Rani Padmavoti...রাণী পদ্মাবতী: এক সতীর অজানা জীবনগাঁথা, জহরব্রত ও আলাউদ্দিন খিলজির চিতোর আক্রমণ।CH।
Автор: Liton Sarker Palash
Загружено: 2022-12-16
Просмотров: 777
#পদ্মাবতী #পদ্মিনী_উপাখ্যান #রাণী_পদ্মাবতী: এক সতীর অজানা জীবনগাঁথা, #জওহরব্রত ও #আলাউদ্দিন_খিলজির #চিতোর_আক্রমণ।। পদ্মাবতী ছিলেন ১৩-১৪ শতকের কিংবদন্তি ভারতের চিতোরের রাণী । ১৭ শতকের বেশ কয়েকটি গ্রন্থে তার উল্লেখ পাওয়া যায়, যার প্রাচীনতম সূত্র পদ্মাবত, ১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে #মালিক মুহম্মদ জায়সী কর্তৃক লিখিত মহাকাব্য। এই মহাকাব্য হতে পদ্মাবতী সম্পর্কে জানা যায় যে, তিনি সিংহল রাজ্যের (শ্রীলঙ্কা) সুন্দরী রাজকন্যা ছিলেন। #চিতর দূর্গের রাজপুত শাসক ছিলেন রতন সেন, যিনি #হিরামন নামের একটি #কথা বলা টিয়া পাখির কাছে তার রূপের কথা জানতে পারেন। এক রোমাঞ্চকর অভিযানের মাধ্যমে রতন সেন পদ্মাবতীকে জয় করে নেন, এবং বিয়ে করে চিত্তৌর নিয়ে আসেন। তৎকালিন দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজিও তার রূপের কথা শুনে তাকে দখল করার উদ্দেশ্যে চিত্তৌর আক্রমণ করেন। অবশেষে দুর্গ দখলে নেওয়া পর্যন্ত অবরোধের সময়কালে অনেক ঘটনা ঘটেছিলো। এই যুদ্ধে রতন সেন কুম্ভলনারের রাজা দেবপালের হাতে দ্বন্দ্বের কারণে নিহত হন, যিনি নিজেও পদ্মাবতীর রূপমুগ্ধ ছিলেন। আলাউদ্দিনের দুর্গ দখলের আগেই পদ্মাবতী এবং তার সঙ্গীরা জওহর (#আত্মবলিদান) করেন নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে। তার মৃত্যুর পর রাজপুত রাজা যুদ্ধরত অবস্থায় যুদ্ধক্ষেত্রেই মৃত্যুবরণ করেন। বেশ কিছু কিংবদন্তি তাকে বর্ণনা করে এমন একজন হিন্দু রাজপুত রানী হিসেবে যে মুসলিম আগ্রাসনের হাত থেকে নিজের সম্মান রক্ষা করতে পেরেছিল। পরবর্তীতে সে একজন ঐতিহাসিক চরিত্র হিসেবে বিভিন্ন উপন্যাস, নাটক এবং টিভি সিরিয়ালে চিত্রিত হয়। কিন্তু ১৩০৩ সালে আলাউদ্দিন খিলজির চিত্তৌর আক্রমণ ঐতিহাসিক ঘটনা হলেও পদ্মিনী চরিত্রের কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় না। বর্তমানের অধিকাংশ ইতিহাসবিদ তার বাস্তব অস্তিত্বের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। ভুরুর ভঙ্গিমা হেরি ভুজঙ্গ সকল। ভাবিয়া চিন্তিয়া মনে গেল রসাতল ॥ কাননে কুরঙ্গ জলে সফরী লুকিত। খঞ্জন-গঞ্জন নেত্র অঞ্জন রঞ্জিত ॥ রাজভবনের অদ্ভুত শুকপাখি – হীরামন পদ্মাবতীর অত্যন্ত প্রিয়। পদ্মাবতী ক্রমে যৌবনবতী হলে তাঁর রূপের সংবাদ সমস্ত ভূমণ্ডলে পরিব্যাপ্ত হলো। তাঁর বিয়ে হচ্ছে না দেখে হীরামন তাকে বলল, সে দেশ-দেশান্তরে ঘুরে তার উপযুক্ত বর খুঁজে আনবে। এ সংবাদ শুনে রাজা ক্রুদ্ধ হয়ে শুককে মারার আদেশ দিলেন। পদ্মাবতী অনুনয়-বিনয় করে শুকের প্রাণ রক্ষা করলেন। এরপর থেকে শুক সুযোগ খুঁজতে লাগল কোনোক্রমে রাজভবন ছেড়ে চলে যেতে। একদিন পদ্মাবতী মানসসরোবরে সখীদের সঙ্গে নিয়ে স্নান করতে গেলে শুকপাখি এক সুযোগে বনে উড়ে গেল। চিন্তাশীল শুক সেই বনে এক ব্যাধের হাতে ধরা পড়ল। ব্যাধ শুককে সিংহলের হাটে নিয়ে বিক্রি করতে এলে চিতোরের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আসা ব্রাহ্মণ শুকপক্ষীর জ্ঞান এবং পাণ্ডিত্যের কথা শুনে শুককে ক্রয় করে চিতোর দেশে এলেন। শুকের প্রশংসা শুনে চিতোরের রাজা রত্নসেন লাখ টাকা দিয়ে হীরামন ক্রয় করলেন। এদিকে রানী নাগমতী শুকের কাছে পদ্মিনী রমণীগণের রূপের বর্ণনা শুনে ভাবলেন, যদি এখানে এ-পাখি থাকে তাহলে একদিন না একদিন রাজা এসব শুনবেন এবং তাঁকে ছেড়ে পদ্মাবতীর জন্য গৃহত্যাগ করবেন। তিনি তাই ধাত্রীকে ডেকে শুককে হত্যা করতে আদেশ দিলেন। ধাত্রী পরিণামের কথা চিন্তা করে শুককে লুকিয়ে রাখল। রাজা ফিরে এসে শুককে না দেখে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলে শুককে অন্তরাল থেকে তাঁর সামনে আনা হলো। শুক সমস্ত বৃত্তান্ত শোনাল। রাজা পদ্মাবতীর রূপের দীর্ঘ বর্ণনা শুনে উৎকণ্ঠিত হলেন। ব্যাকুল হলেন, তাঁর হৃদয়ে এমন প্রবল অভিলাষ জাগল যে, তিনি হীরামনকে সঙ্গে নিয়ে সিংহল যাত্রা করলেন। নানা দুর্গম পথ অতিক্রম করে তাঁরা অবশেষে সিংহল দেশে মহাদেবের মন্দিরে উপস্থিত হলেন। জপতপ করার জন্য এবং পদ্মাবতীর ধ্যান করবার জন্য। হীরামন পদ্মাবতীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় রত্নসেনকে বলে গেল, বসন্ত পঞ্চমীর দিনে সে পদ্মাবতীর দর্শন পাবে এবং তাঁর আশা পূর্ণ হবে। অনেকদিন পর হীরামনকে পেয়ে পদ্মাবতী আনন্দে আকুল হলেন। হীরামন রত্নসেনের রূপ, কুল, শৌর্য ও ঐশ্বর্য বর্ণনা করল এবং বলল, রত্নসেনই সবদিক থেকে তাঁর যোগ্য পুরুষ। পদ্মাবতী রত্নসেনের ত্যাগ ও প্রেমের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিলেন, বসন্ত পঞ্চমীর দিন পূজা উপলক্ষ করে রত্নসেনকে দেখতে যাবেন ও তাঁকে জয়মাল্য দেবেন। বসন্ত পঞ্চমীর দিন পদ্মাবতী সখীদের নিয়ে মণ্ডপে ঘুরতে ঘুরতে যেদিকে রত্নসেন ছিলেন সেদিকেও এলেন। পদ্মাবতীর সঙ্গে রত্নসেনের সাক্ষাৎ হলো। পদ্মাবতী রত্নসেনকে দেখে বুঝলেন, শুক যে-কথা বলেছে তার কোথাও ত্রুটি নেই। পদ্মাবতী ও রত্নসেনের প্রণয়-সংবাদ পেয়ে পদ্মাবতীর বাবা রাজা গন্ধর্ব্যসেন ক্রুদ্ধ হলেন। রত্নসেনের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। এ সময় মহাদেবের আগমন এবং তার মধ্যস্থতায় অনেক আড়ম্বরের মধ্যে রত্নসেনের সঙ্গে পদ্মাবতীর বিয়ে হলো। এদিকে চিতোর বিরহিণী নাগমতী রাজার কথা ভেবে ভেবে এক বর্ষ কাটালেন। তাঁর বিলাপ শুনে পশুপাখি বিহ্বল হলো। একদিন অর্ধেক রাত্রে একটি পাখি নাগমতীকে তাঁর দুঃখের কারণ জিজ্ঞেস করলে নাগমতী তাঁকে রাজার কাছে পাঠিয়ে দিলেন। পাখির কাছে নাগমতীর দুঃখের কথা এবং চিতোরের হীন দশার কথা শুনে রত্নসেনের মনে দেশের কথা উদয় হলো। তিনি চিতোরের উদ্দেশে যাত্রা করলেন। যাত্রার প্রাক্কালে সমুদ্র রাজাকে অমূল্য রত্ন দিলো। এসব অমূল্য রত্ন নিয়ে রত্নসেন ও পদ্মাবতী চিতোরে উপস্থিত হলেন। নাগমতী ও পদ্মাবতী দুই রানীকে নিয়ে রাজা সুখে সময় নির্বাহ করতে লাগলেন। চিতোরের রাজসভায় যক্ষিণী সিদ্ধপণ্ডিত রাঘবচেতন দ্বিতীয়া নিয়ে অন্য পণ্ডিতদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হলেন। মিথ্যা এবং সত্যের পরীক্ষায় রাঘবের অপকৌশল ধরা পড়লে রাজা রত্নসেন তাঁকে নির্বাসনদণ্ড দিলেন। সকালেই তিনি কুম্ভলনের অভিমুখে যাত্রা করলেন। রত্নসেন এবং দেবপালের মধ্যে দ্বৈরথ যুদ্ধ হলো। দেবপাল নিহত হলেন। রত্নসেন আহত অবস্থায় চিতোরে ফিরে এলেন এবং অল্পদিন পরেই প্রাণত্যাগ করলেন। প্রথা অনুযায়ী পদ্মাবতী ও নাগমতী রত্নসেনের চিতায় আরোহণ করতে গেলেন। তারপর জীবনবাস্তবতা ব্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে কাহিনির পরিসমাপ্তি ঘটে।

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: