বেনজির আহমেদকে নিয়ে আবারও বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য || Benazir Ahmed News ২হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
Автор: Taj tv
Загружено: 2024-05-06
Просмотров: 681268
বেনজির আহমেদকে নিয়ে আবারও বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য || Benazir Ahmed News || ২হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ
_____________________
#benzirahmed #PoliceIgp #sheikhhasina
_____________________
বেনজীর ও তাঁর পরিবারের আয়কর নথি দুদকে
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের আয়কর নথি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও কম্পানির কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশনের অনুসন্ধানদল এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে। দুদক সূত্র কালের কণ্ঠকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে বেনজীর এবং তাঁর পরিবারের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান গাজী ও সহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদীন।
দুদক সূত্র জানায়, গত ২৪ ও ২৫ এপ্রিল দেশের ব্যাংকগুলোতে বেনজীর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাবেক ও বর্তমান চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআর, ডিপিএসসহ যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি দেওয়া হয়েছে। সাবরেজিস্ট্রার অফিস, জয়েন্ট স্টক কম্পানি, স্টক এক্সচেঞ্জ, সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরেও তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এসব তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনার পর বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
এরও আগে গত ২১ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরের দিন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এক সংবাদ সম্মেলনে বেনজীর আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরুর তথ্য জানান। এদিকে গত ২৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী দুই মাসের মধ্যে দুদকের অনুসন্ধান কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
কালের কণ্ঠে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ ও ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল পৃথক দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন দুটি প্রকাশের পর দেশে-বিদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে। মূলত এর পরই দুদক বেনজীর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
সাভানা ইকো রিসোর্ট
গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রাম। নিভৃত এই পল্লীর মাঝে গড়ে তোলা হয়েছে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র, যেখানে এক রাত থাকতে হলে গুনতে হয় অন্তত ১৫ হাজার টাকা।
রিসোর্টের ভেতরে ঘুরে দেখা গেছে, একই সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর হাতে গড়া আভিজাত্যের অপরূপ মিশেল। বিশাল আকৃতির ১৫টি পুকুরের চারপাশে গার্ড ওয়াল, দৃষ্টিনন্দন ঘাট, পানির কৃত্রিম ঝরনা ও আলোর ঝলকানি। পার ঘেঁষে রয়েছে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স কটেজ। প্রায় এক হাজার ৪০০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ওই ইকো রিসোর্টে বিভিন্ন জায়গায় মাটি ভরাট করে বানানো হয়েছে কৃত্রিম পাহাড়। সাগরের কৃত্রিম ঢেউ খেলানো সুইমিংপুলও রয়েছে। রয়েছে উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেমসহ বিশাল আকৃতির কনসার্ট হল। রিসোর্টের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে ‘বিশেষ’ পুলিশ ফাঁড়ি। যাতায়াতের জন্য সরকারি খরচে বানানো হয়েছে সাত কিলোমিটারের বেশি পাকা সড়ক। এই রিসোর্টের মালিক বেনজীর আহমেদ এবং তাঁর পরিবার।
ছয়টি কম্পানিসহ অঢেল সম্পদ
শুধু একটি ইকো রিসোর্টই নয়, পুলিশের সাবেক এই প্রভাবশালী শীর্ষ কর্মকর্তা তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের নামে অন্তত ছয়টি কম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। এর বাইরে রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলোয় রয়েছে বেনজীর আহমেদের অঢেল সম্পদ। দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর রাজধানীর কাছেই বিঘার পর বিঘা জমি। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস এবং পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরো ১০ বিঘা জমি।
বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট
গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল গড় ইউনিয়নের নলজানী গ্রামে ১৬০ বিঘা জমির ওপর বিস্তৃত ভাওয়াল রিসোর্ট। ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল প্রায় ১০৬ বিঘা জমির ওপর এটির যাত্রা শুরু। পরে এতে যোগ হয় আরো ৫৪ বিঘা জমি। কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই রিসোর্টের বড় অংশ গড়ে তোলা হয়েছে বনের জমি দখল করে। এর জন্য নেপথ্যে থেকে সহায়তা করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। কারণ, এই রিসোর্টের এক-চতুর্থাংশ শেয়ারের মালিক তিনি।
পাচারের টাকায় বিদেশে সম্পদের পাহাড়
পুলিশের সাবেক আইজিপি ও র্যাবের সাবেক ডিজি বেনজীর আহমেদের দুবাই, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় বিপুল বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন পদে চাকরির সুবাদে বিভিন্ন উৎস থেকে অবৈধ উপার্জনের টাকা পাচার করে বিনিয়োগ করেছেন বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদের দুবাইয়ে রয়েছে শতকোটি টাকার হোটেল ব্যবসা। সিঙ্গাপুরে প্রতিষ্ঠা করেছেন অর্ধশত কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের সোনার ব্যবসা। এ ছাড়া থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় জমি কিনেছেন বলে জানা গেছে। Benazir Ahmed
Bangladesh Police
Inspector General of Police
Law enforcement
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: