বিটরুটের বানিজ্যিক চাষ - Commercial cultivation of beetroot
Автор: Around of Bengal
Загружено: 2025-03-20
Просмотров: 1292
@shykhseraj
up 16/2/25
ভূমিকা
বিটরুট একটি জনপ্রিয় সবজি, যা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক ফসল। এটি মূলত শীতপ্রধান অঞ্চলে ভালো জন্মালেও বর্তমানে উষ্ণ জলবায়ুতে চাষ করা সম্ভব হচ্ছে। বিটরুটের মূল অংশ খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এটি সালাদ, জুস, সূপ, আচারসহ বিভিন্ন খাদ্যে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে বিটরুটের চাষ দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
মাটির ধরণ ও আবহাওয়া
বিটরুট চাষের জন্য দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। মাটির pH মান ৬.০ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে হলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না, তাই উঁচু ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকা জমিতে চাষ করা উচিত। বিটরুটের ভালো ফলনের জন্য ১৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপযুক্ত।
জাত পরিচিতি
বিটরুটের বিভিন্ন উন্নত জাত রয়েছে, যেমন:
ডেট্রয়েট ডার্ক রেড - উজ্জ্বল লাল রঙের এবং বেশি উৎপাদনশীল।
ক্রিমসন গ্লোব - আকর্ষণীয় গোলাকার আকার ও মিষ্টি স্বাদের।
রুবি কুইন - দ্রুত বর্ধনশীল ও উচ্চ ফলনশীল।
বোল্ডর - উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল জাত।
জমি প্রস্তুতি
বিটরুটের ভালো ফলনের জন্য জমি ভালোভাবে চাষ করা গুরুত্বপূর্ণ। জমি ৩-৪ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হয়। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি একর জমিতে ৮-১০ টন গোবর সার মেশানো যেতে পারে।
বীজ বপনের সময় ও পদ্ধতি
বীজ বপনের আদর্শ সময় শীতকাল, সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সরাসরি বপন পদ্ধতি: সারি করে বা ছিটিয়ে বীজ বপন করা যায়। সারিতে চাষ করলে সারির দূরত্ব ৩০-৪৫ সেমি এবং গাছের দূরত্ব ১০-১৫ সেমি রাখতে হয়।
চারা তৈরি করে রোপণ: পলিথিন ব্যাগ বা নার্সারিতে চারা তৈরি করে পরে জমিতে রোপণ করা যেতে পারে।
সার ব্যবস্থাপনা
বিটরুটের উচ্চ ফলনের জন্য সুষম সার ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি একর জমির জন্য:
ইউরিয়া: ৪০-৫০ কেজি
টিএসপি: ২৫-৩০ কেজি
এমওপি: ৩০-৩৫ কেজি
জিপসাম: ১৫-২০ কেজি
জিঙ্ক ও বোরন সার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হয়।
পানি ও সেচ ব্যবস্থাপনা
বিটরুট চাষে নিয়মিত পানি সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম সেচ: বীজ বপনের পরপরই হালকা পানি দিতে হয়।
দ্বিতীয় সেচ: বীজ অঙ্কুরোদগমের পর দিতে হয়।
পরবর্তী সেচ: ৭-১০ দিন অন্তর অন্তর পানি দিতে হয়।
আগাছা ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা
আগাছা নিয়ন্ত্রণ:
আগাছা নিয়মিত হাত দিয়ে তুলে ফেলতে হবে।
মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে আগাছা কম হবে।
রোগ ও প্রতিকার:
পাতার দাগ রোগ: কার্বেনডাজিম বা কপার অক্সিক্লোরাইড স্প্রে করা যেতে পারে।
শিকড় পচা: ট্রাইকোডার্মা ব্যবহার করা যেতে পারে।
পোকামাকড়: জৈব কীটনাশক বা ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ
বীজ বপনের ৮০-১০০ দিনের মধ্যে বিটরুট সংগ্রহ উপযোগী হয়।
মূলগুলোর আকার ৫-১০ সেমি হলে তুলতে হবে।
ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করলে বেশি দিন ভালো থাকে।
বাজারজাতকরণ
বিটরুটের বাজার চাহিদা ভালো। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে রস, আচার, গুঁড়ো তৈরি করে বিক্রি করা যেতে পারে।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: