রাসুল (সা:) এর পূর্নাঙ্গ জীবণ কাহীনি।মিজানুর রহমান আজহারী।কোন কাজে কি বলে শুরু করতে হবে তাও ইসলাম।
Автор: sakil creation
Загружено: 2025-07-18
Просмотров: 17
রাসুল (সা:) এর পূর্নাঙ্গ জীবণ কাহীনি।মিজানুর রহমান আজহারী।কোন কাজে কি বলে শুরু করতে হবে তাও ইসলাম।
রাসূল (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী (সংক্ষিপ্তসারে)
১. জন্ম ও বংশপরিচয়
নাম: মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ
উম্মত দেন: কুরাইশ বংশের হাশেমি গোত্রে।
জন্ম: ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায়, "আমুল ফীল" বছরে।
পিতা: আবদুল্লাহ (মৃত্যু: জন্মের আগেই)
মাতা: আমিনা বিনতে ওহাব (মৃত্যু: ৬ বছর বয়সে)
২. শৈশব ও কৈশোর
দুধমাতা ছিলেন হালিমা সাদিয়া।
দাদা আবদুল মুত্তালিব এবং পরে চাচা আবু তালিব তাঁকে লালন করেন।
ছোটবেলা থেকেই সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত (আল-আমিন) নামে পরিচিত হন।
৩. ব্যবসা ও বিবাহ
তরুণ বয়সে ব্যবসা করতেন, লোকজন তাঁর সততা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য তাঁকে ভালোবাসতো।
২৫ বছর বয়সে বিবাহ করেন ৪০ বছর বয়সী ধনাঢ্য মহিলা খাদিজা (রা.)-কে।
তাঁদের ঘরে ৬টি সন্তান জন্ম নেয়। কাসেম, আবদুল্লাহ, জয়নব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম ও ফাতিমা (রা.)।
৪. ওহি প্রাপ্তি ও নবুওয়ত
৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় ধ্যানরত অবস্থায় প্রথম ওহি আসে (৬১০ খ্রিঃ)।
প্রথম আয়াত: "إقرأ باسم ربك الذي خلق" (সূরা আলাক, আয়াত ১)
তখন থেকেই তিনি ইসলাম প্রচার শুরু করেন।
৫. দাওয়াত ও কষ্টের জীবন
শুরুতে গোপনে ও পরে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার করেন।
কুরাইশদের থেকে চরম বিরোধিতা ও নির্যাতনের শিকার হন।
সাহাবিদের অনেকেই নির্যাতিত হয়ে আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন।
৬. তা’ইফ ও মেরাজ
মক্কার বাইরে তা’ইফে গিয়ে দাওয়াত দেন, কিন্তু সেখানে প্রচণ্ড নির্যাতনের মুখে পড়েন।
এরপর আল্লাহ তাঁকে "মেরাজে" নিয়ে যান—সেখানেই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ হয়।
৭. মদিনায় হিজরত
৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। এটিকেই ইসলামী বর্ষপঞ্জির সূচনা ধরা হয় (হিজরি সাল)।
মদিনায় ইসলাম একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়। মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে মদিনা সনদ হয়।
৮. গাজওয়াসমূহ (যুদ্ধসমূহ)
প্রধান যুদ্ধ: বদর, উহুদ, খন্দক, হুদাইবিয়া, খায়বার, মুতা, হুনাইন, তাবুক ইত্যাদি।
বদর যুদ্ধ মুসলমানদের প্রথম বিজয়, উহুদের যুদ্ধে পরীক্ষিত হন সাহাবিরা।
হুদাইবিয়ার সন্ধির মাধ্যমে ইসলামের ব্যাপক প্রসার ঘটে।
৯. মক্কা বিজয়
৮ হিজরিতে (৬৩০ খ্রিস্টাব্দ) রাসূল (সা.) প্রায় ১০,০০০ সাহাবিকে নিয়ে মক্কা বিজয় করেন।
মক্কায় প্রবেশের সময় কোন প্রতিশোধ না নিয়ে সবাইকে ক্ষমা করে দেন।
১০. বিদায় হজ ও মৃত্যু
১০ হিজরিতে (৬৩২ খ্রিঃ) রাসূল (সা.) বিদায় হজ পালন করেন এবং ঐতিহাসিক বিদায়ী খুতবা দেন।
একই বছরে ১২ রবিউল আউয়াল, সোমবার, ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
তাঁকে মসজিদে নববীতে দাফন করা হয়।
রাসূল (সা.)-এর বিশেষ গুণাবলী
দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী (সূরা কলম: ৪)
সব নবীর শেষ এবং চূড়ান্ত রসূল (খাতামুন নাবিয়্যীন)
দয়া ও মেহেরবানির অবতার (সূরা আম্বিয়া: ১০৭)
জ্ঞান, ধৈর্য, ক্ষমা ও নেতৃত্বের আদর্শ                
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
- 
                                
Информация по загрузке: