সঙ্গীত শিক্ষা 🔴 সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য 🔵 বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে ••••

সঙ্গীত শিক্ষা 🎹 মানে শুধু - গান শেখা নয় । এ শিক্ষায় নৈতিকতা - মূল্যবোধ ও মানুষের প্রতি সহনশীল হতে শেখানো হয় । এছাড়াও , এতে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ - মননশীলতা ও মানসিক স্বাস্হ্য ভালো রাখার বিষয়ে শেখানো হয় 🔴

সঙ্গীত শিক্ষক ফেরদৌস স্যারের মতে --সঙ্গীত হলো বিভিন্ন জ্ঞানী - ‍গুণী ও মনিষীদের জ্ঞানমূলক ও অর্থবহ কথা যা তাল লয় ও সুরের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় ||
ঃ সারা বিশ্বের ইতিহাস জুড়ে সঙ্গীতকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব সৃষ্টি বলা হয়েছে ।

----- সঙ্গীত আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এটি কেবল একটি মজার সময় কাটানোর জন্য নয় বরং এটি একটি দুর্দান্ত মানসিক চাপ দূর করার জন্যও কাজ করে।

সঙ্গীত মানব জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এটি একজন ব্যক্তির জীবনে সুখ এবং আনন্দ ছড়িয়ে দেয়। ভালো সঙ্গীত আমাদের জীবনে আত্মার প্রশান্তি দেয় । আমাদের বাংলা সঙ্গীতের বিশাল ভান্ডারে রয়েছে - সরগম, রাগ- রাগিনী , খেয়াল , তান , নজরুল সঙ্গীত , রবীন্দ্র সঙ্গীত , লালন গীতি , হাসন রাজার গান , উকিল মুন্সির গান , বাউল আবদুল করিমের গান , ভাটিয়ালী , ভাওয়াইয়া , দেশের গান , পল্লী গীতি , ইসলামী গান , আধ্যাত্মিক গান , সমাজ সচেতনতামূলক গান ইত্যাদি ।

শুদ্ধ ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে আমাদের আধ্যাত্মিক চেতনা জাগ্রত হয় ।
ফলে যারা -সঙ্গীত শিক্ষা করে তারা মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে ।

শুদ্ধ ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্পর্কে যাদের ন্যূনতম ধারণা নেই তারা এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে সক্ষম হবে না ।

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে , সঙ্গীত শিক্ষা --- একাডেমিক পারফর্মেন্স, স্বাস্থ্য, সুস্থতা, একাগ্রতা এবং স্মৃতিশক্তির মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে। সঙ্গীত একটি শক্তিশালী থেরাপি যা আপনাকে আরাম করতে এবং আনন্দের সাথে সাথে আপনাকে আলোকিত করতে সাহায্য করতে পারে।

অন্যদিকে, ছাত্রজীবন একটু অপ্রতিরোধ্য হতে পারে যেখানে সঙ্গীত বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। সঙ্গীত আপনার মনকে প্রশান্ত করে এবং আপনাকে সম্পূর্ণরূপে পুনরুজ্জীবিত করে। সঙ্গীত শিক্ষার্থীদের মনকে প্রসারিত করতে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে এবং শিক্ষাদান এবং সঙ্গীতকে একত্রিত করে, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা এবং একাডেমিক গ্রেড বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারেন ।

শিক্ষার্থীরা যখন সঙ্গীত শোনে তখন তাদের মধ্যে আত্মিকতার অনুভূতি জাগে এবং সঙ্গীত তাদের পড়াশোনার সময়ও মনোযোগী থাকতে উৎসাহিত করে। একটি বাদ্যযন্ত্র শেখা শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি উন্নত করে দ্বিতীয় ভাষা শিখতেও সাহায্য করতে পারে। সঙ্গীত মানুষকে একত্রিত করার একটি শক্তিশালী ক্ষমতা রাখে। শিক্ষার্থীরা যদি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ হিসাবে সঙ্গীতকে বেছে নেয়, তাহলে তারা তাদের উৎসাহ ভাগ করে নেওয়া অন্যান্য তরুণদের সাথে বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হবে।

বিশ্বজুড়ে ৩৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগছেন এবং তাদের মধ্যে ৯০% অনিদ্রায় ভুগছেন। ঘুমের গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শোনেন তাদের মধ্যে বিষণ্ণতার লক্ষণগুলি মূলত হ্রাস পেয়েছে।

একটি গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ৪ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের সাথে এক মাস সঙ্গীত পাঠের পর, ৯০% শিশুদের শব্দ বোঝার এবং তাদের অর্থ ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।

অন্য গবেষণায় দেখা গেছে যে সঙ্গীতে প্রশিক্ষিত শিশুরা মৌখিক স্মৃতি পরীক্ষা সম্পন্ন করার সময় যারা সঙ্গীতে জড়িত ছিল না তাদের চেয়ে বেশি পারফর্ম করেছে ।

সঙ্গীত শিক্ষক ফেরদৌস স্যার 🔴 01902- 41 38 12