পশ্চিমবঙ্গের মরিচঝাঁপি হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ কাহিনী | Marichjhapi massacre | ইতিহাস | Bangla
Автор: Ami Avijit Bolchi
Загружено: 2024-04-19
Просмотров: 5455
মরিচঝাঁপি একটি দ্বীপের নাম। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সুন্দরবনের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবস্থিত মোটামুটি দেড়শো বর্গকিমির একটি ছোট্ট নির্জন দ্বীপ। দক্ষিন ২৪ পরগনার আর পাঁচটা দ্বীপের মতো মরিচঝাপি কিন্তু সমুদ্রের অভ্যন্তরে নয়। সংরক্ষিত সুন্দরবনের ভিতরে কতগুলি নদী, উপনদী বেষ্টিত একটা দ্বীপ। উত্তরদিকে নদীর ওপারে রয়েছে কুমিরমারি ও ছোট মোল্লাখালি, আর পূর্বে সাতজেলিয়া ও সাধুপুর। পূর্বে কিছুটা গেলেই নদীর ওপারে বাংলাদেশের সুন্দরবন।
মরিচঝাপি যেহেতু সংরক্ষিত বনাঞ্চল, সেই কারনে সেখানে মানুষের বসবাস আইনসিদ্ধভাবেই নিষিদ্ধ। ব্রিটিশ সরকারের সময় থেকেই ভারত সরকার এই ধরনের বনাঞ্চলে কোন ধরনের মানুষের স্থায়ী বসবাস করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে। ফলে এই ধরনের বনাঞ্চল রক্ষা করতে সংস্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিও আইনানুগভাবেই বাধ্য।
১৯৭৭ সাল। বামফ্রন্ট সরকার তৈরি হল। কেন্দ্রে জনতা দলের সরকার। বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু মানুষের স্রোত তখনও আসা বন্ধ হয়নি। মধ্যপ্রদেশের মানা ক্যাম্প, উড়িষ্যার দন্ডকারন্য ক্যাম্পেও ঠাই নাই ঠাই নাই অবস্থা। আর বাংলাভাষী মানুষ বাংলারই কোন জায়গায় আশ্রয় নিতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। ফলে অন্য রাজ্যের ক্যাম্প থেকে বাংলায় এসে বসবাস করার একটা তাগিদ উদ্বাস্তুদের ছিলই। তাঁর উপরে উদ্বাস্তু আন্দোলনে সফল বামফ্রন্ট সরকারে এসেছে, সুতরাং একটা ব্যবস্থা ঠিক হয়ে যাবে, এমন ধারনাও উদ্বাস্তু মানুষের মধ্যে ছিল। পাশাপাশি কিছু অবিবেচক নেতা গোছের মানুষ, যারা নিজেরাই অনেক বেশি দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছিলেন, পরবর্তী পরিস্থিতির বিচার বিবেচনা না করেই। বামফ্রন্টের নেতানেত্রীদের ক্ষমতায় আসার আগে উদ্বাস্তু বিষয়ক কিছু বক্তব্যও এই ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল। এমন কিছু মানুষ, যারা পরে মরিচঝাপি আন্দোলনের মধ্যমনি ছিলেন, তাদের প্রশ্রয়ে, বক্তব্যে, সাহায্যে দলে দলে প্রথমে বর্ধমান ও পরে কাকদ্বীপ ষ্টেশানে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে তারা কুমিরমারী ও সাতজেলিয়া দিয়ে পৌঁছে যান মরিচঝাপি।
মনে রাখতে হবে সময়টা ১৯৭৮ সাল। ফলে দ্রুত খবর প্রশাসনের কাছে পৌঁছে যাবে সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দেরিতে হলেও খবর গিয়েছিল। তাদের মাধ্যমে উপরেও খবর গিয়েছিল। কিন্তু ঠিক কত মানুষ দ্বীপে গিয়েছে, সেই তথ্য প্রশাসনের কাছে ছিল না। তাঁর কারন, প্রথম থেকেই প্রশাসন ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি থেকেই গিয়েছে। ১৪ হাজার থেকে চল্লিশ হাজার নানা মুনির নানা মতের লেখা বেরিয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা জানা প্রশাসনেরও সম্ভব হয়নি। সেই সময়ের খবরের কাগজগুলি, আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, প্রশাসনের বক্তব্য, সংসদীয় দলের রিপোর্ট, স্থানীয় মানুষের বক্তব্যে তাই সংখ্যা নিয়ে ভুতুড়ে হিসেব আজও রয়ে গিয়েছে।
#biography
#viralvideo
#history
#marichjhapi
#abpananda
মরিচঝাঁপি হত্যাকাণ্ড
মরিচঝাঁপি
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: