লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ: মোমিন ও মুশরিকের প্রকৃত পার্থক্য | আলোচনায় আসিফ আদনান

আল্লাহর বান্দার জন্য সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো সঠিক ঈমান। সেই ঈমানের ভিত্তি হলো এক অমূল্য কালেমা – লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। এ বাক্য শুধু একটি শব্দ নয়, বরং এটি এমন এক ঘোষণা যা মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের ভাগ্য নির্ধারণ করে। আলোচক আসিফ আদনান তাঁর প্রাঞ্জল বক্তব্যে ব্যাখ্যা করেছেন, কিভাবে এই একটি বাক্য মানুষকে দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করে— মোমিন ও মুশরিক।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর প্রকৃত অর্থ

“লা ইলাহা” মানে—কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহ ছাড়া।
“ইল্লাল্লাহ” মানে—শুধু আল্লাহই উপাস্য, তাঁর বাইরে কারো ইবাদত নেই।
এটি মুখের উচ্চারণ নয়, বরং অন্তরের বিশ্বাস ও জীবনের কর্ম।

মোমিন ও মুশরিকের পার্থক্য

আসিফ আদনান বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন—

মোমিন: যিনি শুধু মুখে নয়, অন্তর ও আমলে আল্লাহকে একমাত্র উপাস্য মনে করেন, তাঁর ইবাদত করেন, এবং শির্ক থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকেন।

মুশরিক: যিনি আল্লাহকে মানলেও ইবাদতে অন্য কাউকে শরিক করেন, কিংবা এমন কোনো বিশ্বাস রাখেন যা আল্লাহর একত্বের বিরোধিতা করে।

আজকের বাস্তবতা

আজকের যুগে অনেকেই কালেমা পড়েন, কিন্তু জীবনে শির্ক, কুসংস্কার, ভণ্ডামি, রিয়া (দেখানো) ইত্যাদি মিশিয়ে দেন। এইসব কাজ মানুষকে মোমিনের তালিকা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। আসিফ আদনান সতর্ক করেছেন—
👉 লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ উচ্চারণ করলেই মুসলিম হওয়া সম্পূর্ণ নয়; আল্লাহর একত্বকে জীবনের প্রতিটি কাজে বাস্তবায়ন করতে হবে।
👉 শির্কের বড় ও ছোট রূপগুলো চিনে দূরে থাকতে হবে।

কুরআন ও হাদিসের আলোকে শিক্ষা

আলোচনায় কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদিস থেকে উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। এসব থেকে স্পষ্ট হয়, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ শুধু একটি স্লোগান নয়, বরং মানব জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিজ্ঞা।

আমাদের করণীয়

প্রতিদিন নিজের ঈমান যাচাই করা

আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার না করা

প্রতিটি ইবাদতে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা

শির্ক ও বিদআত থেকে দূরে থাকা



লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এমন একটি সত্য যা হৃদয়ে গেঁথে না নিলে মুক্তি নেই। এই কালেমা মেনে আমল করলেই মানুষ প্রকৃত মোমিন হতে পারে। আলোচক আসিফ আদনান আমাদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছেন— মুখে উচ্চারণ যথেষ্ট নয়, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর একত্বকে মানতে হবে।

📌 দেখুন পুরো বক্তব্য, শুনুন গভীর বিশ্লেষণ এবং নিজের ঈমান নবায়ন করুন।