স্বামী পরকীয়া করলে স্ত্রীর করণীয় | অবৈধ সম্পর্ক থাকলে কি করবেন।
Автор: Power of Islam Bd
Загружено: 2023-07-31
Просмотров: 14
আপনার ধারণা বা অনুমানের উপর নির্ভর করে স্বামীর প্রতি অপবাদ আরোপ করা উচিত হবে না যে, “অমুক নারীর সাথে আপনার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তার কাছে আপনার এত অধিক যাতায়াত কেন ? তার কাছে বসে বসে তুমি কি করো?” এসব প্রশ্ন তাকে করা যাবে না।
কারণ, স্বামী যদি আপনার আরোপিত অপবাদ থেকে পবিত্র হয়ে থাকে, তাহলে নিজেই ভেবে দেখোন- তার দুঃখ ও কষ্টের পরিমাণ কতটুকু হতে পারে। আর যদি সে বাস্তবেই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার রাগের কারণে, আপনার বকা-ঝকা দ্বারা তার উপর আপনার চাপ সৃষ্টি এবং শক্তি প্রয়োগের ফলে আপনি নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আপনি নিজে নিজে যদি স্বামীর সাথে মনের বিভাজন সৃষ্টি করতে চান, তাহলে এরূপ করতে পারেন। এভাবে সরাসরি তার উপর অপবাদ আরোপের ফলে, তার অভ্যাস পরিবর্তন ঘটবে তো দূরের কথা, বরং উভয়ের মাঝে তিক্ততাই শুধু বৃদ্ধি পাবে। এজন্য স্বামীর এ অভ্যাস পরিবর্তন করতে হলে হিকমত ও কৌশলের আশ্রয় নিতে হবে। নিরবে, ঠাণ্ডা মাথায় অতি সতর্কতার সাথে তাকে বুঝানো অব্যাহত রাখবেন। ফলে আল্লাহ যখন তাকে হেদায়েত করবেন, তার অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাবেন। তখন সে আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করবে আপনার পরিপূর্ণ অনুগত হয়ে যাবে। আর যদি আপনার এ হিকমত ও কৌশলপূর্ণ পন্থা ও উপদেশ দান সত্ত্বেও তার অভ্যাসের পরিবর্তন না ঘটে, তাহলে চরম ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিতে থাকোন । মানুষের কাছে প্রকাশ করে তাকে লজ্জিত ও অপমানিত করবে না। এজন্য তার সাথে ঝগড়া করারও চেষ্টা করবে না। কারণ, তার ফলে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। তার জিদ আরো বেশি বৃদ্ধি হয়ে যাবে ক্রোধের বশে সে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক শুরু করে দিবে। যদি আপনি ক্রুদ্ধ-উত্তেজিত হয়ে এবং লোকের সামনে ক্ষত-বিক্ষত করে দেন। অতঃপর স্বামী যখন বেঁকে বসবে, তখন সে হাই-হুতাশ করতে থাকবে।
মনে রাখবে, স্বামীর অন্তর একবার বিগড়ে যাওয়ার পর দু'চার দিনের মধ্যে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে অনুনয় বিনয় করে তাকে মানিয়ে নিলেও অন্তরের সে সম্পর্ক আর থাকবে না, যা পূর্বে ছিলো। হাজার অনুনয় বিনয় ও ক্ষমা প্রার্থনা করেও সেই পরিচ্ছন্ন অন্তর ও নির্ভেজাল ভালোবাসা আর পাওয়া যাবে না, যা পূর্বে ছিলো। কোন কথা হতে না হতেই তার স্মরণে এসে যাবে যে, এ তো সে-ই, যে অমুক অমুক দিন আমাকে এমন এমন কথা বলেছিলো।
এজন্য স্বামীর সাথে খুবই চিন্তা-ভাবনা ও বুদ্ধি-বিবেক প্রয়োগ করে চলবেন। এর দ্বারা আল্লাহ ও তার রাসূল খুশী হবেন। নিজের দ্বীন ও দুনিয়াও সুন্দর হবে। কখনও কোন কথায় বা কাজে একগুঁয়েমী করবে না। স্বামীর কোন কথা বা কাজ নিজের মনের খেলাফ হলে, তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ না করে তাকে সুযোগ দিবেন।
পরে কখনও সুযোগ মত তাকে বুঝিয়ে বলবেন।
স্বামীর বাড়ীতে দুঃখ-কষ্টের জীবন অতিবাহিত করলেও তা কখনও মুখে উচ্চারণ করবে না। নিজের দুঃখ কষ্টের কথা তাকে বলতে যাবে না। সর্বদা হাসি-খুশীতে থাকবে। স্বামীর সাথে ভাল আচরণ করবেন। তাহলে স্বামী দুঃখ পাবে না এবং আপনার এ মহৎ গুণের কারণে তার অন্তর সম্পূর্ণরূপে আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: