গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস | History Of Gopalganj district | গোপালগঞ্জ জেলা | Gopalganj District |
Автор: Totther Somahar
Загружено: 2022-10-26
Просмотров: 758
গোপালগঞ্জ জেলার নামকরনের ইতিহাস | History Of Gopalganj district | গোপালগঞ্জ জেলা | Gopalganj District
গোপালগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা যা ঢাকা বিভাগ এর অন্তর্গত। গোপালগঞ্জ জেলার আয়তন ১৪৮৯.৯২ বর্গ কিলোমিটার। গোপালগঞ্জ জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা ও বরিশাল জেলা, পূর্বে মাদারিপুর ও ফরিদপুর জেলা ও পশ্চিমে নড়াইল জেলা অবস্থিত।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে মধুমতি নদী বিধৌত একটি জেলা। ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ১৩টি জেলার একটির নাম গোপালগঞ্জ।
এ জেলার পূর্বে মাদারীপুর জেলা ও বরিশাল জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা, বাগেরহাট জেলা ও খুলনা জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলা ও মাগুরা জেলা এবং উত্তরে ফরিদপুর জেলা অবস্থিত। এ জেলার পূর্ব সীমানার খাটরা গ্রামের অধিবাসী হিন্দু ধর্মালম্বীরাই এ অঞ্চলে প্রথমে বসতি স্থাপন করে।
ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ সাধারনত সড়ক পথেই যাতায়াত করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ জেলায় সড়ক পথে যাতায়াত করতে সময় লাগে ৫ থেকে ৫:৩০ ঘণ্টা, তবে ফেরী পারাপারের সময় যানজট থাকলে সময় বেশি লাগে।
গাবতলী ও সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে বেশ কয়েকটি বাস গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এ সব বাস গুলোর মধ্যে আজমেরী পরিবহন, কমপোর্ট পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহন, আনন্দ পরিবহন, বনফুল পরিবহন ও হামিম পরিবহন অন্যতম।
অনেক দিন আগে যখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিলো পুরো ভারতবর্ষ তখন আজকের বাংলাদেশ কে পূর্ববঙ্গ নামে ডাকা হতো। আর এই পূর্ববঙ্গের তৎকালীন ফরিদপুর জেলার একটি মহকুমা ছিলো আজকের গোপালগঞ্জ জেলা। এই গোপালগঞ্জ জেলা এক সময় রাজগঞ্জ নামেও পরিচিত ছিল। তখন ছিল ব্রিটিশ রাজত্ব।গোপালগঞ্জ অঞ্চলটি মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদার রাণি রাসমনির দায়িত্বে ছিল।তিনি এক জেলে কন্যা ছিলেন। তিনি একদিন এক ইংরেজ সাহেবের প্রাণ রক্ষা করেন।তখন ছিল সিপাই মিউটিনির সময়। পরবর্তীতে তারই পুরস্কার স্বরূপ ইংরেজরা তাকে সম্পূর্ণ মাকিমপুরে অঞ্চল দিয়ে দেন। রানী রাসমনির নাতি ছিলেন গোপাল। সেই গোপালের নামানুসারে রাজগঞ্জের নাম হয় গোপালগঞ্জ।গোপালগঞ্জ জেলা পাঁচটি উপজেলায় বিভক্ত। র
বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ - জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় অবস্থিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছুসংখ্যক বিপথগামী সেনা অফিসারের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধুকে এখানে সমাধিস্থ করা হয়। সমাধি সৌধটিকে বর্তমানে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় পরিণত করা হয়েছে।মুকসুদপুরের ঐতিহাসিক নিদর্শন - ঐতিহাসিক নিদর্শনে মুকসুদপুর সমৃদ্ধ। স্থাপত্য শিল্পে আভিজাত্যের স্বাক্ষর বহন করে আসছে বাটিকামারীর রায় বাড়ী, বনগ্রাম ভুঁইয়া বাড়ি ও নারায়ণপুরের মুন্সী বাড়ীর বহু কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতলা ইমারত সমূহ। মার্বেল ও মোজাইক পাথরের ব্যবহার ও নির্মাণ শৈলিতে যা আজও কালের সাক্ষী।খাগাইল গায়েবী মসজিদ- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে একটি পুরাতন পাকা মসজিদ রয়েছে। মসজিদটির নির্মাণের সন তারিখ জানা যায় না, তবে স্থানীয় লোকজন এটিকে 'গায়েবী মসজিদ' বলে অবহিত করে থাকেন। মসজিদটির নির্মাণ শৈলি দেখে অনুমান করা যায় এটি আনুমানিক ১৫০ বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছে।কোর্ট মসজিদ- গোপালগঞ্জ জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জেলার কেন্দ্রীয় মসজিদ কোর্ট মসজিদ। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল খাজা নাজিমুদ্দিন মসজিদটির শুভ উদ্ধোধন করেন এবং পরবর্তীতে স্থানীয় মহকুমা প্রশাসক কাজী গোলাম আহাদের বদান্যতায় তা নির্মিত হয়। মসজিদটিতে সুদৃশ্য উচ্চ মিনারসহ বৃহদাকার প্রবেশ গেট এবং একটি সুদৃশ্য বড় গম্বুজ ও দুটি ছোট গম্বুজ রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী মসজিদটির নির্মাণ শৈলি দৃষ্টিনন্দন।শুকদেবের আশ্রম- সদর উপজেলাধীন তেঘরিয়া মৌজায় বৈরাগীর খালপাড় ছুঁয়ে শুকদেবের আশ্রমটি অবস্থিত। আশ্রমটি আনুমানিক ১৮০২ সালে চন্দ্রগোঁসাই নামে এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠা করেন। মূল উদ্দেশ্য অনাথদের আশ্রয়সহ সেবা প্রদান। পরবর্তীতে শুকদেব আশ্রমের দায়িত্বভার বহন করেন এবং সংসার ত্যাগী শুকদেব ঠাকুর ভগবানের কৃপায় আরাধনার মাধ্যমে অনেক বধির, বিকলাঙ্গ, বিভিন্ন ধরনের অসুস্থ মানুষের আরোগ্য লাভে সক্ষম হয়।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: