Популярное

Музыка Кино и Анимация Автомобили Животные Спорт Путешествия Игры Юмор

Интересные видео

2025 Сериалы Трейлеры Новости Как сделать Видеоуроки Diy своими руками

Топ запросов

смотреть а4 schoolboy runaway турецкий сериал смотреть мультфильмы эдисон
dTub
Скачать

গোপাল ভাঁড় নামে কি সত্যিই কেউ ছিলেন ? || Was Gopal Bhar really a living person?

Автор: Manas Bangla

Загружено: 2025-01-23

Просмотров: 6918

Описание:

সাধারণ জনশ্রুতি অনুযায়ী গোপাল ভাঁড় ছিলেন বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার অন্যতম সভাসদ। সেকালের প্রেক্ষাপটে নদিয়া তথা নবদ্বীপে অভূতপূর্ব এক সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছিল রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পৌরহিত্যে। রাজসভায় বিচিত্র প্রতিভার সমাবেশ ঘটিয়েছিলেন তিনি (১) কবি রামপ্রসাদ সেন (২) পণ্ডিত বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার। (৪) কৃষ্ণানন্দ বাচস্পতি (৫) জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন (৬) হরিরাম তর্কসিদ্ধান্ত, (৭) ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর—কে না ছিলেন তাঁর সভাসদ! কিংবদন্তি বলছে, এই রাজসভারই অন্যতম আরেক সভাসদ ছিলেন গোপাল ভাঁড়। ইতিহাস নয় বরং প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় গোপাল ভাঁড় ছিলেন বিশেষ সমাদৃত। কারো কারো মতে আগেকার দিনে রাজা মহারাজারা নিজেদের মহত্ত্ব প্রচার করার জন্য পারিষদদের দিয়ে এই সমস্ত প্রচার করাতেন। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের 'অন্নদামঙ্গল' কাব্যেও কোথাও গোপাল ভাঁড়ের কোনও উল্লেখ পাওয়া যায়না। কারো কারো মতে, রক্তমাংসের মানুষ হিসেবে সত্যিই গোপার ভাঁড় বলে কেউ ছিলেন না । রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নির্দেশে ১৭৫০ থেকে ১৭৫৩-এর মধ্যে ভারতচন্দ্র রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত অন্নদামঙ্গল কাব্য। তাতে কৃষ্ণচন্দ্রের প্রশস্তি যেমন আছে, তেমনি আছে তাঁর প্রায় সব সভাসদ ও তাঁর রাজকার্যের অনুপুঙ্খ বর্ণনা। তবে গোপাল ভাঁড়-বিষয়ে আশ্চর্যজনকভাবে নীরব ভারতচন্দ্র। তাঁর লেখায় রাজসভার বাজনাদারদের নাম পাওয়া গেলেও গোপাল যে কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার সভাসদ, গোটা বইয়ের কোথাও তার কোনো প্রমাণ নেই। শুধু কি তাই, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের যে নথিপত্র পরবর্তীকালে পাওয়া যায়, সেখানে অন্য সভাসদদের উল্লেখ থাকলেও গোপাল ভাঁড়ের বিষয়ে কিছুই লেখাজোকা নেই। উপরন্তু কৃষ্ণচন্দ্র যে দিনলিপি লিখেছেন, তাতেও গোপালের কথা পাওয়া যায় না। কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে মোগল রীতিতে আঁকা কৃষ্ণচন্দ্র ও তাঁর সভাসদদের একটি তৈলচিত্র আছে। সেখানে রাজাকে ঘিরে যে পাঁচজন ব্যক্তিকে দেখা যায় তাদের মধ্যে ডানদিকে মহারাজের সামনে দাঁড়ানো স্থূল চেহারার ব্যক্তিটিকে অনেকেই গোপাল ভাঁড় হিসেবে মনে করেন। যদিও কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে মহারাজার সঙ্গে গোপালের যে তেলচিত্র রয়েছে তা শিল্পীর কল্পনায় আঁকা। কারণ, ছবিটি আঁকা হয়েছিল গত শতাব্দীতে স্থানীয় মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। আবার গোপাল ভাঁড় ও লর্ড ক্লাইভের করমর্দনের একটি তৈলচিত্রও এখন দেখতে পাওয়া যায়। যদিও গবেষকেরা একে কাল্পনিক চিত্রের বেশি মান্যতা দেননি. অনেকেই বিশ্বাস করেন রক্তমাংসের মানুষ হিসেবে সত্যিই গোপাল ভাঁড় ছিলেন, এর একটি বড় সূত্র, হলো কৌতুকবিলাস নামে এক কাব্য। ‘নবদ্বীপাধিপতি শ্রীলশ্রীযুক্ত মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের জীবনব্যবস্থার কৌতুক সংগ্রহ’ নামেও যেটি পরিচিত। রচয়িতা শ্যামাচরণ মুখোপাধ্যায়। এই বইটিকে গোপাল ভাঁড়ের ‘আদি আকর’ বলে মনে করেন অনেকেই। রক্তমাংসের গোপাল ভাঁড়ের অস্তিত্বের স্বপক্ষে সবচেয়ে বড় আকর হিসেবে চিহ্নিত নবদ্বীপ কাহিনী । নবদ্বীপ কাহিনীতে দেওয়া আছে একটি তথ্য, গোপালরা ছিলেন দুই ভাই। বড় ভাই কল্যাণ আর ছোট ভাই গোপাল। তাঁর জন্ম অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি, মুর্শিদাবাদে। গোপালের একটি পুত্র ও রাধারাণী নামে একটি কন্যা ছিল। রাধারাণীর দুই পুত্র রমেশ ও উমেশ। বহুদিন হলো সে বংশ লোপ পেয়েছে।’ নগেন্দ্রনাথের কথা অনুযায়ী, গোপালের বংশ লোপ পেলেও তিনি তাঁর ভাই কল্যাণের নবম অধস্তন পুরুষ। তবে যুক্তি-তর্ক বিবেচনায় নবদ্বীপ–কাহিনীতে বিবৃত আখ্যানগুলোকে অনেকেই কিংবদন্তি আর জনশ্রুতির মিলিত প্রয়াস হিসেবে দেখেছেন। সেই উনিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগ থেকে রক্তমাংসের গোপালকে নিয়ে যে চর্চার শুরু, তা এখনো চলমান। ১৯১১ সালে লেখা বিখ্যাত নদিয়া কাহিনীতে কুমুদনাথ মল্লিক লিখেছেন, ‘গোপাল ভাঁড় নরসুন্দর বংশীয় ছিলেন, কেহ কেহ উহাকে কায়স্থ বলিয়া থাকেন। তাহার নিবাস শান্তিপুরে ছিল।’ অন্যদিকে ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতং নামে যে সংস্কৃত গ্রন্থ ছিল, শুরুতে সেখানে গোপাল ভাঁড়ের নামোল্লেখ না থাকলেও নদিয়া রাজদরবারের দেওয়ান কার্তিকেয়চন্দ্র রায় ১৮৭৫ সালে যখন এটি বাংলায় অনুবাদ করলেন এবং পরিবর্ধিত আকারে ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতং নামে প্রকাশ করলেন, তখন ওই সংস্করণে ঘোষিত হলো গোপালের অস্তিত্ব, ‘গোপাল ভাঁড় নরসুন্দর জাতীয় শান্তিপুর নিবাসী। তাহার বংশ লুপ্ত হইয়াছে।’ নদিয়া জেলার গেজেটেও জে এইচ গ্যারেট গোপাল ভাঁড়ের শারীরিক উপস্থিতি স্বীকার করে তাঁর বাড়ি কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি গ্রামে বলে উল্লেখ করছেন। গোপালভাঁড়কে নিয়ে আরও যেসব তথ্য গোলমাল পাকায়, সেগুলো তাঁর জাতি, বাসস্থান, পড়ালেখা, পদবি প্রভৃতি তথ্যের বিভিন্নতার কারণে। ‘জাতিতে নাপিত’-এর বিপরীতে কোনো কোনো গবেষক গোপালকে কায়স্থ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অনেকের মতে, তিনি বাস করতেন কৃষ্ণনগরে। আর ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতং–এর ভাষ্য বলছে, তিনি ছিলেন শান্তিপুরের বাসিন্দা। আবার নগেন্দ্রনাথ বসু সম্পাদিত বিশ্বকোষ-এ পাওয়া যাচ্ছে, গোপালের বাড়ি গুপ্তিপাড়া। কারও ভাষায়, তিনি পড়ালেখা জানতেন। কেউ বলেছেন, জানতেন । সবশেষে গোপালের পদবি নিয়েও আছে যথেষ্ট ধন্দ—‘নাই’, ‘বিশ্বাস’, ‘হাস্যার্ণব’, ‘ভাণ্ডারি’, ‘ভাঁড়’। কোনটি সঠিক?
যাইহোক বন্ধুরা বিতর্ক থাকবেই বিতর্ক চলবেই।


Join this channel to get access to perks:
   / @manasbangla  

বন্ধুরা , যদি ভিডিও ভালো লাগে তাহলে লাইক কমেন্ট, সেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করে চ্যানলের সঙ্গে থাকবেন এই আশা রাখি ।

ব্যক্তিগত মতামত ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিচের মেইল আইডি তে মেইল করুন। [email protected]

Stay Connected with me on Social Network :
Twitter :   / manasbangla  
Facebook :   / manasbangla  
Instagram :  / manasbangla  


গোপাল ভাঁড়ের ফাঁসি কেন হয়েছিল
গোপাল ভাঁড়ের স্ত্রীর নাম কি
গোপাল ভাঁড়ের মন্ত্রীর নাম কি
গোপাল ভাঁড়ের আসল ছবি
গোপাল ভাঁড়ের বংশধর
গোপাল ভাঁড়ের আসল নাম কি
গোপাল ভাঁড়ের ছবি
গোপাল ভাঁড়ের মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল

গোপাল ভাঁড় নামে কি সত্যিই কেউ ছিলেন ? || Was Gopal Bhar really a living person?

Поделиться в:

Доступные форматы для скачивания:

Скачать видео mp4

  • Информация по загрузке:

Скачать аудио mp3

Похожие видео

array(0) { }

© 2025 dtub. Все права защищены.



  • Контакты
  • О нас
  • Политика конфиденциальности



Контакты для правообладателей: [email protected]