#টাটানগর
Автор: MEDIAMIX-EXPLORE
Загружено: 2025-10-07
Просмотров: 39
#টাটানগর ভ্রমণ 2025।।
#কলকাতা থেকে জামশেদপুর গাড়িতে করে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ ও দ্রুততম পথ হলো জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়া। যাত্রার দূরত্ব প্রায় ২৮৩ কিলোমিটার, এবং সময় লাগতে পারে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মতো।
রুট বা যাত্রাপথ
গুগল ম্যাপ অনুযায়ী, কলকাতা থেকে জামশেদপুর যাওয়ার জন্য প্রস্তাবিত রুটটি হল NH16 এবং NH18 ধরে
কলকাতা থেকে NH 16 ধরে কোলাঘাট হয়ে মেছেদা পৌঁছান।
মেছেদা থেকে NH 16 ধরে ওড়িশা সীমান্তের দিকে এগিয়ে যান।
ওড়িশা সীমান্তে ঢোকার পর, বালেশ্বরের কাছে NH 18 ধরে জামশেদপুরের দিকে এগিয়ে যান।
জামশেদপুরের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর, সুবর্ণরেখা লিংক রোড ধরে শহরের কেন্দ্রে প্রবেশ করুন।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
রাস্তার অবস্থা: সাধারণত রাস্তার অবস্থা ভালো থাকে, তবে মাঝে মাঝে মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের কাজের কারণে কিছু অংশে যানজট দেখা যেতে পারে।
টোল প্লাজা: এই রুটে বেশ কয়েকটি টোল প্লাজা আছে, তাই পর্যাপ্ত খুচরো টাকা বা FASTag সঙ্গে রাখুন।
যাত্রা শুরুর সেরা সময়: ভোরে যাত্রা শুরু করলে যানজট এড়ানো যায় এবং দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।
কলকাতা থেকে ট্রেনে করে জামশেদপুর (টাটানগর) যাওয়ার জন্য বেশ কিছু ট্রেন পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ট্রেনের বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
দ্রুতগামী কিছু ট্রেন:
ববিবব জনশতাব্দী 12021):
ছাড়ার সময়: সকাল ৬:২০ (হাওড়া থেকে)।
পৌঁছানোর সময়: সকাল ৯:৫২ (টাটানগরে)।
ভ্রমণের সময়: প্রায় ৩ ঘন্টা ৩২ মিনিট।
ভ্রমণের শ্রেণি: চেয়ার কার (CC) এবং দ্বিতীয় শ্রেণি
বিশেষত্ব: এই ট্রেনটি প্রতিদিন চলে এবং দ্রুত পৌঁছে দেয়।
ইস্পাত এক্সপ্রেস (TIG ISPAT EXP - 12871):
ছাড়ার সময়: সকাল ৬:৩০ (হাওড়া থেকে)।
পৌঁছানোর সময়: সকাল ১০:১৩ (টাটানগরে)।
ভ্রমণের সময়: প্রায় ৩ ঘন্টা ৪৩ মিনিট।
ভ্রমণের শ্রেণি: দ্বিতীয় শ্রেণি এবং চেয়ার কার
বিশেষত্ব: প্রতিদিন চলে।
গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস (GITANJALI EXP - 12860):
ছাড়ার সময়: দুপুর ১:৪০ (হাওড়া থেকে)।
পৌঁছানোর সময়: বিকেল ৫:০৩ (টাটানগরে)।
ভ্রমণের সময়: প্রায় ৩ ঘন্টা ২৩ মিনিট।
ভ্রমণের শ্রেণি: স্লিপার (SL), থ্রি-টিয়ার এসি , টু-টিয়ার এসি
) ইত্যাদি।
বিশেষত্ব: এটিও একটি জনপ্রিয় দৈনিক ট্রেন।
অন্যান্য দৈনিক ট্রেন:
#হাওড়া-আহমেদাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস - 12834):
ছাড়ার সময়: রাত ১১:০৫ (হাওড়া থেকে)।
পৌঁছানোর সময়: রাত ২:৫০ (টাটানগরে)।
ভ্রমণের সময়: প্রায় ৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিট।
ভ্রমণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
প্রস্থানের স্থান: বেশিরভাগ ট্রেন হাওড়া জংশন (HWH) থেকে ছাড়ে। কিছু ট্রেন শালিমার (SHM) বা সাঁতরাগাছি জংশন (SRC) থেকেও ছাড়তে পারে।
গন্তব্য: জামশেদপুরের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন হল টাটানগর জংশন (TATA)।
ভ্রমণের সময়: কলকাতা থেকে জামশেদপুর যেতে সাধারণত ৩ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগে।
টিকিট বুকিং: ট্রেনের টিকিট অনলাইন রেলওয়ে বুকিং পোর্টাল যেমন IRCTC, MakeMyTrip, ConfirmTkt অথবা যেকোনো রেলওয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে বুক করা যেতে পারে।
#ভাড়া: ভাড়ার পরিমাণ ট্রেনের ধরন (সাধারণ, সুপারফাস্ট), ভ্রমণের শ্রেণি (এসি, স্লিপার, সাধারণ) এবং কতদিন আগে বুক করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে।
আপনি যে তারিখে যাত্রা করতে চাইছেন, সেই তারিখের জন্য নির্দিষ্ট ট্রেনের সময়সূচী এবং আসন উপলব্ধতা দেখতে অনলাইনে যাচাই করে নেওয়া ভালো।
এই পথে গাড়ি চালিয়ে গেলে আপনি নিজের ইচ্ছামতো বিরতি নিয়ে যাত্রা উপভোগ করতে পারবেন।
#জামশেদপুরে ঘোরার মতো বেশ কিছু সুন্দর জায়গা আছে, যা প্রকৃতি, বন্যপ্রাণ এবং আধুনিক স্থাপত্যের মিশ্রণ ঘটিয়েছে। জামশেদপুরে যা যা দেখতে পারেন তার একটি বিস্তারিত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
ডিমনা লেক: এটি একটি কৃত্রিম হ্রদ, যা দলমা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এখানে বোটিং করার ব্যবস্থা রয়েছে এবং চারপাশে সবুজে ঘেরা পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য এটিকে পিকনিক ও আরাম করার জন্য একটি আদর্শ স্থান করে তুলেছে।
#দলমা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য: জামশেদপুর শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে দলমা পাহাড়ের ওপর এটি অবস্থিত। এটি মূলত হাতিসহ বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণীর জন্য পরিচিত। ট্রেকিং এবং বন্যপ্রাণী দেখতে যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ জায়গা।
#জুবিলি পার্ক: এই সুবিশাল পার্কটি টাটা স্টিল কোম্পানি দ্বারা নির্মিত হয়েছে এবং এটি জামশেদপুরের একটি প্রধান আকর্ষণ। পার্কের ভেতরে রয়েছে একটি চিড়িয়াখানা, বোটিং-এর সুবিধা এবং রঙিন ফোয়ারা। সন্ধ্যায় এখানে মিউজিক্যাল ফোয়ারা ও লেজার শো উপভোগ করা যায়।
হুডকো লেক: এটি জামশেদপুরের একটি শান্ত ও মনোরম হ্রদ, যা সবুজ পাহাড়ের কোলে অবস্থিত। এখানে বোটিং করা যায় এবং এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি সুন্দর জায়গা।
#বন্যপ্রাণী ও বিনোদন
টাটা স্টিল জুওলজিক্যাল পার্ক: জুবিলি পার্কের ভেতরেই অবস্থিত এই চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে। এখানকার সাফারিতে গাড়িতে করে ঘুরে বেড়ানো যায়, যেখানে প্রাণীরা অবাধে বিচরণ করে।
#জুবিলি লেক: এটি জুবিলি পার্কের মধ্যে অবস্থিত একটি হ্রদ, যেখানে নৌভ্রমণ করা যায়। পার্কের সবুজের মাঝে এই হ্রদটি এক শান্ত পরিবেশ তৈরি করেছে।
আধুনিক স্থাপত্য ও ঐতিহাসিক স্থান.
রুসি মোদী সেন্টার ফর এক্সেলেন্স: এটি একটি আধুনিক স্থাপত্যের নিদর্শন, যা সুন্দর লন এবং সবুজ গাছে ঘেরা। এটি একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং শিল্পকর্মের প্রদর্শনী কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
ভাটিয়া পার্ক: জামশেদপুরের একটি জনপ্রিয় পার্ক এটি, যেখানে সবুজের মাঝে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য চমৎকার পরিবেশ রয়েছে।
ধর্মীয় স্থান
#ভুবনেশ্বরী মন্দির: টিলাতে অবস্থিত এই মন্দির থেকে পুরো জামশেদপুরের একটি সুন্দর প্যানোরামিক দৃশ্য দেখা যায়।
গোলপাহাড়ি মন্দির: এটি একটি প্রাচীন মন্দির এবং জামশেদপুরের ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যান্য
সাকচি গুরুদ্বার: সাকচিতে অবস্থিত শিখ সম্প্রদায়ের এই উপাসনালয়টি শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
টিনপ্লেট গুরুদ্বার: জামশেদপুরের অন্যতম বিখ্যাত গুরুদ্বার এটি।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: