রোজা অবস্থায় দাঁতের চিকিৎসা নেয়া/দাঁত তোলা যাবে কি? Dental treatment/ Extraction in Ramadan fasting
Автор: Dr. Md. Ehtesham Khaled
Загружено: 2022-04-14
Просмотров: 3506
প্রসঙ্গঃ রোজা অবস্থায় দাঁতের চিকিৎসা নেয়া
প্রশ্ন: রোজাদারের জন্য কি দন্ত-চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জায়েয আছে? আমার দাঁতের চিকিৎসা করা একান্ত জরুরী। আমি যদি রমজানের দিনের বেলায় রোজা রেখে দন্ত চিকিৎসকের কাছে যাই- এর হুকুম কি? যদি কোন কিছু গলার ভিতরে চলে যায় এবং আমি গিলে ফেলি?
উত্তর
আলহামদু লিল্লাহ।.
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বাযকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যদি কোন ব্যক্তি দাঁতে ব্যথা নিয়ে দন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় এবং ডাক্তার তার দাঁতে স্কিলিং করে, অথবা ফিলিং করে অথবা কোন একটি দাঁত ফেলে দেয়- এতে করে কি তার রোজার ক্ষতি হবে? যদি ডাক্তার তার দাঁত অবশ করার জন্য ইনজেকশন দেয় সেক্ষেত্রে রোজার উপর এর কোন প্রভাব আছে কি?
উত্তরে তিনি বলেন: প্রশ্নে যা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে রোজার উপর এর কোন প্রভাব নেই। বরং এটি করা যেতে পারে। তবে এ রোগীকে ঔষধ বা কোন কিছু গিলে ফেলা থেকে সাবধান থাকতে হবে। অনুরূপভাবে যে ইনজেকশনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে রোজার শুদ্ধতার ক্ষেত্রে সেটারও কোন প্রভাব নেই। যেহেতু এ ইনজেকশন পানাহারের পর্যায়ে পড়ে না এবং যেহেতু রোজাভঙ্গকারী কিছু সাব্যস্ত না হলে রোজা শুদ্ধ হওয়াটাই মূল বিধান।( সমাপ্ত)
[আজওয়িবা মুহিম্মা তাতাআল্লাকু বি আরকানিল ইসলাম]
আর যদি রাতের বেলায় ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয় তাহলে সেটাই ভাল।
আল্লাহই ভাল জানেন।
সূত্রঃ ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
https://islamqa.info/bn/answers/13767
__________
রোজা অবস্থায় এক্সট্রাকশন বা ফিলিং সম্পর্কেঃ
রোযা অবস্থায় অবশকরণ ইনজেকশন দেয়া ও দাঁত স্কেলিং করা কিংবা দাঁত ফিলিং করা বা তুলে ফেলার হুকুম কি?
প্রশ্ন
যদি কারো দাঁতে ব্যথা হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় এবং ডাক্তার তার দাঁত স্কেলিং করে কিংবা ফিলিং করে কিংবা কোন একটি দাঁত তুলে ফেলে— এগুলো কি তার রোযার ওপর কোন প্রভাব ফেলবে? যদি ডাক্তার তার দাঁতকে অবশ করার জন্য কোন ইনজেকশন দেয় সেটা কি তার রোযার ওপর কোন প্রভাব ফেলবে?
উত্তর
আলহামদু লিল্লাহ।.
প্রশ্নে যে বিষয়গুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে রোযার শুদ্ধতার ওপর এসব কর্মের কোন (নেতিবাচক) প্রভাব নেই। বরং এগুলো ক্ষমার্হ। তবে তাকে সাবধান থাকতে হবে যাতে করে কোন ঔষধ বা রক্ত যেন গিলে না ফেলে। অনুরূপভাবে উল্লেখিত ইনজেকশনেরও রোযার শুদ্ধতার ওপর (নেতিবাচক) কোন প্রভাব নেই। যেহেতু এ ধরণের ইনজেকশন পানাহারের আওতায় পড়ে না। মূলবিধান হলো—রোযার শুদ্ধতা।[উদ্ধৃতি সমাপ্ত]
মাননীয় শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহঃ)
মাজমুউ ফাতাওয়া ও মাকালাত মুতানাওয়িআ (১৫/২৫৯)
সূত্রঃ ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
https://islamqa.info/bn/106495
______
অ্যানেসথেসিয়া ইনজেকশনের কারণে কি রোযা ভাঙ্গবে?
উত্তর
লোকাল এ্যানেসথেসিয়া (শরীরের অংশবিশেষ অবশকরণ) ইনজেকশন দিলে রোযা ভাঙ্গবে না। যেহেতু এটি পানাহার নয় কিংবা পানাহারের স্থলাভিষিক্তও নয়।
শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: রমযানের দিনের বেলায় দাঁত অবশ করার জন্য যে এ্যানেসথেসিয়া দেয়া হয় সে সম্পর্কে? জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এ্যানেসথেসিয়া গ্রহণ করলে সে দিনের রোযা কি কাযা পালন করতে হবে?
জবাবে তিনি বলেন: না; কেননা এ্যানেসথেসিয়া রোযা ভঙ্গ করে না। লোকাল এ্যানেসথেসিয়া যে স্থানে দেয়া হয় শুধু সে স্থানটিকে অবশ করে; এটি পাকস্থলিতে পৌঁছে না। সুতরাং কেউ নফল রোযাদার হন কিংবা ফরয রোযাদার হন তিনি যদি এ্যানেসথেসিয়া গ্রহণ করেন তার রোযা শুদ্ধ।[ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দারব থেকে সংকলিত]
দেখুন: ফাতাওয়াস শাইখ বিন বায (১৫/২৫৯)
কিন্তু, জেনারেল এ্যানেসথেসিয়া (পুরোপুরি অজ্ঞান করা) প্রয়োগ করা হলে এবং এতে রোগী গোটা দিন সম্পূর্ণ অজ্ঞান থাকলে তার উপর সে দিনের রোযা কাযা পালন করা আবশ্যক হবে।
ইবনে কুদামা (রহঃ) বলেন: “যদি কেউ সম্পূর্ণ দিন অজ্ঞান অবস্থায় থাকে; কিছু সময়ও সজ্ঞান অবস্থায় না কাটায় তাহলে আমাদের ইমাম ও শাফেয়ির অভিমত অনুযায়ী তার রোযা শুদ্ধ হবে না।” এরপর বলেন: “অজ্ঞান ব্যক্তি যদি দিনের অংশ বিশেষে জ্ঞান ফিরে পান, দিনের প্রথমাংশে হোক কিংবা শেষাংশে হোক তাহলে তার রোযা শুদ্ধ হবে।”[আল-মুগনি (৩/১২)]
এ আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায় যে, রোযাদার যদি দিনের বেলায় এ্যানেসথেসিয়া ইনজেকশন গ্রহণ করে তবুও তার রোযা শুদ্ধ হবে। এ ইনজেকশন নেয়ার কারণে তার রোযা বাতিল হবে না। আর যদি এ ইনজেকশন ফজরের আগে গ্রহণ করে এবং ইনজেকশনের প্রভাবে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটায় তাহলে তার ঐ দিনের রোযা শুদ্ধ হবে না।
আল্লাহ্ই ভাল জানেন।
সূত্রঃ ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
https://islamqa.info/bn/95062
ডেন্টাল প্রসিডিওর এর সময় ব্লিডিং হওয়া প্রসংগেঃ
প্রশ্ন:
রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের হলে বা সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করলে রোজা ভেঙ্গে যায় কি না? অনেকের দাঁতের সমস্যা থাকে। রোজা অবস্থায় দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে কি রোজা নষ্ট হয়ে যাবে?
উত্তর:
শরীর থেকে রক্ত বের হলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না এবং সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করলেও রোজা ভাঙ্গে না। তবে ইচ্ছা করে এ পরিমাণ রক্ত দেওয়া ঠিক নয়, যার কারণে রোজা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেলার আশংকা হয় বা রোজা রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। আর দাঁত থেকে রক্ত বের হওয়া রোজা ভঙ্গের কারণ নয়। তবে রোযা অবস্থায় রক্ত বের হলে তা যেন গলায় চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা গলায় রক্তের স্বাদ পাওয়া গেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
আরও দেখুন:
খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৫৪;
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৩;
ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৪/৯৮;
আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৯৬
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব
সম্পাদক, মাসিক আলহেরা (আরবি ম্যাগাজিন)
মুহাদ্দিস, জামিয়া রহমানিয়া সওতুল হেরা
Shaykh ‘Abd al-‘Aziz ibn Baz was asked :
If a person suffers pain in his teeth and he goes to the dentist who cleans them or does a filling or extracts one of his teeth , does that affect his fast? If the dentist gives him an injection to anaesthetize his tooth , does that affect his fast?
He answered:
Yes. But he has to be careful not to swallow any medicine or blood.
If you can go to the dentist in the evening, this is preferable.
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: