উদ্বোধনের আগেই ভাঙ্গা হচ্ছে ২২ হাজার কোটি টাকার থার্ড টার্মিনালের সিলিং Airport third terminal BD
Автор: Talk ik
Загружено: 2025-12-11
Просмотров: 4057
ভাঙতে হচ্ছে 22 হাজার কোটি টাকায় নির্মিত স্বপ্নের স্থাপনা থার্ড টার্মিনালের সিলিং ✈️🇧🇩 বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণে মিলেছে ত্রুটি যে ছাদ বা সিলিং এর নান্দনিকতা দেখে মুগ্ধ হওয়ার কথা ছিল উদ্বোধনের আগেই সেই সিলিং ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ,😓
কারণটা খুবই হতাশাজনক এত বড় মেগা প্রজেক্ট বিশ্বের নামিদামি সব আর্কিটেক্ট আর ইঞ্জিনিয়ার অথচ তারা ভুলে গেছেন সামান্য একটা বিষয় আর তা হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এই টার্মিনালের মূল নকশাতেই রাখা হয়নি
মোবাইল নেটওয়ার্কের কোন ব্যবস্থা। দৃশ্য তো সবকিছু ঠিকঠাক। চেক ইনকাউন্টার, ইমিগ্রেশন, লাউঞ্জ সবই প্রস্তুত। 99 শতাংশ কাজ শেষ করে টার্মিনালটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। বিবিচকের কর্মকর্তারা আবিষ্কার করলেন ভবনের ভেতরে ঢুকলে মোবাইল ফোনে কোন নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টা অনেকটা এমন আপনি বিদেশ থেকে ল্যান্ড করলেন কিন্তু প্রিয়জনকে একটা কল দিতে পারছেন না। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এমন একটি স্মার্ট টার্মিনাল কি কল্পনা করা যায়?
অথচ এই 21 হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে ঠিক এই সিলি মিস্টেক বা ছোট ভুলটি হয়েছে। স্থপতি রোহানী বাহারিনের বিশ্বমানের নকশায় ইনবিল্ড সলিউশন বা নেটওয়ার্কের তার টানার কোন জায়গা রাখা হয়নি। ভুল যখন ধরা পড়লো তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। গত নভেম্বর মাসে বেবিচোখের জরুরি বোর্ড সভায় বিষয়টি নিয়ে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়। প্রকৌশলীরা জানান, এখন নেটওয়ার্ক বসাতে হলে এই নান্দনিক সিলিং ভাঙ্গা ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নেই। কর্মকর্তারা বলছেন সিলিং এর ভেতর দিয়ে তার এবং যন্ত্রপাতি না বসালে পুরো টার্মিনালটি একটি নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হবে।
কিন্তু এই ভাঙ্গা গড়ার খেলায় মাসুল দিতে হবে চড়া দামে। একেত নষ্ট হবে টার্মিনালের অরিজিনাল ফিনিশিং এবং সৌন্দর্য তার উপর গচ্ছা যাবে সরকারের কোটি কোটি টাকা। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বানানোর প্রকল্পে এমন পরিকল্পনাহীনতা সত্যিই হতাশাজনক। সমস্যার সমাধান খুঁজতে যখন মোবাইল অপারেটরদের ডাকা হলো তখন তৈরি হলো আরেক জটিলতা। গ্রামীণফোন রবি ও বাংলালিংক স্পষ্ট জানিয়ে দিল তারা শুধু জায়গার ভাড়া দিতে রাজি কিন্তু আয়ের কোন ভাগ বা রাজস্ব শেয়ারিং তারা বিবিচককে দেবে না। সংকট যখন চরমে তখন দাতা হয়ে এগিয়ে এলো সরকারি অপারেটর টেলিটক। সিদ্ধান্ত হয়েছে
টেলিটকই সিলিং ভেঙ্গে নেটওয়ার্ক বসাবে এবং অন্য অপারেটরদের এই নেটওয়ার্কে যুক্ত করবে। বিনিময়ে আয়ের একটি অংশ তারা বিবিচককে দেবে। প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের জন্য এই চুক্তি হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ ভাঙ্গা সিলিং জোড়া লাগানোর দায়িত্ব এখন টেলিরকের কাঁধেই। কথা ছিল চলতি মাসেই বা নির্বাচনের আগেই পর্দা উঠবে এই স্বপ্নের টার্মিনালের। কিন্তু সিলিং ভাঙ্গা ও মেরামতের এই নতুন ঝামেলার কারণে উদ্বোধন কিছুটা পেছাতে পারে। এলিমিনেট এক্সপ্রেসওয়ে ভূগর্ভস্থ রেলপথ আর টানেল নিয়ে যুক্ত হওয়া এই আধুনিক বিমানবন্দরটি আমাদের গর্ব। কিন্তু
প্রশ্ন থেকেই যায় জাপানি অর্থায়ন আর বিশ্ববিখ্যাত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থাকার পরেও এমন মৌলিক ভুল হয় কি করে? 22 হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে সিলিং হয়তো মেরামত করা যাবে। কিন্তু পরিকল্পনার এই ফাটল কি আদৌ মেরামত করা সম্ভব?
#airport #Teletalk #network #Sim #wifi #technology #ismailvaivlog
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: