বাংলার প্রথম মসজিদ তৈরির ইতিহাস ।। how first mosque was made in bengal in sultanate period
Автор: Political Dose
Загружено: 2021-10-16
Просмотров: 301433
#jafarkhan #jafarkhangazi #hindutemplebroken
এটিই সুলতানি আমলে তৈরি অবিভক্ত বঙ্গ প্রদেশের প্রথম মসজিদ। কিন্তু ইসলামে মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ হলেও এই মসজিদের দেওয়ালে রয়েছে হিন্দু দেবদেবীর ছবি। রয়েছে রামায়ণের অজস্র সংস্কৃত শ্লোক।
ত্রিবেণীর কৃষ্ণ মন্দির ধ্বংস করে ১২৯৭ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদ তৈরি করেন শাহাবুদ্দিন জাফর খান বাহরাম ইত্গিন। অবিভক্ত বাংলায় মুসলিম সুলতানের শাসন হলেও বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ প্রান্তের হুগলি অঞ্চলে মান নৃপতি, রাজা ভুদেবের মত হিন্দু রাজাদের শাসন ছিল। বাংলার সুলতান রুকনুদ্দিন কৈকৌস তার সবচেয়ে খতরনাক সেনাপতি জাফর খানকে পাঠাল ত্রিবেনি অঞ্চলের রাজা মান নৃপতিকে হারানোর জন্য। যুদ্ধে মান নৃপতি পরাজিত হন। ত্রিবেনি অঞ্চলের কৃষ্ণ মন্দির সহ বহু মন্দির ধ্বংস করা হয়। মন্দিরের পাথর ও টেরাকোটার ও ইঁটের অবশেষ দিয়ে ১২৯৭ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয় এই মসজিদ। এবং এই অঞ্চলের শাসন নিজের হাতে নেয় জাগিরদার হয় শাহাবুদ্দিন জাফর খান বাহরাম ইতগিন।
কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস রাজা ভুদেবের সঙ্গে দ্বিতীয় যুদ্ধে পরাজিত এবং নিহত হয় আক্রমণকারী জাফর খান। জাফরের মৃত্যুর বদলা নিতে জাফরের ছেলে উলুঘ খান রাজা ভুদেবের সঙ্গে যুদ্ধ করে এবং এই যুদ্ধে অবশ্য রাজা ভুদেব পরাজিত হন এবং পরাজয়ের সন্ধি স্বরূপ তার মেয়েকে বিয়ে করে জাফরের ছেলে উলূঘ। জাফর খাঁযের মৃত্যুর পরে তার মুন্ডহীন দেহ কবর দেওয়া হয় এই মসজিদ চত্বরে। যা বর্তমানে দরগা হিসেবে পরিচিত এবং এই দরগাহে জাফর খান জাফর খানের স্ত্রী তার ছেলে উলুঘ খান এবং তার পুত্রবধু সকলেই শায়িত আছে। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি কবর রয়েছে এই মসজিদে সেগুলি কার তা জানা যায় না। কয়েকটি ইমাম এবং বাদবাকি জাফর খাঁযের পরিবারের বলে মনে করা হয়।
জাফর খাঁ গাজী ১২৯৮ থেকে ১৩১৩ পর্যন্ত শাসন করেন। দীর্ঘ পনেরো বছর অঞ্চলটিতে তার শাসন চালান প্রথম মুসলমান শাসক হিসেবে। শাসনকালের সূচনাতেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলার সর্বপ্রাচীন মসজিদ। যা ‘জাফর খাঁ গাজীর মসজিদ’ নামে তা পরিচিত হয় ওঠে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ১৩১৫ সালে মসজিদের পাশেই গঠিত হয় দরগা।
হুগলির ত্রিবেণী হিন্দুসম্প্রদায়ের নিকট একটি প্রাচীন তীর্থস্থান ছিল। মসজিদে ব্যবহূত পাথরগুলি হিন্দু মন্দিরের উপকরণ ছিল যার কারনে পাথরে খোদাই করা হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি এবং ভগ্ন মন্দিরের দরজার কাঠামো আজও রয়ে গেছে। তবে জাফর খাঁ মসজিদ তৈরি করার পর ফারসি ভাষায় কয়েকটি শিলালিপি এই মসজিদে প্রতিষ্ঠা করেন সেগুলি এখনও রয়েছে মসজিদ এবং মাজার চত্বরে রয়েছে। বহুবার সংস্কারের ফলে এ মসজিদের আসল অবয়ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মসজিদের ছাদের একটা অংশ ভেঙে পড়েছে। তবে সেই দৃশ্য দেখাতে পারলাম না। কারন মসজিদে ওই অংশের ভিডিও করা পাত্র সেখানকার ইমাম আমায় বাধা দিলেন। এমনকি গোটা ভিডিওটা আমাকে লুকিয়ে করতে হয়েছে। কারণ প্রবল নজরদারি রয়েছে এখানে।
মসজিদের পূর্বদিকে পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে। মসজিদ থেকে একটু দূরে পূর্ব দিকে একটি উন্মুক্ত অঙ্গনে পূর্ব-পশ্চিমে বিন্যস্ত দুটি বর্গাকার কক্ষ রয়েছে। পশ্চিমের কক্ষটিতে দুটি কবর যার একটি জাফর খান গাজীর এবং অপরটি তাঁর স্ত্রীর। পুর্বদিকের কক্ষে পাকা ভিতে চারটি কবর রয়েছে। সমাধিটির দেয়ালগুলি পুরানো মন্দিরের উপকরণ দিয়ে তৈরি, ব্যবহূত পাথরগুলি আয়তাকার। পশ্চিম দিকের কক্ষের উত্তরের দরজা হিন্দু ফ্রেমে তৈরি করা হয়েছে; এতে উৎকীর্ণ দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে। পূর্ব দিকের কক্ষে রামায়ণ ও মহাভারতএর দৃশ্যসম্বলিত ভাস্কর্য দেখা যায়। বাঁটালি দিয়ে দেবদেবীদের নাক-মুখ কেটে তাদের পরিচয় লোপ করার চেষ্টা হয়েছে। তারপর পা নিচে এবং মাথা ওপরে করে সেই পাথরগুলো দিয়ে গাঁথা হয়েছে মসজিদের দেওয়াল। এটিও বাংলার মাটিতে তুর্কিদের ধর্ম উন্মাদনার একটি ঐতিহাসিক প্রমাণ। বর্তমানে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জাফর খান গাজীর মসজিদ এবং দরগার সংরক্ষণ করছে।
For buiness related queries
Call +919748417344
email:- [email protected]
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: