জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ @ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী
Автор: IQMA TV BD
Загружено: 2020-12-24
Просмотров: 1830
ইমাম তাহাভী রহি’মাহুল্লাহ বলেন, “মুসলমানদের ইমাম (খলিফাহ, আমীর বা শাসকের) নেতৃত্বে কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদের বিধান চালু থাকবে। কোন কিছুই জিহাদকে বাতিল বা রহিত করতে পারবে না।” শরহে আকীদাতুত-তাহাভীঃ ৩৮১ পৃষ্ঠা।
আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক, যতক্ষণ পর্যন্ত না ফিতনা (কুফর, শির্ক) শেষ হয়ে যায় এবং আল্লাহর দ্বীন সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্যেই হয়ে যায়।” আনফালঃ ৩৯।
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমাকে মানুষের সাথে জিহাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা এই সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসুল এবং তারা সালাত প্রতিষ্ঠা না করবে ও যাকাত না দিবে। যখন তারা উপরের কাজগুলো সম্পাদন করবে তখন তারা আমার হাত থেকে নিজেদের জান ও মাল নিরাপদ করে নিল।”
ক্বুরআন ও হাদীস গবেষণার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, জিহাদ মোট পাঁচ প্রকার।
১) নফসের সাথে জিহাদ করা
২) শয়তানের বিরুদ্ধে জেহাদ করা
৩) পাপী মুসলমানদের সাথে জেহাদ
৪) মুনাফেকের বিরুদ্ধে জিহাদ
আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তারাই হচ্ছে শত্রু। অতএব তাদের সম্পর্কে সতর্ক হন।
সুরা মুনাফিকুন-৪
মুনাফেকদের বিরুদ্ধে জেহাদ জবানের মাধ্যমেই হবে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করা যাবে না।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,হে নবী! কাফের ও মুনাফেকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হন।সুরা আত-তাহরীম ৯।
৫) কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ
পৃথিবীতে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য এবং শিরকের পতন ঘটানোর জন্য আল্লাহ তাআ’লা কাফেরদের বিরুদ্ধে অস্ত্রের মাধ্যমে জেহাদ করা এই উম্মতের উপর ফরয করেছেন। তবে প্রথমেই এই জিহাদ ফরয করেন নি। মক্কাতে থাকা অবস্থায় মুসলমানদের উপর জিহাদ করা নিষেধ ছিল। তাদেরকে হাত গুটিয়ে বসে থাকার আদেশ দেয়া হয়েছিল। এমনিভাবে নবুওয়তের পর তেরোটি বছর চলে গেল। আপন গোত্রের লোকদের হাতে নির্যাতিত হয়েও আল্লাহর দ্বীনের প্রতি মানুষকে আহবান করতে থাকলেন।
সে সময় জিহাদ থেকে বিরত থাকার আদেশ দেয়ার কারণ এই যে, তখন মুসলমানগণ ছিল দুর্বল। এ অবস্থায় তাদেরকে সশস্ত্র জিহাদের আদেশ দেওয়া হলে কাফেরেরা সহজেই তাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতো এবং তাদেরকে নির্মূল করে ফেলত। ফলে অঙ্কুরেই দ্বীনের দাওয়াত মিটে যেত।
আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হল তাদেরকে, যাদের সাথে কাফেরেরা যুদ্ধ করে কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম।সুরা হজ্জ ৩৯।
আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আর তোমরা লড়াই কর আল্লাহর রাস্তায়, তাদের সাথে যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।সুরা বাক্বারা ১৯০।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,অতঃপর মুশরিকদের হত্যা কর। যেখানেই তাদের পাও, তাদের বন্দী এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁত পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে তবে তাদের রাস্তা ছেড়ে দাও নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।সুরা তাওবা ৪।
মুসলমান অবশিষ্ট থাকুক। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করা হলে তারা মুসলমানদেরকে হত
সর্বোপরি কথা হল, জিহাদ করতে হবে আল্লাহর দ্বীনকে বুলন্দ বা উঁচু করার জন্যে। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল, এক ব্যক্তি জিহাদ করে নিজের গোত্রকে সাহায্য করার জন্যে, অন্য একজন জিহাদ করে বীরত্ব প্রদর্শন করার জন্যে আবার কেউ বা করে গনিমতের সম্পদ হাসিল করার জন্যে। এদের মধ্যে হতে কে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে থাকে? নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,যে ব্যক্তি জিহাদ করবে আল্লাহর বাণীকে উঁচু করার জন্যে তার জিহাদ হবে আল্লাহর পথে।
এছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি জিহাদ করবে, তার জিহাদ কখনই আল্লাহর পথে জিহাদ হিসাবে গণ্য হবে না। যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করতে গিয়ে নিহত হবে তাকে ‘শহীদ’ হিসেবে গণ্য করা হবে। যদি নিহত না হয় তবে সে সাওয়াব ও গণিমত থেকে বঞ্চিত হবে না।
আল্লাহ বলেন,আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না; বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না, সূরা বাকারাঃ ১৫৪।
আলেমগণ আল্লাহর রাস্তায় কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদকে দুইভাগে ভাগ করেছেন,
১) ফরজে আইন
জিহাদ করতে সক্ষম এমন প্রতিটি মুসলিমের উপর তিন অবস্থায় জিহাদে অংশ গ্রহণ করা ফরজে আঈন।
ক) আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ
কোন মুসলিম দেশের উপর যদি শত্রুরা আক্রমণ করে তবে তারা যুদ্ধে লিপ্ত হবে। মুসলমানদের সম্মান রক্ষার্থে তখন সকল মুসলমানের উপর সাধ্যানুযায়ী জিহাদে অংশ গ্রহণ করা ফরজ।
খ) মুসলমানদের ইমামের আদেশে যুদ্ধ
মুসলমানদের ইমাম যখন যুদ্ধের ডাক দিবে তখন তার কথা মেনে জিহাদে বের হওয়া সকলের উপর ওয়াজিব। আল্লাহ তা’আলা বলেন,হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হওয়ার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখিরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।সুরা তাওবা৩৮।
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মক্কা বিজয়ের পর আর কোন হিজরত নেই। কিন্তু প্রয়োজন অনুসারে জিহাদ অবশিষ্ট রয়েছে। সুতরাং তোমাদেরকে যখন জিহাদের জন্য আহবান করা হবে তখন তোমরা আহবানে সাড়া দাও।
গ) যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার পর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া তা থেকে পলায়ন করা না জায়েজ বরং তার উপর জিহাদ করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,হে ঈমানদারগণ তোমরা যখন কাফেরদের মুখোমুখি হবে তখন পশ্চাদপসরণ করবে না। আর যে লোক সেদিন তাদের থেকে পশ্চাদপসরণ করবে সে আল্লাহর ক্রোধ নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আর তার ঠিকানা হল জাহান্নাম।সুরা আনফালঃ ১৫-১৬।
২) ফরজে কেফায়া
অমুসলিম দেশের নিষ্ক্রিয় কাফেরদের বিরুদ্ধে জেহাদ পরিচালনা করা ফরজে কেফায়া। মুসলমানদের কিছু লোক এই প্রকারের জিহাদে আঞ্জাম দিলে অন্যরা দায়িত্ব হতে রেহাই পেয়ে যাবে। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে জিহাদ সুন্নাত হিসেবে থেকে যাবে।

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: