সীমাহীন মারিয়া আফরিন নুপুর" যদি আর একবার দেখেছি ওড়না সরেছে এক ইঞ্চি তো কেটে ইঞ্চি ইঞ্চ
Автор: Golpo Kotha
Загружено: 2025-06-19
Просмотров: 16358
সীমাহীন
মারিয়া আফরিন নুপুর
" যদি আর একবার দেখেছি ওড়না সরেছে এক ইঞ্চি তো কেটে ইঞ্চি ইঞ্চি করে দেবো বলে দিলাম " প্রচন্ড রাগে চুলের মুঠি টেনে ধরে বলল আনান। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ছাদের মাঝে এমন করে একটা মেয়ের চুল ধরে টেনে ধরা বেশ অপ্রত্যাশিত ঘটনাই। তাই চুল ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে তাহিয়া বলল, " আমি ইচ্ছা করে ওড়না সরাই নি এমনিতেই সরে গেছে"।আনান চুল ধরে আরো কাছে নিয়ে এসে বলল, " এত কিছু থাকতে ওড়নাই কেন সরে গেলো, তোর পাজামা খুললে পড়ে গেল না কেন? বুজরুকি বোঝানো শুরু করেছিস কবে থেকে শুনি একটু ?"। তাহিয়া যেন আর কথাই খুঁজে পেলো না, স্বাভাবিক মানুষকে বোঝানো যায় কিন্তু পাগল ছাগলকে কে বোঝাবে। টপ টপ করে চোখের পানি গড়িয়ে পড়ল চিবুকের উপরে। তাহিয়াকে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিয়েই চলে গেল। চুপ করে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল তাহিয়া, এই লোকটাকে এতটা অপছন্দ করে সেটা বলার মতন না, কিন্তু কেন জানি না বারেবারই এই লোকটাই তাহিয়ার সামনে এসে হাজির হয়। হাতের কোনা দিয়ে চোখটা আলতো করে মুছতেই অর্ণিভা এসে হাজির। এসেই হড়বড় করে বলল,
___ " আপু আপু তাড়াতাড়ি চলো আম্মুর জানি কি হইছে"।
এটুকু বলেই যখন ও তাহিয়ার দিকে তাকালো তখন অবাক হয়ে বলল,
___ " আপু তুমি কাঁদছিলে???"
___ " কই না তো কাঁদছিলাম না, আচ্ছা মা মনি যখন ডাকছে চলল যেয়ে দেখি কি হয়েছে"।
মুখে জোর করে হাসি টেনে বলল তাহিয়া। ছাদ থেকে নিচে নেমে তিনতালায় শিউলি বেগমের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ল তাহিয়া আর অর্ণিভা। ভেতর থেকে যেন যেন পাগল মহিষ যেমন গোঁ গোঁ করে ঠিক তেমন শব্দ আসছে। তাহিয়া পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অর্ণিভার দিকে তাকাতেই ও বড় করে ঢোঁক গিলে ফেলল।
তাহিয়ার সাথে এই খান মঞ্জিলের রক্তের কোন সম্পর্ক নেই, তবুও তাহিয়া এই খান মঞ্জিলের একজন সদস্য। দুবছর আগেও যখন এখানে ভীরু পায়েও ঢুকেছিল তখনও জানতো না যে একদিন এই খান মঞ্জিলই হবে ওর ঠিকানা। দুবছর আগে একদিন এই বাসার বড় ছেলে আরাফ ভালবেসে বিয়ে করেছিল তাহিয়ার বড় বোন ত্যায়িবাকে। বাবা মা ছাড়া দুটো বোনের মাথায় যেন ছাদ হয়ে দাঁড়িয়েছিল আরাফ। ত্যায়িবার একটাই শর্ত ছিল যেন তাহিয়া ওর সাথেই থাকে। আরাফও সানন্দে রাজি হয়ে গিয়েছিল ওর প্রস্তাবে। যখন আরাফ ওর নববধু আর তাহিয়াকে নিয়ে এবাড়িতে এসে দাঁড়ায় তখন টর্নেডো না হলেও ছোট খাটো একটা ঝড় চলে গিয়েছিল ওদের উপর থেকে। শিউলি খানম মানে আরাফের মা মোটামুটি ফিট পড়েছিলেন বার দশের মতন। আরাফের ছোট ভাই আনান খুব গম্ভীর এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল ওদের দিকে। কিন্তু ব্যতিক্রম লেগেছিল সবে কৈশরে পড়া অর্ণিভাকে। সবার অগোচরে জড়িয়ে ধরেছিল ত্যায়িবাকে। আরাফ শক্ত করে ওর হাত ধরে বলেছিল,
___ " কিচ্ছু চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে।"
সেই থেকেই তাহিয়া কেন জানি না বাঘের মতন ভয় পায় শিউলি খানমকে। দিনে দিনে শিউলি খানমও মেনে নিয়েছিলেন ত্যায়িবাকে, কিন্তু কিছু কিছু মানুষের সুখের দিনের দৈর্ঘ্য খুব কম হয়। বছর না ঘুরতেই ত্যায়িবা মারা যায় কার কার এক্সিডেন্টে। আরাফ যেন একটুর জন্য বেঁচে যায়, আর তাহিয়ার জায়গা হয়ে যায় এই খান মঞ্জিলে। আজকে সেই আরাফের গায়ে হলুদ। শিউলি বেগমের গত এক বছরের প্রচেষ্টার ফল হচ্ছে আজকে আরাফের বিয়ে। কম কাঠ খড়ি পোড়াতে হয় নি আরাফকে দ্বিতীয় বিয়েতে রাজি করাতে। শেষ পর্যন্ত ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে রাজি করিয়েছে আরাফকে৷ আর তাহিয়ার মনে মনে খুব হাসি পাচ্ছে, আচ্ছা কেউ জিজ্ঞেস করলে

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: