আত্মাকে দর্শন স্থূল-মনুষ্য দেহ ভিন্ন সম্ভব নয়। SEKHAR PEACE FOUNDATION
Автор: Sasanka Sekhar Peace Foundation
Загружено: 2020-04-26
Просмотров: 9186
আত্মাকে দর্শন স্থূল-মনুষ্য দেহ ভিন্ন সম্ভব নয়।- তথ্যসূত্রঃ মহাভারত - শান্তিপর্ব্ব। PEACE FOUNDATION - ETERNAL PEACE SEEKER
প্রজাপতি মনু দেবর্ষি বৃহস্পতিকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, হে ব্রহ্মন, ইন্দ্রিয়সহকৃত অর্থাৎ বিভিন্ন ইন্দ্রিয় দ্বারা আমরা যে জ্ঞান লাভ করে থাকি, বা কর্ম্ম করে থাকি, জীবচৈতন্য, সেই ইন্দ্রিয় দ্বারা অর্জিত পূর্ব-পূর্ব অনুভূত সেই বিষয় সমূহ কালান্তরে স্মরণ করে থাকে । এবং ইন্দ্রিয়সমূহ বিলীন হলে স্বপ্নযোগে পরম-স্বভাবই বিষয় অনুভব করেন। সেই স্বভাব অনেক সময় এককালে অর্থাৎ ইহজন্ম বা পরজন্মে দৃষ্ট শব্দ ইত্যাদি ইন্দ্রিয়-বিষয়-সমুদয় সন্নিহিতের ন্যায় অর্থাৎ যেন নিকটেই আছেন, এইভাবে প্রকাশ করে দেন। এবং এই একমাত্র সর্বোৎকৃষ্ট স্বভাবই পরস্পর বিভিন্ন অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ প্রভৃতি তিন অবস্থাতে সাক্ষীরূপে সঞ্চরণ করে থাকেন।
চাঁদ সবসময় আকাশে আছে, তথাপি অমাবস্যার সময় দেখা যায় না। আত্মা মানুষের শরীরে বর্তমান থাকলেও, কেউ তাকে প্রত্যক্ষ করতে পারে না। আবার আত্মা শরীর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও তাঁকে কেউ প্রত্যক্ষ করতে পারে না। চাঁদ যেমন অমাবস্যান্তে আবার রূপ পরিগ্রহ করেন। ঠিক তেমনি আত্মা দেহান্তর প্রাপ্ত হয়ে পুনরায় প্রকাশিত হন। চাঁদ যেমন ধীরে ধীরে প্রত্যক্ষ হন, বৃদ্ধি প্রাপ্ত হন, আবার ক্ষয় প্রাপ্ত হন, এটি চাঁদের স্থূল দেহের গুন্। ঠিক তেমনি জীবের স্থূল দেহের জন্ম, বৃদ্ধি, ক্ষয়প্রাপ্ত বা মৃত্যু হয়ে থাকে। এগুলো স্থুলদেহের গুন্ বা পরিনাম। আত্মাতে এই গুন্ বা এই যে ক্ষয়-বৃদ্ধি জনিত পরিনাম, কখনোই আরোপ করা যায় না। চাঁদের দ্বিতীয়া, পঞ্চমী, একাদশী আছে। এবং একেক সময় তার আকার বা রূপের পরিবর্তন হয়, কিন্তু আমরা জানি চাঁদ একই আছে। ঠিক আমাদের বাল্য অবস্থা, কৈশোর অবস্থা, যৌবন অবস্থা, প্রৌঢ় অবস্থা বা বার্ধক্য অবস্থা আছে কিন্তু আমরা জানি মানুষটি সেই একই আছে। রাহু যেমন চাঁদকে বা সূর্যকে গ্রাস করলে, আমরা রাহুর (ছায়া) অস্তিত্ত্ব টের পাই, আবার পরিত্যাগ ৰলে আর দেখতে পাই না, ঠিক তেমনি আত্মা যখন জীবদেহে প্রবেশ করেন, তখনই তাকে অনুমান করা সম্ভব হয়। আবার দেহ পরিত্যাগ করলে আর তাকে অনুমান করা সম্ভব নয়। চাঁদ যেমন অমাবস্যাতে অদৃশ্য থাকলেও, নক্ষত্রমন্ডলী তাকে পরিত্যাগ করে না ঠিক তেমনি আত্মা শরীর থেকে মুক্ত হলেও কর্ম্মফল থেকে মুক্ত হতে পারেন না। কর্ম্মফল নিয়ে আত্মা ভূমন্ডলে ভ্রমন করে থাকেন । কিন্তু তখন তিনি উপনিষদের ভাষায় শ্রদ্ধা (অর্থাৎ আত্মবীজ ) । বীজে সব আছে, কিন্তু প্রকাশ নেই। বীজ পূর্নতা পায় না, যতক্ষন না সে প্রকৃতির সহযোগিতা পায়। তাই আত্মা যখন স্থুল প্রাকৃতিক পঞ্চভূতের দেহর মধ্যে প্রবেশ করে তক্ষুনি তাকে ধরতে হয়। বড়শির আঁধারে মাছ যখন ঠোকর মারে, ঠিক তক্ষুনি তাঁকে ডাঙায় তোলে জেলে।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: