এক বেআইনি সংগঠনের প্রচারক আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী!!
Автор: বাংলা বাজার BANGLA BAZAR
Загружено: 2025-09-08
Просмотров: 38587
১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে ভাষণে মোদিজী বলেছেন আর এস এস হল বিশ্বের সবথেকে বড় এন জি ও, নন গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশন। হঠাৎ আর এস এস নিয়ে লালকেল্লা থেকে এত প্রশংসা কেন? কদিন পরেই বোঝা গেল, আর এস এস মাথা মোহন ভাগবত জানিয়ে দিলেন না না আমি কাউকে ৭৫ এ অবসর নিতে বলিনি, এমনকি আমিও ৮০ পর্যন্ত অনায়াসে টানতে পারি। হ্যাঁ সেপ্টেম্বার এসে গেছে, এ মাসেই তো দুজনেই পা দেবেন ৭৫ এ, কাজেই সেই প্রশ্ন উঠতো বৈকি, কবে গায়ে শাল জড়িয়ে পদ ছাড়ছেন? কিন্তু তার আগেই লালকেল্লা থেকে মোদিজীর প্রশংসা আর নাগপুর থেকে মোহন ভাগবতের আশ্বাসবাণী। খুব পরিস্কার করেই জানিয়ে দিনেন না না না আজ রাতে আর যাত্রা দেখতে যাবো না, মানে উনিও থাকবেন সরসংঘ চালক হয়ে, ইনি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী হয়ে। ল্যাটা চুকলো, দেহত্যাগ পর্যন্ত পদত্যাগের যে বিধি ভারতীয় রাজনীতিতে আছে সেটাই চলবে। কিন্তু কথা সেটা নয়, কথা হল লাল কেল্লা থেকে আবার একটা মিথ্যে বললেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। এখন অবশ্য এটাই খবর হওয়া উচিত যে তিনি এক সত্যি কথা বলেছেন, তিনি মুখ খুললেই মিথ্যে বলবেন এটাই তো এখন নিও নর্মাল, কাজেই কখন দু একটা সত্যি বলে ফেলেন সেদিকেই নজর দিতে হয় আমাদের। কিন্তু সেই মিথ্যেটা কী? যা তিনি লালকেল্লা থেকে দেশের মানুষদের বললেন? তিনি বলেছেন আর এস এস রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ হল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এন জি ও। নন গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশন। তাই নাকি? তো দেশের আইন কী বলে এই এন জি ও নিয়ে? আইন খুব পরিস্কার, আপনাকে রেজিস্টার্ড হতে হবে, মানে আবেদন করতে হবে, সেই আবেদনে সংগঠনের নাম এর জন্য আবেদন করতে হবে, চাইলেই তো হবে না, সেই নামে অন্য কোনও সংগঠন আছে কি না তা জানতে হবে, যদি থাকে তাহলে বিকল্প নাম দিতে হবে। এন জি ওর নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ডোনেশনের হিসেব থাকতে হবে, টাকা কোথায়, কোন উদ্দেশ্যে খরচ হয় তা জানাতে হবে, সেই আয় এবং ব্যায়ের আর্থিক হিসেব পত্র অডিট বা পরীক্ষা করাতে হবে। যদি বিদেশ থেকে টাকা আসে, যদি সংগঠনে বিদেশের লোকজন থাকে তারজন্য আলাদা অনুমতি নিতে হবে, তো আর এস এস এর সেসব কিছু আছে? ঐ আবেদনেই জানাতে হবে কমিটিতে কারা আছে? কীভাবে কমিটির লোকজন বাছাই হয়, দায়িত্ব নেয়, তার বিবরণ থাকতে হবে। সেসব কি আছে? না জেনে রাখুন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ একটা আনরেজিস্টার্ড সংগঠন, পাড়ার ক্লাবেরও যে রেজিস্ট্রেশন আছে, আর এস এস এর সেটা নেই। মহারাষ্ট্রে এক সংগঠন আর টি আই করে জানতে চেয়েছিল যে এই আর এস এস এর এন জি ও রেজিস্ট্রেশন আছে? জানানো হল নেই। তারপর তারা জানতে চেয়েছিল এই রাষ্ট্রিয় স্বয়ংসেবক সংঘ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন আছে? জানানো হল নেই। তো তারপরে তাঁরা আবেদন করেন, আর এস এস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ, এই নামেই তাঁরা তাঁদের সংগঠন রেজিস্টার্ড করেছেন কিন্তু তাঁদের সঙ্গে এই আর এস এস এর কোনও সম্পর্ক নেই। এবং সেই সংগঠনের তলায় বসেই আর এস এস এর হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বিরোধিতা করেন। হ্যাঁ আর এস এস এর দেশ জুড়ে যে বিরাট কর্মযজ্ঞ, যে বিরাট সংখ্যক শাখা দেশে বিদেশে চলছে, লক্ষ কোটি টাকা যাঁরা ডোনেশন হিসেবে পান, তাঁরা রেজিস্টার্ড অর্গানাইজেশন নন, তাঁদের হিসেবের কোনও অডিট হয় না। নেট খুঁজে মরে গেলেও আর এস এস এর ফিনান্সিয়াল রিপোর্ট কোথাও পাবেন না। আর যেহেতু এই সংস্থা রেজিস্টার্ডই নয়, তাই অডিট এর ও প্রশ্ন নেই। নেট এ এমনকি আর এস এস এর কোনও বার্ষিক রিপোর্ট পাবেন না, ওনাদের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার যে বার্ষিক বৈঠক হয়, তার প্রতিবেদন পাবেন, সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে ওনাদের শ্রীবৃদ্ধির কথা ২০২৪ এ ওনাদের শাখার সংখ্যা ছিল ৭৩১১৭ টা, ২০২৫ এ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩১২৯ টা। ২০২৪ এর হিসেব বলছে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি শাখা আছে কেরালাতে ৫১৪২ টা আর তাদের লক্ষ ২০২৫ শেষ হবার আগে সেটাকে ৮০০০ এ নিয়ে যাওয়া। এই বাংলাতে তাদের শাখা উত্তর বঙ্গে ৩৬৯ আর দক্ষিণবঙ্গে ৯১০ টা। বিশাল এই কাজ কর্ম কিন্তু সেই বিশাল কাজের জন্য খরচের, আয়ের, ডোনেশনের কোনও অডিট নেই, মানে আপাতত এক আনরেজিস্টারররড সংগঠন কোটি কোটি টাকা খরচ করেন, দেশ বিদেশ থেকে ডোনেশন আসে, কিন্তু তা সর্বসমক্ষে রাখার কোনও পদ্ধতি খুঁজেই পাওয়া যাবে না। কেন? তাঁরা কোন গুরু ঠাকুর? বিবিসির আয় নিয়ে ইনকাম ট্যাক্স রেইড হতে পারে, হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের প্রতিটা পাই পয়সার হিসেব দেখতে চাওয়া হয় কিন্তু আর এস এস এর হিসেব কেউ দেখতে চান না। তাঁদের কমিটি কীভাবে বাছাই হয়, কীভাবে একজন সরসংঘচালক বসেন মাথায় তা জানানো হয় না, না সেখানে কোনও নির্বাচন নেই, লোক দেখানো গণতন্ত্রটুকুও নেই। হ্যাঁ এইভাবেই এক স্বেচ্ছাচারী সংগঠন আজ ভারতের রাজনীতি সমাজনীতি নিয়ে হরবখত কথা বলেই চলেছে, তাঁরাই বলে দিচ্ছেন হিন্দু নারীদের কটি করে সন্তান প্রসব করতে হবে। সেই সংঘের মাথা আইনের বিরোধিতা করে, সংবিধানের বিরোধিতা করে কাশি মথুরার দখল চাইছেন। সেই সংগঠন কে লালকেল্লা থেকে মোদিজী বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিওর খেতাব দিলেন।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: