একই পরিবারের ১২ জনের মুখে দাড়ি অবহেলায় বেঁচে থাকার এক ভিন্নতার গল্প
Автор: DBD NEWS
Загружено: 2025-11-20
Просмотров: 13
একই পরিবারের ১২ জন সদস্যের মুখে অস্বাভাবিক দাড়ি গজানোর কারণে তারা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছেন সামাজিক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ও তিরস্কারের।
জন্মের পর থেকেই তারা অন্য সবার মতো সাধারণ জীবন পায়নি। মুখে দাড়ি থাকায় এলাকার মানুষ তাদের দিকে তাকায় কৌতূহলের চোখে, কেউ হাসে, কেউ ব্যঙ্গ করে। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যেতে ভয় পায়, কারণ সহপাঠীরাও তাদের আলাদা চোখে দেখে। জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ঘুষের চর গ্রামে ঘটে এমন বিরল ঘটনা।
অভাব-অনটনে তারা থাকেন একটি ছোট্ট ঘরে—যেখানে আছে শুধুই বেঁচে থাকার চেষ্টা। প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙে নতুন কষ্টের আশঙ্কায়… আজ কোথাও কাজ পাবে তো? নাকি আজও কেউ বলবে—“এই লোককে নেব না, এ তো অস্বাভাবিক!”
পরিবারের মেয়েদের কষ্ট যেন আরো ভয়াবহ। অনেকের বিয়ে হলেও মুখে দাড়ি থাকার কারণে শশুর-শাশুড়ির ঘরে তারা যেন গ্রহণযোগ্য নয়। কথা কাটাকাটি, অপমান, অবিশ্বাস—শেষ পর্যন্ত অনেকেই স্বামীর সংসার করা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
কেউ কেউ চোখ ভিজিয়ে বলেন—
“আমরা কি মানুষ না? আমাদের দোষ কোথায়? জন্মের পর থেকে মুখে দাড়ি, এর জন্য কি আমাদের জীবন ভেঙে যেতে হবে?”
এই পরিবারটি শুধু অভাবের নয়, সামাজিক অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার। চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ নেই, কারও দ্বারে গেলে বলা হয়—“এগুলো নাকি আল্লাহর গজব।”
কিন্তু গজব নয়—এটা একটি বিরল শারীরিক সমস্যা। আর সবচেয়ে বড় কথা—এগুলো নিয়ে হাসাহাসি করার অধিকার কারও নেই।
আজ আমাদের সমাজে মানবতা বড় বেশি জরুরি। এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো শুধু সহানুভূতি নয়, এটি একটি দায়িত্ব। তাদেরও অধিকার আছে সম্মান নিয়ে বাঁচার, নিজের মতো করে জীবন গড়ার, আবার হাসিমুখে মানুষের সামনে দাঁড়ানোর।
শেষে শুধু একটি কথাই বলতে চাই—
ভিন্নতা কারও অপরাধ নয়।
মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখলে—সমাজই সুন্দর হবে।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: