বর্গী নেতা ভাস্কর পন্ডিতের স্মৃতিচিহ্ন যেখানে আজও বিদ্যমান || Exploring Dainhat
Автор: Manas Bangla
Загружено: 2022-03-20
Просмотров: 90504
প্রাচীন ইন্দ্রানী নগরীর বারো হাটের একটি হাট হলো দাইহাট । বর্ধমানের রাজা কীর্তিচাদের জীবিতাবস্থায় তাঁর পুত্র রাজা চিত্র সেন নবাবি ফরমানের বলে যে সমস্ত পরগনারমালিক হয়েছিলেন, তার মধ্যে ইন্দ্রাণী পরগনা ছিল খুবই উল্লেখযােগ্য । নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ ও পরবর্তী নবাব সুজাউদ্দিনের আমলে এই পরগনার মালিক ছিলেন পাটুলির জমিদার রামভদ্র চৌধুরি! কিন্তু নবাব সুজাউদ্দিনের আমলে রাজস্ব-অনাদায়ের ফলে এই ইন্দ্রাণী পরগনা চৌধুরী পরিবারের হাতছাড়া হয়ে বর্ধমান রাজপরিবারভুক্ত হয়ে যায় বলে অনুমান করা হয়। পরবর্তীকালে নবাব সুজাউদ্দিনের আমলে শুধু ইন্দ্রাণী পরগনাই নয়, কালনার অধিকারও তাঁরা পেয়ে যান। সাতান্নটি পরগনা সমেত পাঁচহাজার বর্গমাইল বিস্তৃত তাদের জমিদারি ছিল রীতিমতো একটি বড় রাজ্যের মতো।
মহারাজ কীর্তিচাদ তার বিশাল জমিদারির মধ্যে ইন্দ্রাণীর মধ্যমণি এই দাঁইহাটকে নিজেদের সমাজবাড়ি হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। গঙ্গাবাসের জন্য সম্ভবত এখানে একটি রাজবাড়িও নির্মান করেছিলেন। বর্ধমান রাজবংশের নিয়মানুযায়ী ওই বংশের কারও মৃত্যু হলে মরদেহ দাহ করার পর তার অস্থি কো্নো স্থানে সমাধিস্থ করতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী এবং ইন্দ্রাণী পরগনার নিজস্ব জমিদারিভুক্ত এই দাইহাটকেই তাঁরা বেছে নিয়েচ্ছিলেন। বর্ধমান রাজবংশের আবু রায় থেকে মহারাজ কীর্তিচাদ পর্যন্ত দাঁইহাটের সমাজ বাড়িতে তাদের অস্থি-সমাধি আজও বিদ্যমান। ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে রাজা কীর্তিচাদের দেহত্যাগের পর তাঁকে ভাগীরথী তীরে অবস্থিত এই সমাজবাড়ির মধ্যস্থলে অস্থি’ সমাধিস্থ করা হয়। রাজা কীর্তিচাদের মৃত্যুর এক বছর পরেই বাংলায় হানা দেয় বর্গির দল। নেতৃত্বে ছিলেন ভাস্কিও পন্দিত আর এই দাইহাটেই ঘহাটি গেড়েছিলেন তিনি। নবাব আলিবর্দি খাঁ তখন গিয়েছিলেন উড়িষ্যায় আর তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বর্গিরা একেবারে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত লুঠ করে ফেলেছিল। বিজয়ের আনন্দে শুরু হলো দুর্গাপুজোর আয়োজন। জম্নশ্রুতি অনুযায়ী তিনি সঙ্গে করে এসেছিলেন এক সোনার প্রতিমা।’সমস্ত খবর পৌঁছাল নবাবের কানে। তিনিও সৈন্যদল নিয়ে এগিয়ে এলেন দাঁইহাটের দিকে। তাই অষ্টমীর সন্ধিপুজো অসমাপ্ত রেখেই পালিয়ে গেলেন ভাস্কর পণ্ডিত। কথিত সোনার মূর্তিটি ডুবিয়ে দিয়েছিলেন গঙ্গার জলে। ষষ্ঠীর বোধন দিয়ে পুজো শুরু হলেও অষ্টমীর সন্ধিপুজো অসমাপ্ত রেখে পালালেন ভাস্কর পণ্ডিত। আর স্মৃতি হিসেবে যুগ যুগ ধরে দাঁড়িয়ে রইলো কেবল এই একটিমাত্র পাঁচিল যা আজও বাংলায় বর্গি আক্রমণের এক প্রত্যক্ষ নিদর্শন ।
বন্ধুরা , যদি ভিডিও ভালো লাগে তাহলে লাইক কমেন্ট, সেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করে চ্যানলের সঙ্গে থাকবেন এই আশা রাখি ।
ব্যক্তিগত মতামত ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিচের মেইল আইডি তে মেইল করুন। [email protected]
#ইন্দ্রানী_পরগনা#Katwa_West_Bengal#Bhaskar_Pandit_Temple#Dianhat
Stay Connected with me on Social Network :
Twitter : / manasbangla
Facebook : / manasbangla
Instagram : / manasbangla
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: