Salma and the Apple [Sib O Salma]- (2011)- سلما و سیب || Islamic Irani Movie
Автор: CHOBIWALA
Загружено: 2019-05-28
Просмотров: 5878
A young man eats an apple & then starts looking everywhere for its owner so he could ask for his consent.
একজন ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত যুবক নদীতে পরে থাকা আপেল খেয়ে ফেলে এবং তারপর সেই আপেল গাছটির মালিকের জন্য সর্বত্র সন্ধান শুরু করে যাতে সে তার মালিকের অনুমতি ছারা ফল খাওয়ার গুনাহ্টি ক্ষমা করিয়ে নিতে পারে।
.
Movie: Salma and the Apple [Sib O Salma]- (2011)- سلما و سیب
• Language: Persian
• Director: Habib Bahmani
• Producers: Mehdi Azimi Mirabadi
• Scriptwriters: Nasser Hashemzdeh
• Actors: Hadi Dibaji, Sogol Ghalatian, Jafar Dehghan, Esmaeil Khalaj.
• Director of Photography: Hassan Karimi
• Editors: Hassan Ayyoobi
• Sound: Babak Ardalan
• Music: Sattar Oreki
This Movie link: • Salma and the Apple [Sib O Salma]- (2011)-...
.
============================
.
উক্ত ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ছিলো এরকম যে-
.
একজন বিশিষ্ট বুযুর্গ ছিলেন সৈয়দ মুহাম্মদ আবু সালেহ। তিনি হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর সম্মানিত পিতা। এই মহান বুযুর্গ সর্বদা আল্লাহর ধ্যানে মশগুল থাকতেন। তরুণ বয়সেই আল্লাহ তা‘আল্লার মা‘রিফাত হাসিলের জন্য পাগলপারা হয়ে উঠে তাঁর মন।
একদিন তিনি দ্বীনী তাকাযায় বাহিরে বের হলেন। কিন্তু সার ও সামান কিছুই নেই। তিনি মহান আল্লাহর প্রেমে পাগলপারা হয়ে পথ চলতে থাকেন। চলতে চলতে কখনো বসে পড়েন গাছের নিচে। উঠে আবার পথ চলতে শুরু করেন।
এক সময় তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়লেন। পা আর সামনের দিকে চলতে চায় না। অপরদিকে পেটে খুব ক্ষুধা পেলো। তখন তিনি নদীর কাছে একটি গাছের নিচে বসে পড়েন।
.
হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন, নদীর স্রোতে একটি আপেল ভেসে আসছে। তখন অতি কষ্ট করে ফলটি নদী থেকে উঠিয়ে খেয়ে ফেললেন। ফল ও পানি খেয়ে তার শরীর একটু চাঙ্গা হলো।
কিন্তু তখনি তাঁর মনে পড়লো, এই ফলের মালিক কে--তা তো তিনি জানেন না! তিনি মনে মনে বললেন, মালিকের বিনা অনুমতিতে ফল খাওয়া তাঁর উচিত হয়নি। এটা তো চুরির শামিল। এতে আল্লাহ তা‘আলা নারাজ হবেন। পরকালে এর জন্য জাওয়াবদিহি করতে হবে।
এখন কী করবেন তিনি? কোথায় এই ফলের মালিককে পাবেন? তিনি গভীর ভাবনায় পড়ে গেলেন।
হঠাৎ তার মাথায় একটি বুদ্ধি এলো। তিনি ভাবলেন, হয়ত নদীর কিনারায় কারো ফলের গাছ বা বাগান আছে। আর সেখান থেকেই ফল পড়ে নদীতে ভেসে এসেছে। খোঁজ করলে পাওয়া যেতে পারে। এ কথা ভেবে তিনি তখনি স্রোতের বিপরীত দিকে হাঁটতে শুরু করলেন।
হাঁটতে হাঁটতে এক সময় তাঁর নজর পড়লো নদীর কিনারায় একটি আপেলের বাগানে। তিনি বুঝতে পারলেন, তিনি তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেছেন।
.
কিন্তু সেখানে কাউকে পেলেন না। তখন ভাবতে লাগলেন--বাগানের মালিককে কোথায় পাব? ভাবতে ভাবতে তিনি বাগানে প্রবেশ করলেন। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন, বাগানের মালিক একজন দরবেশ। বাগানের পাশেই তার বাড়ী।
সৈয়দ মুহাম্মদ আবু সালেহ মালিকের সন্ধান পেয়ে নিরস্ত হয়ে প্রবেশ করলেন তার বাড়ীতে।
মালিক তাকে দেখে প্রশ্ন করলেন, কে তুমি বাবা? কিসের জন্য এসেছ? তিনি বললেন, আমি একজন মুসাফির। ভুলে একটি অন্যায় করে ফেলেছি। এরপর তিনি আপেলের ঘটনা খুলে বললেন।
.
মালিক দরবেশের আর বুঝতে বাকী রইলো না যে, মুসাফির লোকটি একজন বড় বুযুর্গ। কিন্তু তিনি মনের কথা চেপে রাখলেন এবং বললেন--তোমার অপরাধ ক্ষমা করতে পারি, তবে আমার একটি শর্ত আছে। সৈয়দ সাহেব বললেন, বলুন, কী শর্ত। আমি তা যথাযথভাবে পালন করব। দরবেশ বললেন, আমার গৃহে বার বছর মজুর হয়ে থাকতে হবে। তিনি দেনা মুক্তির জন্য তাতে রাজী গেলেন।
.
দেখতে দেখতে একদিন বার বছর কেটে গেল। এবার বিদায়ের পালা। সৈয়দ সাহেব দরবেশকে বললেন--হুজুর! এবার আমাকে বিদায় দিন।’
.
তখন ঘটলো এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। দরবেশ বললেন, আমার একটি মেয়ে আছে। মেয়েটি অন্ধ, বোবা, খঞ্জ। তোমার তাকে বিয়ে করতে হবে।
সৈয়দ সাহেব ভাবলেন, একটি আপেলের জন্য ১২টি বছর গোলামী করলাম। আবার তার অন্ধ, বোবা, খঞ্জ মেয়েকে বিবাহ করতে হবে! এরপর তিনি আবার ভাবলেন, এ কারণে যদি গুনাহ মাফ হয়, তাহলে তা-ই করবো। সুতরাং তিনি রাজী হয়ে গেলেন এবং দরবেশকে বললেন, আপনি বিবাহের ব্যবস্থা করুন।
তা শুনে দরবেশ খুশী হলেন। তিনি বিবাহের ব্যবস্থা করলেন।
.
বিবাহের পর সৈয়দ সাহেব ঘরে প্রবেশ করলেন স্ত্রীকে দেখার জন্য। কিন্তু তিনি গিয়ে যা দেখলেন তা তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ঘরে বসে আছে এক পরমা সুন্দরী মেয়ে! তার স্ত্রী তো অন্ধ, বোবা, খঞ্জ হওয়ার কথা। কিন্তু এই মেয়ে তো নিখুঁত সুন্দরী। তখন তিনি ভাবলেন, কোনরকম ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে মনে হয়।
.
তৎক্ষণাত তিনি তার স্ত্রী সম্পর্কে তার শ্বশুরকে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন দরবেশ বললেন, ওই মেয়েটিই তোমার স্ত্রী। আর আমি যে অন্ধ, বোবা, খঞ্জ বলেছি, তা-ও সঠিক। কেননা, আমার মেয়ে কখনো কোন বেগানা পুরুষের মুখ দেখেনি। তাই বলেছি, অন্ধ। দ্বিতীয়ত তার মুখ দিয়ে কখনো অন্যায় কথা বের হয়নি। সে জন্য বলেছি, বোবা। তৃতীয়ত কখনো ভুলেও সে অন্যায় পথে পা বাড়ায়নি। তাই বলেছি, খঞ্জ।
সৈয়দ সাহেব শ্বশুরের মুখ থেকে এ কথা শুনে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করলেন। জীবনের বারটি বছরের বিনিময়ে পেলেন এক পরমা সুন্দরী স্ত্রী। আর তার মাধ্যমে মহান আল্লাহর পক্ষ হতে পেলেন এক মহাপুরস্কার। আর সেই মহাপুরস্কার হলো তাদের ঔরশজাত সন্তান বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)।
.
[সূত্রটা এই ঘটনা থেকে হলেও, এই মুভিটির শেষের ঘটনাটির সাথে তা মিল দেখানো হয়নি।]
.
ধন্যবাদ সবাইকে।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: