ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স। প্রাকৃতিক ফুলের বাগান। Valley of Flowers। Uttarakhand। পর্ব-৫
Автор: BHON KATTA ।। ভোঁ কাট্টা
Загружено: 2024-08-27
Просмотров: 4626
@bhonkatta03
#explore
#travel
#naturelovers
#trekking
#mountains
#Uttarakhand
#valley of flowers
প্রথমেই স্বীকার করে নিই ভিডিওতে কিছু কিছু জায়গায় ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স এর জায়গায় ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার বলেছি। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
এবারের গন্তব্য ঘাঙ্গারিয়া থেকে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স :
দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের চামোলী জেলায় হিমালয় পর্বতমালার গাড়োয়াল অংশের মধ্যভাগে টিপরা গ্লেসিয়ার থেকে উৎপত্তি পুষ্পাবতী নদীর উপত্যকায় ৮৭.৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রায় ৬০০ প্রজাতির নাম জানা-অজানা সুসজ্জিত ফুলের বাগান এই "ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স"।
আমরা আগের পর্বেই বলেছিলাম ঘাঙ্গরিয়া পৌঁছানোর গল্প। এবারের গল্পে থাকবে ঘাঙ্গরিয়া থেকে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স পৌঁছানোর গল্প।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১.৫ থেকে ১২ হাজার ফুট উঁচুতে ঘাঙ্গরিয়া থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে পায়ে হেঁটে যেতে হয় এই ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স।
পাহাড়ি রাস্তার সৌন্দর্য্য বর্ণনা করার অবকাশ রাখেনা, সেই সাথে পাহাড়ি ছোট ছোট ফুলের দোলা আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে এই ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স -এ।
খরস্রোতা পুষ্পাবতী নদীর পাশ দিয়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার যাবার পর আমাদের গন্তব্য ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স। রাস্তা সংকীর্ণ হলেও রাস্তার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে, ভয় কে কাটিয়ে এমনিই পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে।
রাস্তায় পাখির ডাক, খরস্রতা নদীর বহমান ধারার শব্দ, বৃষ্টির টুপুর টাপুর আওয়াজ, বহমান ঝর্নার কুল-কুল শব্দ আমাদের অস্তিত্বকে সব সময় জানান দিচ্ছে।
নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য যদি আহরণ করতে হয় তাহলে এই ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সে অবশ্যই একবার হলেও ঘুরে যাওয়া উচিত।
"ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স-এর আবিষ্কার ও ইতিহাস"
১৮৬২ সালে এডমন্ড স্মিথ প্রথম পুষ্পাবতী ভ্যালি আবিষ্কার করেন।
এরপর ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ পর্বতারোহী ফ্রাঙ্ক স্মিথ, এরিক শিপ্টন, আর. এল. হোল্ডসওয়ার্থ, হিমালয়ের কামেট পর্বতমালার সফল অভিযানের পর ফেরার সময় দিক ভুল করে এই স্থানে এসে উপস্থিত হন। তখন এই স্থানের রূপ দেখে তারা মোহিত হয়ে যান। এরপর ১৯৩৩ সালে ফ্র্যাঙ্ক স্মিথ পুনরায় এই স্থানে আসেন এবং ১৯৩৪ সালে তিনি ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স নামে একটি বই রচনা করেন।
পরবর্তীকালে ১৯৩৯ সালে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী লেডি মার্গারেট লেগে নাম না জানা উদ্ভিদ প্রজাতির গবেষণা কাজে এলে তিনি পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে যান এবং তার মৃত্যু হয়। এরপর ১৯৪১ সালে তাঁর বোন এই স্থানে এসে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করেন।
এরপর ১৯৮০ সালে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স কে ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৮২ সালে ন্যাশনাল পার্ক থেকে নন্দা দেবী ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এরপর ১৯৮৮ সালে যখন নন্দা দেবী ন্যাশনাল বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ তৈরি করা হয় তখন এই বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের আন্ডারে দুটি পার্ক কে নিয়ে আসা হয় একটি হলেও নন্দা দেবী পার্ক অপরটি হল ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স।
এরপর ২০০৫ সালে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স কে ইউনেস্কো থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করা হয়।
"ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারসের প্রজাতি"
এখানে জানা-অজানা প্রায় ৬০০ প্রজাতির ফুলের সম্ভার। তবে সব ফুল একসাথে হয় না। সারা বছর ধরে পর্যায়ক্রমিকভাবে ফুল ফুটতে থাকে। একসাথে একটা সিজিনে কমবেশি ১২ থেকে ১৫ রকমের ফুল ফোটে।
এই স্থানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফুল "ব্লু পপি", যাকে কুইন অফ হিমালয়ানস বলা হয়। এছাড়া এখানে বিলুপ্ত প্রজাতির ব্রম্ভ কমল আগে পাওয়া যেত, বর্তমানে হেমকুণ্ড সাহেবের রাস্তায় অল্প সংখ্যক দেখতে পাওয়া যায়।
এছাড়া এখানে স্নো লেপার্ড, পাহাড়ি ভল্লুক, বিভিন্ন রকম হিমালয়ান পাখি এখানে পাওয়া যায়।
"প্রবেশ মূল্য ও আনুষাঙ্গিক খরচা"
ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স এর প্রবেশ মূল্য ভারতীয়দের জন্য ২০০ টাকা এবং বিদেশীদের জন্য ৮০০ টাকা। এই খরচাটা তিন দিনের জন্য। চাইলে আপনারা তিন দিন এই খরচায় ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স ঘুরতে পারবেন।
ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স আসার জন্য ভারতবর্ষের চারধাম যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে সেখানে বদ্রিনাথ যাবার জন্য অনলাইনে পারমিশন করিয়ে নেবেন (সেক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হবে)।
এখানে ক্যামেরার চার্জ আছে যদি আপনি কোন ডকুমেন্টারি বা কোন ফিল্ম করতে চান। সেক্ষেত্রে চার্জ ১০,০০০/- থেকে ১,০০,০০০/-
নন প্রফেশনাল কোন ব্যক্তির জন্য ক্যামেরার চার্জ নেই।
প্রফেশনাল কোন ব্যক্তি যদি ভিডিও করতে চান সে ক্ষেত্রে ক্যামেরার চার্জ ৭৫০/-(ভারতীয়দের জন্য), ২০০০/-(বিদেশীদের জন্য)
এখানে ড্রোন ফ্লাই আইনত অপরাধ, যদি ড্রোন ফ্লাই করতেই হয় তাহলে আগে থেকে বনদপ্তরের অফিসে যোগাযোগ করে নেবেন। (পারমিশন দেবে কি দেবেনা সেটা বলতে পারবো না।)
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: