পদ্মা সেতু,
Автор: MU Mainuddin
Загружено: 2025-12-03
Просмотров: 214
পদ্মা সেতু, #পদ্মা_সেতু #entertainment
পদ্মা সেতু: বাংলাদেশের গর্ব
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের উন্নয়ন ইতিহাসে এক যুগান্তকারী স্থাপনা। দেশের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি শুধু দুটি পাড়কে যুক্ত করেনি, এটি যুক্ত করেছে কোটি মানুষের স্বপ্ন, আশা এবং অগ্রগতির পথ। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি পদ্মা নদীর তীব্র স্রোত, গভীরতা ও কঠিন ভূপ্রকৃতি অতিক্রম করে নির্মিত হয়েছে, যা একটি বিরল প্রকৌশল সাফল্য।
নির্মাণ ও আত্মনির্ভরতার গল্প....
প্রথমদিকে বিদেশি ঋণের মাধ্যমে নির্মাণ পরিকল্পনা করা হলেও নানা বিতর্ক ও অভিযোগে তা বাতিল হয়ে যায়। ঠিক তখনই বাংলাদেশ সরকার নিজের অর্থে এই বিশাল প্রকল্পের দায়িত্ব নেয়। এর ফলে পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়,একটি জাতির আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে ওঠে। বিদেশি ঋণ ছাড়াই দেশের মানুষকে নিয়ে একটি স্বপ্ন সফল করার উদাহরণ।
যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে বিপ্লব
পদ্মা সেতু চালুর ফলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা সরাসরি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আগে যেখানে ফেরি বা নৌযানে সময় লাগতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এখন কয়েক মিনিটেই নদী পার হওয়া যায়। ফলে—
যাতায়াত দ্রুত হয়েছে
ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে
পণ্য পরিবহনে খরচ কমেছে
পর্যটন, কৃষি ও শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এছাড়া সেতুর নিচের স্তরে রেললাইন থাকায় ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত রেল যোগাযোগ চালু হবে।
গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা...
পদ্মা সেতু দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হয়। এই সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে নতুন শিল্প এলাকা, পর্যটনকেন্দ্র, রপ্তানি বর্ধন অঞ্চল (EPZ) এবং আধুনিক শহর গড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। দেশের GDP বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
#পদ্মা_সেতু
পদ্মা সেতু....
বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে।
সাধারণ তথ্য
• অবস্থান: মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার জাজিরা প্রান্তকে সংযুক্ত করেছে।
• উদ্বোধন: ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করেন এবং ২৬ জুন থেকে এটি সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
• প্রকল্পের ধরণ: এটি দুই স্তর বিশিষ্ট একটি ট্রাস ব্রিজ। ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।
• দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব
• যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি: এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছে, যার ফলে যাতায়াতের সময় ও খরচ কমেছে।
• জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: এটি দেশের সামগ্রিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশের বেশি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
• দারিদ্র্য হ্রাস: পদ্মা সেতুর প্রভাবে এই অঞ্চলে দারিদ্র্য ১ শতাংশ কমেছে বলে জানা গেছে।
• শিল্প ও কৃষি উন্নয়ন: সেতুটির ফলে ২১টি জেলায় বিভিন্ন ছোট-বড় শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে এবং কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি ঘটছে।
নির্মাণ বিষয়ক তথ্য
• নির্মাণ: চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করেছে।
• পিলার ও স্প্যান: সেতুটিতে মোট ৪২টি পিলার রয়েছে। এটি ৪১টি স্প্যান নিয়ে গঠিত, যার প্রতিটি ১৫০.১২ মিটার লম্বা।
• গভীরতা: এটি ১২৮ মিটার গভীরতাযুক্ত বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু।
• ব্যয়: নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা।
#পদ্মা_সেতু #বাংলাদেশ
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: