ধানের ব্লাস্ট রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
Автор: KRISHI KORCHA
Загружено: 17 апр. 2020 г.
Просмотров: 4 448 просмотров
ব্লাস্ট রোগ ধানের ছত্রাক জাতীয় রোগ
ব্লাস্ট বীজ, বাতাস, কীটপতঙ্গ ও আবহাওয়ার মাধ্যমে ছড়ায়।
রাতে ঠাণ্ডা, দিনে গরম ও সকালে পাতলা শিশির জমা হলে এ রোগ দ্রুত ছড়ায়।
জমিতে মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া সার এবং প্রয়োজনের তুলনায় কম পটাশ সার দিলে এ রোগের আক্রমণ বেশি হয়।
ধান গাছের ৩টি অংশে রোগটি আক্রমণ করে থাকে।
১. পাতা ২. গিট এবং ৩.শীষ ।
পাতায় প্রথমে ডিম্বাকৃতির ছোট ছোট ধূসর বা সাদা বর্ণের দাগ দেখা যায়।
দাগগুলোর চারদিক গাঢ় বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে।
পরবর্তীতে এ দাগ ধীরে ধীরে বড় হয়ে চোখের আকৃতি ধারণ করে।
অনেক দাগ একত্রে মিশে পুরো পাতাটাই মেরে ফেলতে পারে।
এ রোগে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হলে জমিতে মাঝে মাঝে পুড়ে যাওয়ার মতো মনে হয়।
ধান গাছের থোড় বের হওয়ার পর থেকে এ রোগ দেখা যায়।
গিঁটে কালো রঙের দাগ সৃষ্টি হয়।
ধীরে ধীরে এ দাগ বেড়ে গিঁট পচে যায়, ফলে ধান গাছ গিঁট বরাবর ভেঙে পড়ে।
এ রোগ হলে শীষের গোড়া অথবা শীষের শাখা প্রশাখার গোড়ায় কাল দাগ হয়ে পচে যায়।
শীষ অথবা শীষের শাখা প্রশাখা ভেঙে পড়ে। ধান চিটা হয়।
রোগের শুরুতে জমিতে পানি ধরে রাখতে হবে ও ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে।।
৫ কেজি এমওপি সার/বিঘা উপরি প্রয়োগ অথবা ৫ গ্রাম/ লিটার স্প্রে করতে হবে।
আক্রমণের অনুকূল আবহাওয়া দেখা দিলে ব্লাস্ট ছড়িয়ে পড়ার আগেই ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে এবং
আক্রমণ দেখা দেয়ার সাথে সাথেই ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে ।
ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের কীটনাশক ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি বা
টেবুকোনাজল + ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রবিন গ্রুপের কীটনাশক নাটিভো ৭৫ ডব্লিউ জি বা
ট্রাইসাইক্লাজোল+প্রোপিকোনাজল গ্রুপের কীটনাশক ফিলিয়া ৫২৫ এসই বা
ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের কীটনাশক দিফা ৭৫ ডব্লিউ বা
এজোক্সিস্ট্রবিন+ডাইফেনোকোনাজল গ্রুপের কীটনাশক এমিস্টার টপ বা
টেবুকোনাজল + টাইফ্লক্সিস্ট্রবিন গ্রুপের কীটনাশক ব্লাস্টিন ৭৫ ডব্লিউ ডি জি বা
পাইরাক্লোস্ট্রোবিন গ্রুপের কীটনাশক সেলটিমা
১০-১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: