প্রিয় নবী ( স.) এর জীবনী | মরুভাস্কর নও কাবা ১৭ তম পর্ব | কাজী নজরুল ইসলাম |
Автор: কবিতার আকাশ
Загружено: 2025-03-19
Просмотров: 44
প্রিয় নবী ( স.) এর জীবনী | মরুভাস্কর নও কাবা ১৭ তম পর্ব | কাজী নজরুল ইসলাম |
মরুভাস্কর কবিতা, কাজী নজরুল ইসলামের ইসলামিক কবিতা, ইসলামিক কবিতা, মরুভাস্কর পর্ব, কাজী নজরুল ইসলামের মরুভাস্কর, মহানবী সা এর জীবনী, হযরত মোহাম্মদ সা এর জীবনী মরুভাস্কর, নজরুলের কবিতা আবৃত্তি, কাজী নজরুল ইসলাম, কবিতা আবৃত্তি, কবিতা,bangla kobita,বাংলা কবিতা আবৃত্তি,কবিতা,
Bangla Kobita,Abritti,Bengali Poem, bangla kobita,bangla kobita abritti,
bengali recitation,bengali poetry recitation,
বাংলা কবিতা,কবিতা আবৃত্তি,recitation,bengali recitation,abritti,
bengali poetry,poetry recitation,বাংলা কবিতা আবৃত্তি,
bengali poem recitation,best kobita abritti bangla,
নও কাবা
হিয়ায় মিলিল হিয়া,
নদীস্রোত হল খরতর আরও পেয়ে উপনদী-প্রিয়া।
স্রোতোবেগে আর রুধিতে পারে না, ছুটে অসীমের পানে,
ভরে দুই কূল অসীম-পিয়াসি কুলু কুলু কুলু গানে।
কোথা সে সাগর কত দূর পথ, কোন দিকে হবে যেতে,
জানে না কিছুই, তবু ছুটে যায় অজানার দিশা পেতে।
কত মরু-পথ গিরি-পর্বত মাঝে কত দরি বন,
বাধা নিষেধের সব ব্যবধান লঙ্ঘিয়া অনুখন
তবু ছুটে চলে, শুনিয়াছে সে যে দূর সিন্ধুর ডাক,
রক্তে তাহারই প্রতিধ্বনি সে আজও শোনে নির্বাক।
সকল ভাবনা হয়ে গেছে দূর, অনন্ত অবকাশ
ধ্যানের অমৃতে উঠিছে ভরিয়া। দিবস বরষ মাস
কোথা দিয়া যায়, উদ্দেশ নাই! শুধু অনন্ত-পুর
শুনিতেছে দূর আহ্বান-বাণী অনাগত বন্ধুর।
পথে যেতে যেতে চমকিয়া চায়, কে যেন পথের পাশে
ডাকনাম ধরে ডেকে গেল তারে, হাতছানি দিয়া হাসে।
তারই সন্ধানে ঊষর মরুর ধূসর বুকে সে ফেরে,
সে বুঝি লুকায়ে গিরি-গহ্বরে ওই দূর একটেরে!
কোথাও না পেয়ে তরুণ ধেয়ানী হারায় ধেয়ান-লোকে,
এ কী এ বেদনা-আর্ত মুরতি ফোটে গো সহসা চোখে।
যে দোস্ত লাগি ফেরে সে বিবাগি, খোঁজে সে যে সুন্দরে,
সে কোথাও নাই, বিরাট বেদনা দাঁড়ায়ে বিশ্ব পরে।
অনন্ত দুখ-শোক-তাপ ব্যথা, অসীম অশ্রুজল –
অকূল সে জলে একাকী সে দোলে বেদনা-নীলোৎপল।
বিপুল দুখের অক্ষয় বট দাঁড়ায়ে বিশ্ব ছেয়ে,
বেদনা ব্যথার কোটি কোটি ঝুরি নেমেছে অঙ্গ বেয়ে।
শুধু ক্রন্দন, ক্রন্দন শুধু একটানা অবিরাম
রণিয়া উঠিছে ব্যাপিয়া বিশ্ব, নিখিল বেদনাধাম।
পড়ে যায় মাঝে কালো যবনিকা, সহসা আঁখির আগে
অসুন্দরের কুৎসিত লীলা ব্যভিচার শত জাগে।
উদ্যত-ফণা কুটিল হিংসা দ্বেষ হানাহানি শত
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষেরে দংশি মারিতেছে অবিরত।
পাপে অসূয়ায় পঙ্কিল ফাঁকে ডুবে আছে চরাচর,
দিশারি তাদের শয়তান, তার অনুচর নারী নর।
দেখিতে পারে না এ-দৃশ্য আর, নিমিষে টুটে সে ধ্যান,
দুঃখ-পাপের লোকালয়ে পানে ছুটে আসে ব্যথা-ম্লান।
হেরে প্রান্তরে কুটিরের দ্বারে কাঁদে অনাথিনি একা,
কাল তার স্বামী গিয়াছে চলিয়া, জীবনে হবে না দেখা!
অদূরে পুত্র-শোকাতুরা মাতা পুত্রের নাম ধরি
ডাকে আর কাঁদে – বঞ্চিত স্নেহ আঁখিজল পড়ে ঝরি।
পথে যেতে যেতে খঞ্জ অন্ধ ভিখারিরা অসহায়
ক্ষুধার তাড়নে পড়ে মুমূর্ষু, ভরে মন করুণায়।
পিতৃমাতৃহীন শিশুদল চায় পথিকের পানে,
তাহারা তাদের পিতা ও মাতার সন্ধান বুঝি জানে।
তরুণ তাপস চলিতে পারে না, বেদনার উচ্ছ্বাস
ফুলে ফুলে ওঠে অন্তর-কূলে, বন্ধ হয় বা শ্বাস!
ঊর্ধ্বে আলোর অনন্ত-লীলা, নিম্নে ধরণি পরে
এমন করিয়া দুঃখ-গ্লানির কেন গো বরষা ঝরে।
ক্লান্ত চরণে চলিতে চলিতে হেরে পথে ধনী যুবা
নগ্ন মাতাল টলে আর চলে, পাশে তার দিলরুবা
দিলরুবা নয় – প্রতিবেশিনী ও কুমারী চেনা সে মেয়ে,
অর্থের বিনিময়ে ও মাতাল এনেছে তাহারে চেয়ে!
সহসা হেরিল –বর্বর এক পিতা তার ক্রোড়ে লয়ে
চলিছে সদ্যোজাত কন্যারে বধিতে সমাজ-ভয়ে!
কন্যা হওয়া যে ‘লাত মানাতের’ অভিশাপ, তাই তারে
বধিতে চলেছে – অভাগি জননী কাঁদিছে পথের ধারে।
হেরিল অদূরে ভীম হানাহানি পশুতে পশুতে রণ
নারী লয়ে এক – বিজয়ীরে বীর বলিছে সর্বজন!
চলিতে চলিতে হেরে দূরে এক বাজার বসেছে ভারী,
ছাগ উট সাথে বিক্রয় লাগি বসে অপরূপা নারী।
মালিক তাহার হাঁকিতেছে দাম, বলির পশুর সম
শত বন্ধন-জর্জর নারী কাঁপে মূক অক্ষম।
তাহারই পার্শ্বে পশু-ধনী এক তাহার গোলামে ধরি
হানিছে চাবুক –কুক্কুরে বুঝি মারে না তেমন করি!
সহসা শুনিল অনাহত বাণী ঊর্ধ্বে গগন-পারে –
‘হে ত্রাণ-কর্তা, জাগো জাগো, দূর করো এই বেদনারে!’
চমকিয়া ওঠে নবির চিত্ত, শিহরন জাগে প্রাণে,
মনে লাগে যেন ইহাদের সে-ই মুক্তির দিশা জানে।
স্বপ্ন-আতুর যুবক ধেয়ানী আনমনে পথ চলে,
চলিতে চলিতে কখন সন্ধ্যা ঘনায় আকাশতলে।
ধরার ঊর্ধ্বে অসীম গগন, কোটি কোটি গ্রহ-তারা
সে গগন ভরি ঢালে আনন্দে নিশিদিন জ্যোতিধারা।
তাহাদের মাঝে নাহি তো বিরোধ, প্রেমের আকর্ষণে
ভালোবেসে নিজ নিজ পথে চলে, মাতে না প্রলয়-রণে।
এই আলো – এই আনন্দ – এই সহজ সরল পথ
এই প্রেম, এই কল্যাণ তাজি – রচে এরা পর্বত
শত ব্যবধান–নদীপ্রান্তর ঘরে ঘরে মনে মনে,
অকল্যাণের ভূত শয়তান পূজা করে জনে জনে!
তপঃপ্রভাবে সাধনার জোরে অসুন্দর এ ধরা
করিতে হইবে সুন্দরতম, রবে না এ শোক জরা।
রবে না হেথায় পাপের এ ক্লেদ, এ গ্লানি মুছিতে হবে,
পতিতা পৃথ্বী পাবে ঠাঁই পুন আলোর মহোৎসবে।
আঁধার ইহার কক্ষে আবার জ্বলিবে শুভ্র আলো,
হে মানব, জাগো ! মেঘময় পথে বজ্র-মশাল জ্বালো।
আছে পথ, আছে দুঃখের শেষ, আমি শুনেছি সে বাণী,
বিশ্ব-সুষমা-সভায় এ-ধরা হাসিবে অতীত-গ্লানি!
দেখেছি বেদনা-সুন্দরে আমি তোমাদের ম্লান মুখে,
ঘুচিবে-বিষাদ – আসিবে শান্তি প্রেম-প্রশান্ত বুকে।
হেথায় খদিজা একা –
কাঁদে বিরহিণী, উদাসীন তার স্বামীর নাহিকো দেখা!
পলাতকা ওরে বাঁধিবে কেমনে, কোথায় তেমন ফাঁসি,
কার কথা ভাবি চমকিয়া ওঠে হেরে ভালোবাসাবাসি!
বক্ষে তাহারে পুরিয়া রাখিলে নিশাসে উড়িয়া যায়,
Contract Audio Video Editor
Whatsapp number: 01747700812
Don’t Forget To Like , Comment , Share & Subscribe
[ THANKS FOR WATCHING THIS VIDEO ]
#কবিতার_আকাশ
#কবিতা_মরুভাস্কর_নও_কাবা_১৭_তম_পর্ব
#কবি_কাজী_নজরুল_ইসলাম
#বাংলা_কবিতা
#kobitar_akash
#bangla_kobita_abriiti
#kobitar_akash_official

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: