সিরাজউদ্দৌলার বেগম লুৎফুন্নেসার শেষ পরিনতি | History of Lutfunnesa Begum | রহস্য রোমাঞ্চকর ইতিহাস
Автор: রহস্য রোমাঞ্চকর ইতিহাস
Загружено: 2021-12-23
Просмотров: 14
সিরাজউদ্দৌলার বেগম লুৎফুন্নেসার শেষ পরিনতি | History of Lutfunnesa Begum | World Tour & History
লুৎফুন্নেসা বেগম (?-১৭৯০) নওয়াব সিরাজউদ্দৌলার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথমে তিনি ছিলেন সিরাজের মা আমিনা বেগমের একজন হিন্দু পরিচারিকা। তাঁকে রাজকুনোয়ার বলে ডাকা হতো। পরে সিরাজ তাঁকে বিয়ে করেন এবং নাম রাখেন লুৎফুন্নেসা বেগম।
১৭৪৮ সালে আফগান বিদ্রোহীদের হাতে সিরাজের পিতা বিহারের নায়েব নাজিম জৈনুদ্দিন আহমদ হায়বত জঙ্গ নিহত হন। সে সময় আলীবর্দী খান সিরাজকে তাঁর পিতার স্থলাভিষিক্ত করেন। তিনি অবশ্য সিরাজকে মুর্শিদাবাদে তাঁর সাথেই রাখার মনস্থ করেন। নায়েব-নাজিমের প্রকৃত দায়িত্ব রাজা জানকীরামের ওপর অর্পিত হয়।
লুৎফুন্নেসা বেগম সিরাজের প্রধান সহচরে পরিণত হন। পলাশী বিপর্যয়ের পর সিরাজ স্ত্রী লুৎফুন্নেসা, তাঁদের একমাত্র কন্যা জোহরা এবং একজন অনুগত খোজাসহ ১৭৫৭ সালের ২৪ জুন রাতে নিভৃতে শহর ত্যাগ করেন। কিন্তু অচিরেই তিনি ধরা পড়েন এবং সপরিবারে তাঁকে মুর্শিদাবাদ ফিরিয়ে আনা হয় এবং মীর জাফরের আদেশে সিরাজকে হত্যা করা হয়।
লুৎফুন্নেসাকে তাঁর কন্যাসহ মুর্শিদাবাদে বন্দি রাখা হয়। ১৭৫৮ সালে তাঁদেরকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। বুড়িগঙ্গা নদীর নিকট জিনজিরা প্রাসাদে তাঁরা সাত বছর অন্তরীণ থাকেন। ১৭৬৫ সালে লুৎফুন্নেসা মুক্তি পেয়ে মুর্শিদাবাদ ফিরে যান। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষ থেকে তাঁর এবং তাঁর কন্যার জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করা হয়। পরে লুৎফুন্নেসা এ পেনশন নিয়মিতভাবে লাভের জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে আবেদন জানান। প্রথমে তাঁর জামাতা এবং পরে ১৭৭৪ সালে তাঁর কন্যার মৃত্যু হলে তাঁদের রেখে যাওয়া চার কন্যার অভিভাবকত্বের দায়িত্ব লুৎফুন্নেসাকেই গ্রহণ করতে হয়।
চারজন এতিম পৌত্রীকে সুযোগ্য করে গড়ে তোলার প্রয়োজনে পেনশনের জন্য অনুরোধ জানিয়ে ১৭৮৭ সালের মার্চ মাসে লুৎফুন্নেসা গভর্নর জেনারেল কর্নওয়ালিস বরাবর আরেকটি আবেদন প্রেরণ করেন। কোম্পানির পক্ষ থেকে ভাতা বৃদ্ধির আবেদন নাকচ করে দিয়ে উল্লেখ করা হয় যে, লুৎফুন্নেসা বেগম প্রয়াত নওয়াবের বংশধরগণের জন্য পাঁচশত টাকা এবং নিজের জন্য একশত টাকা খরচ করতে পারবেন। পাটনায় লুৎফুন্নেসার শ্বশুরের সমাধিস্থল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নওয়াব আলীবর্দী তাঁকে একটি জায়গির অনুমোদন করেছিলেন। কোম্পানি এ ব্যবস্থাপনায় কোনরূপ হস্তক্ষেপ করেনি। এ সম্পত্তির মুতাওয়ালি হিসেবে লুৎফুন্নেসা সম্পত্তি থেকে অর্জিত অর্থে সমাধিস্থল দেখাশুনা অব্যাহত রাখেন।
নওয়াব আলীবর্দী এবং সিরাজের সমাধিসৌধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোম্পানি প্রতি মাসে তিনশত পঞ্চাশ টাকার অনুদান অনুমোদন করে। সমাধিস্থলে লুৎফুন্নেসা প্রতিদিন পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের ব্যবস্থা সহ বিকালে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সমাধি পরিদর্শন করতেন এবং সেখানে মোমবাতি জ্বেলে দিতেন।
১৭৯০ সালের নভেম্বর মাসে লুৎফুন্নেসার মৃত্যু হয়। খুশবাগে সিরাজউদ্দৌলার কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~
Powered by:
রহস্য রোমাঞ্চকর ইতিহাস
Hi friends,
Thank you very much for your support.
Help me to grow my channel and give a chance to entertaining you
Please Like, Comment, Subscribe and Share
Disclaimer :
Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: