Esechile Tobu Asho Nai – Debabrata Biswas (Private Recording, 1959)
Автор: jghosh64 @ Debabrata Biswas
Загружено: 2025-11-29
Просмотров: 672
আজকে যে গানটি দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠে আপনারা শুনবেন সেটি নীলাদ্রি ও রাণু চাকীর সংগ্রহ থেকে রাণুদির অনুমতিক্রমে নেওয়া। গানটি দেবব্রত বিশ্বাস টেপ করে দিয়েছিলেন নীলাদ্রি ও রাণু চাকীকে আজ থেকে বহুদিন পূর্বে - সেই ১৯৫৯ সনে। এই গানটি এইবারে আপলোড করছি ফোনে রাণুদিকে বলা মাত্রই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন রাণুদি। বললেন, “ওরে এই গানটা তো আমার সামনে বসে গেয়েছিলেন জর্জদা। আমায় বললেন, ‘কি গান শুনবে?’ আমি বললাম, ‘আপনার যেটা খুশী’। আসলে যে গানই উনি করুন না কেন, সেটাই তো পরম প্রাপ্তি।“ তারপর খুলে বসলেন স্মৃতির ঝাঁপি। বললেন, “জানিস জর্জদা আমাদের চাকী বাড়িতে কতবার এসে খিচুড়ি খেয়েছেন? খুব ভালোবাসতেন খিচুড়ি খেতে।“
“আর জানিস তো মেয়েরা ওঁকে হাত কেটে নিজেদের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখত। উনি আমাকে বলতেন, ‘কও দেখি এগুলা নিয়া কি করি? জর্জ বিশ্বাসেরে তো চোখে দ্যাখে নাই… দ্যাখলে faint হইয়া যাইত।‘“ তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে রাণুদি বললেন, “মঞ্জুশ্রী চাকীর ‘নবনৃত্য’ যতটা ওঁর creativity, ততটাই জর্জদার। এই নিয়ে দুজনের বহু আলোচনা, আবার কখনো বহু তর্কাতর্কিও হত। জর্জদা বলতেন, ‘পার্বতীর (মঞ্জুশ্রীর স্বামী) সঙ্গে তো সারা পৃথিবী ঘুরিস। যেখানে যা ভালো dance form দেখবি, নিজের নৃত্যশৈলীর মধ্যে তা integrate করে নিবি। তবেই তোর নাচ উন্নততর হবে। আর জানবি, আমি তোর পাশে আছি, ছিলাম, থাকবো। তুই নির্দ্বিধায় এগিয়ে পড়।‘”
“রঞ্জাকে বড় ভালোবাসতেন রে জর্জদা। তোরা তো রঞ্জাবতী চাকী সরকারকে নৃত্যশিল্পী হিসাবে জানিস। এটা কি জানিস ও জর্জদার সঙ্গে ডুয়েট গানও গেয়েছে? আমার কাছে আছে রেকর্ড করা সেই গান। রঞ্জা আর জর্জদা একসঙ্গে গাইছে – আমি যে গান গাই জানি নে সে কার উদ্দেশে।“
আমি বিভোর হয়ে রাণুদির কথা শুনছি। স্মৃতির অর্গল খুলে রাণুদি বলে চলেছেন তাঁর জীবনে দেখা নানা মানুষের স্মৃতিকথা। জর্জদা ছাড়িয়ে কখনো তা রাণুদির সহপাঠী শাঁওলী মিত্র, কখনো বা শম্ভু মিত্র, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, যোগেন চৌধুরী, লেডি রাণু মুখার্জি, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋত্বিক ঘটক – কে নেই সে এনেকডোটে। কত মধুর স্মৃতি, কত দুঃখের স্মৃতি, কত হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া স্মৃতি – আসলে সেই হারিয়ে যাওয়া বাঙালীর রেনেসাঁর যুগটাকে তো পরতে পরতে উপভোগ করেছেন, উপলব্ধি করেছেন রাণুদি – তাই স্মৃতির সাগরে যখনই ডুব দেন তখনই মণিমুক্ত উঠে আসে। রাণুদির সাথে কথা বলা মানে যেন এক প্রাচীন সিনেমা হলে সেই হারিয়ে যাওয়া দিনগুলিকে সেলুলয়েডে ফিরে দেখা। না জানা নানা টুকরো কাহিনীর মাঝে বার বার নিজেকে হারিয়ে ফেলা। সেই সব কাহিনী নিয়ে হয়তো আবার ফিরে আসব আরেক দিন।
আজ এই পর্যন্ত…
নমস্কারান্তে,
জয়ন্তানুজ ঘোষ
২৯শে নভেম্বর, ২০২৫
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: