আলহামদুলিল্লাহ,, আমাদের খামারের সব প্রাণীকে"রানীক্ষেতের” ভ্যাকসিন দিলাম, 🐦🐓💉A TO Z
Автор: KAYENAT AGRO
Загружено: 2025-12-20
Просмотров: 120
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ। একটি সফল খামার পরিচালনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো রোগ প্রতিরোধ করা। আর তাই, আজকে আমরা আমাদের খামারের একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ—রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া—আপনাদের সাথে শেয়ার করব, ইনশাআল্লাহ।
আপনারা জানেন, খামারের মুরগি, কবুতর, কোয়েল পাখিগুলোকে সুস্থ রাখতে সময়মতো এই ভ্যাকসিন দেওয়া খুবই জরুরি। আমরা ধাপে ধাপে দেখাবো কিভাবে এই কাজটি করা হয়। আশা করি, আপনারা পুরো প্রক্রিয়াটি মনোযোগ দিয়ে দেখলে, আপনাদের নিজেদের খামারের সুরক্ষার জন্য সামান্য কিছু হলেও শিখতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ।
ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ার জন্য প্রথমেই আমাদের সঠিক প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা এখানে BCRDV ( রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন) এবং এর জন্য নির্ধারিত নির্দিষ্ট সলভেন্ট নিয়েছি।
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন: এই ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত করার সময় যেন সূর্যের আলো বা অতিরিক্ত তাপ না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ রানীক্ষেত ভ্যাকসিন একটি লাইভ ভাইরাস ভ্যাকসিন—এটি তাপ এবং আলোতে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
এরপর, আমরা নির্দেশিকা অনুযায়ী পরিমাণমতো ভ্যাকসিন এবং সলভেন্ট ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে প্রস্তুত করে নিয়েছি।
ভ্যাকসিন প্রস্তুত হয়ে গেলে, আমরা এবার সঠিক পদ্ধতিতে তা প্রয়োগ করব। প্রথমেই আমরা আমাদের টাইগার মুরগিগুলোকে দিয়ে শুরু করলাম।
প্রতিটি মুরগিকে আমরা চোখে এক ফোঁটা এবং মুখে এক ফোঁটা করে ভ্যাকসিন দিলাম। এটিই রানীক্ষেত ভ্যাকসিন প্রয়োগের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
টাইগার মুরগিগুলোর পর, আমরা একই নিয়মে আমাদের ফাওমি মুরগিগুলোকেও ভ্যাকসিন দেওয়া শেষ করলাম। মনে রাখবেন, প্রতিটি পাখির জন্য ডোজের পরিমাণ যেন সঠিক থাকে।"
মুরগিদের চোখে-মুখে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর, এবার আমরা কোয়েল পাখিদের ভ্যাকসিনেশন শুরু করলাম। কোয়েল বা অন্যান্য ছোট পাখিদের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যখন সংখ্যা বেশি থাকে, তখন পানির সাথে মিশিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া একটি সহজ পদ্ধতি।
এই পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আমরা আগের রাত থেকেই কোয়েল পাখিদের পানির পাত্র সরিয়ে রেখেছিলাম। কেন? কারণ পাখিকে সামান্য জলশূন্য (Dehydrated) রাখলে তারা সকালে দ্রুত ও আগ্রহের সাথে ভ্যাকসিনযুক্ত পানি পান করে।
ভ্যাকসিনের ডোজ, আমরা আমাদের ৮৫টি পাখির জন্য ১ লিটার পানিতে ২০০ ফোঁটা ভ্যাকসিন মিশিয়েছি। এই ডোজটি পাখির বয়স এবং মোট পানির চাহিদা অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় রাখতে হবে।
এরপর, সকালে সেই ভ্যাকসিনযুক্ত পানি খেতে দিয়েছি। খেয়াল রাখবেন, ভ্যাকসিনযুক্ত পানি দেওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর সেই পানি দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে। কারণ ভ্যাকসিন মেশানো পানি দীর্ঘ সময় থাকলে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই সাথে সাথেই সাদা পরিষ্কার পানি দিয়ে দিতে হবে।"
এরপর আমরা আমাদের দেশি মুরগিগুলোকেও একই প্রক্রিয়ায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজটি সম্পন্ন করলাম। দেশি মুরগিগুলোকেও আমরা চোখে এক ফোঁটা এবং মুখে এক ফোঁটা করেই দিয়েছি।
একইসাথে, আমাদের কবুতরগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা কোয়েলের মতো পানির সাথে মিক্স করে সেই পানি খেতে দিয়েছিলাম। কবুতর বা পোল্ট্রি, উভয়ের জন্যই মনে রাখা ভালো, পানির মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে অবশ্যই পাখিদের পানিশূন্য করে নিতে হবে এবং সময়মতো সেই পানি সরিয়ে সাদা পানি দিয়ে দিতে হবে। এতে ভ্যাকসিনের সঠিক ডোজ গ্রহণ নিশ্চিত হয়।"
আলহামদুলিল্লাহ।এই পুরো প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আমরা আজ আমাদের খামারের রানীক্ষেত ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন করলাম।
আশা করি, আজকের এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি দেখে আপনারা আপনাদের খামারের সুরক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা লাভ করেছেন। ভ্যাকসিনেশন আপনার খামারকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
যাই হোক, আপনারা সকলেই আমাদের খামারের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ পাক যেন আমাদের এই কাজে এবং আমাদের খামারে বারাকা দান করেন।
দেখা হবে খামার সংক্রান্ত নতুন কোনো শিক্ষণীয় ভিডিওতে। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।"
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: