৩০০ টি আমের গাছ নিয়ে ১৫০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক এই দারোগার বাগান
Автор: Nawabganj TV
Загружено: 2025-01-24
Просмотров: 123
অবস্থান:-দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার
৮ নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর মৌজায় অবস্থিত।
৩০০ টি আমগাছ আছে।প্রবীণ লোকদের কাছে জানা যায়
প্রায় ১৫০ বছর আগে এ বাগানের গোড়াপত্তন হয়।
গোড়া পত্তন এর ইতিহাস:- সাল্টি মুরাদপুর,পুটিহার গ্রামের বয়েজ উদ্দিন মাস্টার সাহেব ৯৫ বছর বয়সে জিবিত থাকা কালিন প্রায় আজ থেকে ৪০ বছর আগে, দারোগার বাগানের গোড়াপত্তন বিষয়ে উনার বড় ছেলে বদিউজ্জামান জানতে চাইলে উনি জানিয়েছিলেন, আমাদের নবাবগঞ্জ থানায় একজন হিন্দু দারোগা ছিলেন
তখন ব্রিটিশ শাসনামল ও জমিদারি প্রথা ছিল। আনুমানিক ১৮৭৫ থেকে ১৮৮০ সাল।তখন, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার মাহমুদপুর ইউনিয়নের হলাইজানা গ্রামের মৌলভী পরিবারের সঙ্গে জমিদারের জমিজমা সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা চলতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে ওই এলাকায় একজন ব্যক্তি খুন হন। সেই খুনের তদন্ত করার জন্য নবাবগঞ্জ থানার দারোগা হলাইজানা গ্রামে মৌলবি পরিবারে যান। সেখানে তদন্ত করতে গেলে মৌলবি পরিবারের লোকজন দারোগা সাহেবকে কিছু পাকা আম খেতে দেন। সেই পাকা আম খেয়ে দারোগা সাহেবকে অনেক ভালো লাগে। তখন তিনি বলেন এই আম কোথায় পেয়েছেন। তখন তারা বলে এ আম আমাদের এখানেই আমাদের গাছের আম। তখন উনি সিদ্ধান্ত নেন যে এখানে একটি আম বাগান গড়ে তুলবেন। তারই ফলশ্রুতিতে জমিদারের কাছ থেকে ওই জায়গাটি পত্তন নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। জমিদার সাহেব ওই জায়গাটি দারোগা সাহেব কে পত্তন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তখন তিনি বাগান করার পরিকল্পনা করেন। এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদহ থেকে উন্নত জাতের আমের চারা ট্রেনে করে বিরামপুর নিয়ে আসেন। এবং টোম টোম অর্থাৎ (ঘোড়ার গাড়িতে) করে ওখানে নিয়ে এসে ওই এলাকার লোকজনদের সহযোগিতা ও সঙ্গে নিয়ে গাছগুলো রোপন করেন। এবং সেখানে অবসরে যাওয়ার পর,বসবাস করে থাকার উদ্দেশ্যে ছোট করে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। উনার নিজ জেলা ছিল ময়মনসিংহ এবং ধর্মীয় দিক থেকে তিনি একজন হিন্দু।ওই এলাকার লোকজনদেরকে সঙ্গে নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করে বাগানটি খুব সুন্দর ও বিশাল সম্পদের রূপান্তরিত করেন। পরবর্তীতে ওই জায়গাটি যখন জমিদারের কাছে দারোগা সাহেব পত্তন চান, পরবর্তীতে জমিদার ওই বাগানটি দেখতে এসে যখন দেখেন অনেক সুন্দর এবং বিশাল সম্পদ হয়েছে তখন জমিদার লোভে পড়ে যায়।তখন জমিদার পত্তন দিতে গড়িমসি করেন। তখন তিনি মন খারাপ করে এখান থেকে বাড়িঘর ফেলে চলে যান,আদি নিবাস ময়মনসিংহ জেলায়। পরবর্তীতে জমিদার সাহেব, তার ভুল বুঝতে পেরে, দারোগা সাহেব কে ওই জায়গাটি একদম ফ্রিতে পত্তন দিতে চাইলেন। সেজন্য জমিদার সাহেব ময়মনসিংহে দারোগা সাহেবের কাছে একজন লোক পাঠিয়ে দেন। তখন তারকার সাহেব বলেছিল যে থু থু আমি ফেলে দিয়েছি সেই থুতু আর আমি জিভ দিয়ে চেটে নেবো না। আপনি জমিদার সাহেব কে গিয়ে বলবেন আমি যেহেতু বাগানটি খুব যত্ন সহকারে বড় করেছি, তো আমার একটি অনুরোধ , উনি যেন বাগানটি কাউকে না দিয়ে দেন। বাগানটি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত অবস্থায় রেখে দেক , যাতে ওই এলাকার পশুপাখি ও লোকজন খেয়ে আমার জন্য মঙ্গল কামনা করতে পারে। এবং আমার নাম করতে পারে। তখন থেকেই বাগানটির নাম করুন হয়েছে দারোগার বাগান।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: