কোন ছকে, কোন ফরমুলায় বাংলা দখলের প্ল্যান করছেন শুভেন্দু -অমিত শাহ?
Автор: বাংলা বাজার BANGLA BAZAR
Загружено: 2025-12-12
Просмотров: 24862
এই মুহূর্তে আমাদের দলারের তুলনায় টাকার দাম হুহু করে কমছে, এখন ৯০ ছুঁয়ে গেছে, আমেরিকার ট্যারিফ চাপার ফলে গত দু মাসে ১৭% এর বেশি রপ্তানি এক্সপোর্ট কমেছে, এবারে মেক্সিকোর চাপানো ৫০% ট্যারিফ আমাদের আটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে ধাক্কা দেবে, বেকারত্ব বাড়ছে, কাজ করতে ইচ্ছুক এমন যুবকদের ১৭% এর কাজ নেই, সেটাই গ্রাজুয়েট শিক্ষিতদের ক্ষেত্রে ২৪% এর ওপরে, আমাদের স্বাস্থক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে গত বছরের থেকে ১৯% মানে ১০০ টাকা খরচ করছিলেন এখন তা ১১৯ টাকা, আর যদি স্বাস্থ ইনসিওর্যান্সের কথা বলেন তাহলে তা ৩১%, মানে গরবছরে যে স্বাস্থ বীমার দাম ছিল ১০০ তাকা এখন সেটা ১৩১ টাকা। আমাদের পরিবহনের খরচ বেড়েছে ১৪%, সেটা রেলের ধরলে ১৭% আর বিমানের ধরলে ২১%। এদিকে গত এক আর্থিক বছরে মানুষের রোজগার বেড়েছে ৩%, সেটাও একেবারে ওপরের দিকে। সবমিলিয়ে মানুষ ভালো নেই, ঠিক সেই সময়ে দেশের সংসদে আলোচনা হচ্ছে বন্দেমাতরম গানের শেষ অংশ কেন কাটা হল? নেহেরু এই অংশ বাদ দিয়ে আসলে মুসলমান তোষণ করছিলেন, কংগ্রেস আসলে দেশবিরোধী। ২০১৪ তে ক্ষমতায় আসার পরে বিজেপি এখন জানতে চায় প্রকৃত নাগরিক কারা? সরকার জানিয়ে দিয়েছে এটা আপনাকেই প্রমাণ করতে হবে যে আপনি নাগরিক, সেটা নিয়ে সংসদে বিরাট আলোচনা চলছে। দুপক্ষই তীব্র চিৎকার করছেন, নানান যুক্তি কুযুক্তি দিচ্ছেন আর সারের লাইনে দাঁড়িয়ে সার কিনতে না পেরে চাষী আত্মহত্যা করছেন, বন্দেমাতরম। সেরকম একটা সময়ে আবার বাংলার ভোট। আর বাংলার নির্বাচন এইমুহুর্তে বিজেপির কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাকে দেশের সংবিধানের খোলনলচে পালটে দেবার জন্য ১৪ তম রাজ্যের দখল নিতে হবে আর সামনে যে নির্বাচন আছে সেখানে সে তামিলনাড়ুতে ডিস্ট্যান্ট থার্ড, কেরালাতেও তাই। কাজেই তাকে পেতে হবে বাংলা, দেশের সংবিধান থেকে সেকুলার, সমাজতান্ত্রিক শব্দগুলোকে সরানোর জন্য, দেশের জাতীয় সংগীত বদলানোর জন্য, পারলে দেশের জাতীয় পতাকা বদলানোর জন্য। হ্যাঁ আজ থেকে ৬০/৭০ বছর আগেও এই কথাগুলো পাগলেও বলতো না, ৩০/৩৫ বছর আগে থেকে কিছু উন্মাদ বলা শুরু করেছিল, এখন প্রকাশ্যেই দাবি উঠছে, সংসদে আলোচনা হচ্ছে। কাজেই এসব চলবে আর এই অভীষ্ট হিন্দু রাষ্ট্রের কাঠামো খাড়া করার জন্য বিজেপির দরকার বাংলার মসনদ, এমনি এমনিই বিজেপি আর এস এস এর সবটা শক্তি এই বাংলা দখলের কাজে নামে নি। বিভিন্ন ধার থেকে এই কাজ চলছে, খুব সুক্ষ্ম ভাবে, খুব মোটা দাগের কাজে কম্মে এই লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা চলছে। ২০১৯ থেকে বিজেপি বাংলা বিজয়ের গন্ধ পেয়েছিল, হ্যাঁ বামেদের ২৭% ভোট যখন ফুটকি লাগিয়ে রামেদের দিকে গ্যালো, গিয়েছিল, ঠিক তখন থেকেই এই খোয়াবানামার শুরুয়াত, বিজেপি বুঝেছিল বাংলা দখল করা সম্ভব, কারণ তার আগে বিজেপির কোর ভোট ১০/১১ র মধ্যেই ঘোরা ফেরা করেছে, কখনও কমে গেছে, কখনো সামান্য বেড়েছে। ২০১১ বিধানসভা প্রায় ৪.১%, ২০১৪ লোকসভা প্রায় ১৭.০%উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। ২০১৬ বিধানসভা প্রায় ১০.২%, ২০১৯ লোকসভা প্রায় ৪০.৬% সর্বাধিক ভোট শতাংশ এবং ১৮টা আসনে জয়। ২০২১ বিধানসভা প্রায় ৩৮.১৩%, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির ভোট শতাংশ ছিল প্রায় ৩৮.৭৩%। তারা তাদের উচ্চতা ছুঁয়েছিল ২০১৯ এ আর তারপর থেকে তাদের ভোট শতাংশ কমেছে। কেন? তার প্রথম কারণ হল ২০১৯ এর আগে আমাদের বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এসে যাবে এই ধারণাটাই মানুষের মাথায় ছিল না, হঠাৎ এক ঝটকায় নিপিড়িত বামেদের ভোট ফুটকি লাগিয়ে রামেদের দিকে চলে গিয়ে সেই সম্ভাবনা কে আমাদের সামনে তুলে আনলো, বিজেপিও বুঝতে পারলো যে তারা ক্ষমতা দখল করতে পেরে, আর বাংলার মানুষও বুঝতে পারলো তৃণমূল ক্ষমতা থেকে গেলে বিজেপি, একমাত্র বিজেপিই ক্ষমতায় বসবে। এই নতুন দিশা বাংলার রাজনোইতিক মানচিত্রে নতুন আলোড়ন আনলো। ১) সংখ্যালঘুরা যাঁরা এতদিন অন্তত বাংলাতে এই বিজেপি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না তাঁদের মাথায় এক নতুন আশঙ্কা জন্ম নিল, বিজেপি আসতে পারে, এবং ইতিমধ্যেই বিজেপি বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে, বাংলার মুসলমান সমাজ কেবল ২০০২ এর গুজরাট রায়টের কথাই নয়, তারা চোখের সামনে যোগীজী কে দেখছেন, বুলডোজার সংস্কৃতি দেখছেন, অসম দেখছেন, মহারাষ্ট্র দেখছেন, দেখছেন গোরক্ষা বাহিনীদের পিটিয়ে মারা, শুনছেন এ রাজ্যেও সেই একই রণহুঙ্কার, হিন্দি বা উর্দুভাষী মুসলমানেরাও তাঁদের ভাই বেরাদরদের কাছ থেকে খবর পাচ্ছেন, খবর পাচ্ছেন যোগী রাজ্যে এনকাউন্টার হওয়া ক্রিমিনালদের ৮৯% মুসলমান, খবর পাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহরে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ন্যুনতম প্রতিবাদের পরেই বুলডোজার হাজির হবে। এ রাজ্যের বাঙালি মুসলমানেরা শুনছেন রাতারাতি গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে, হ্যাঁ প্রকাশ্যেই হুমকি আসছে, হুমকি দিচ্ছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা যিনি সাফ জানিয়েই দিয়েছে সবকা সাথ সবকা বিকাশ চলবে না, ঐ যারা আমাদের ভোট দেয় না তাদের ভোট আমরা চাই না। এর থেকে পরিস্কার করে কিই বা বলা যায়? কাজেই ২০১৯ এর পর থেকে ওই সংখ্যালঘু ভোট একজোট হয়েছে।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: