মামলার রায় পাওয়ার পরেও হবেনা রেকর্ড সংশোধন - যদি এই ভূল গুলো করেন
Автор: ISMAIL LAND SURVEY
Загружено: 2025-07-23
Просмотров: 279
মামলার রায় হওয়ার পরেও রেকর্ড সংশোধন না হওয়ার পেছনে কিছু নির্দিষ্ট ভুল বা ত্রুটি থাকে। এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললে প্রক্রিয়াটি সহজ এবং দ্রুত হতে পারে। এখানে প্রধান কিছু ভুল তুলে ধরা হলো:
রেকর্ড সংশোধনে যেসব ভুল এড়ানো উচিত
১. সঠিক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন না করা: মামলার রায় পাওয়ার পর রেকর্ড সংশোধনের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে (সহকারী কমিশনার - ভূমি) আবেদন করতে হয়। অনেকে ভুল করে অন্য কোনো অফিসে বা ভুল কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন, যা প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে।
২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেওয়া: আবেদনের সাথে মামলার রায়ের সার্টিফাইড কপি, আবেদনের আরজি, এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথিপত্র (যেমন - পূর্ববর্তী খতিয়ানের কপি, দলিলপত্র) সঠিকভাবে ও পূর্ণাঙ্গভাবে জমা না দিলে আবেদন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
৩. অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য প্রদান: আবেদনপত্রে বা দাখিলকৃত নথিপত্রে ভুল তথ্য, বানান ভুল, বা অসম্পূর্ণ বিবরণ দিলে তা যাচাই-বাছাইয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে এবং আবেদন বাতিলও হতে পারে।
৪. নির্দিষ্ট ফরম্যাট অনুসরণ না করা: ভূমি অফিসের নিজস্ব কিছু আবেদন ফরম্যাট বা নির্দেশিকা থাকে। এগুলো অনুসরণ না করে নিজের মতো করে আবেদন তৈরি করলে তা গ্রহণ নাও হতে পারে।
৫. সময় মতো ফি পরিশোধ না করা: আবেদন ফি, নোটিশ জারি ফি, রেকর্ড সংশোধন ফি এবং খতিয়ান ফি সময় মতো পরিশোধ না করলে প্রক্রিয়াটি থমকে যায়। অনেক সময় ফি পরিশোধে দেরি হলে ফাইল আটকে থাকে।
৬. আবেদনের ফলোআপ না করা: আবেদন জমা দিয়েই অনেকে নিশ্চিন্ত হয়ে যান। আবেদনের পর নিয়মিত ফলোআপ না করলে ফাইলটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকতে পারে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে যোগাযোগ রাখা জরুরি।
৭. আপিলের বিষয় বিবেচনা না করা: যদি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিলের সম্ভাবনা থাকে এবং আপিল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়, তাহলে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রেকর্ড সংশোধন স্থগিত থাকতে পারে। এই বিষয়টি বিবেচনায় না নিলে অযথা সময় নষ্ট হয়।
৮. সরকারি স্বার্থ জড়িত থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ না করা: যদি রেকর্ড সংশোধনের ফলে সরকারি কোনো স্বার্থ জড়িত থাকে (যেমন - সরকারি খাস জমি), তাহলে এর জন্য বাড়তি অনুমোদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এই জটিলতা সম্পর্কে অজ্ঞতা বা প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার ফলে সংশোধন আটকে যেতে পারে।
৯. দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীর ওপর নির্ভর করা: অনেকে সরাসরি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীর ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করেন। এতে খরচ বাড়ে এবং অনেক সময় সঠিক কাজ হয় না বা বিলম্বিত হয়।
১০. নোটিশ জারিতে সহযোগিতা না করা: ভূমি অফিস থেকে যখন নোটিশ জারি করা হয়, তখন সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। নোটিশ সঠিকভাবে জারি না হলে বা কেউ গ্রহণ না করলে প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে।
এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললে এবং সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে মামলার রায়ের পর রেকর্ড সংশোধনের কাজটি দ্রুত এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা সম্ভব।

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: