনের মানুষ হওয়া যে কতটা কষ্টকর সেটা হারে হারে টের পাচ্ছি, পাল্টাতেও পারি না।
হঠাৎ করেই কেনো আমার সাথে এই রকম হচ্ছে জানিনা,জীবনের ছন্দ যেনো হারিয়ে যাচ্ছে।
ওয়ার্ডরোব থেকে পাহাড় বের করলাম,এদিকে বর মশাই তাড়াহুড়ো করছে সব গুছিয়ে নেওয়ার জন্যে।
বেড রুমে রান্না শুরু করলাম,এবার নতুন করে রান্না ঘর বানাবো ঘরের মধ্যেই।
কিছু স্মৃতি জড়ো করে রাখলাম জীবনের পাতায়⛰️♥️
বর মশাই বললো এবারে ফ্ল্যাট কিনে দেবে আমাকে,এই ভাবেই স্বপ্ন পূরণ হবে একদিন আমার।
না বলতে চেয়েও কথা গুলো শেষে বলেই ফেললাম,ডিলিট অপশন যদি আমাদের জীবনেও থাকতো খুব ভালো হতো।
ডাক্তার বাবু বললেন মেয়ের চোখের খুব খারাপ অবস্থা, এদিকে বাপের বাড়ি গিয়ে সারাদিন থাকলাম।
দিনের শেষে মেয়ের সাথে এমন হবে ভাবতেই পারিনি,পাগলের মতো দৌরালো মেয়ে টা আমার।
এক রাশ মন খারাপ নিয়ে ফিরলাম বাড়ি,রাস্তায় বার বার গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম,পাহাড়ি নদীতে নামলাম।
এক টুকরো পাহাড়!!প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে একটা রাত কাটিয়ে এলাম পাহাড়ের কোলে |Jhalong|⛰️🌄
ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিলাম,সকাল হতেই বেরিয়ে পড়বো পাহাড়ের ডাকে সাড়া দিতে।
রিয়ার সামান্য কৃতজ্ঞতা বোধ টুকুও নেই,আমার জন্যে অপেক্ষা ও করলো না।শশুর বাড়ী ফিরে এলাম একদিনেই।
এক্ষুনি বিপদ ঘটে যাচ্ছিলো গো,বেঁচে গেলাম,তারপর বাপের বাড়ি গেলাম রাতে থাকবো বলে।
বড় দাদা ফোন করে ডেকে নিয়ে কাজে বসিয়ে দিলো আমাকে,হুলুস্থুল অবস্থা গিয়ে দেখি।
মেয়ে নতুন জেদ শুরু করেছে,যেটা আমি পূরণ করতে পারছি না তাই মামা কে ধরেছে। সারপ্রাইজ পছন্দ হয়নি ওর।
বাপের বাড়িতে মেয়ে বসতেই দিলো না ,চলে আসতে হলো,এদিকে হাঁসের ডিম রান্না করেছি শুনে খুব খুশি।
হঠাৎ করেই বড় বৌদি ফোন করে বললো টুনির দিদুন বাড়ি যেতে,গিয়ে দেখি জন্মদিনের অনুষ্ঠান।
রিয়ার এই কাজ গুলোই আমার খারাপ লাগে,বলে বলে ওঠানো যায় না ওকে,মনের মত করে মালিশ করলাম মুগ্ধ কে।
মুগ্ধ কে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাবো ভেবেও পরে নিয়ে গেলাম না,সারাদিন খোজ নিতে থাকলাম।