৬০ গম্বুজ মসজিদ বাগেরহাট | Sixty Dome Mosque Bagerhat | One Day Tour Bagerhat | বাগেরহাট |
Автор: Tungsten Siyam
Загружено: 2024-09-06
Просмотров: 62
৬০ গম্বুজ মসজিদ বাগেরহাট | Sixty Dome Mosque Bagerhat | One Day Tour Bagerhat | বাগেরহাট |
ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি নেই। তাই এটি কে নির্মাণ করেছিলেন বা কোন সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল সে সম্বন্ধে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী দেখলে এটি যে পীর খান জাহান আলী নির্মাণ করেছিলেন সে সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ থাকে না। ধারণা করা হয় তিনি ১৫শ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন। এ মসজিদটি বহু বছর ধরে ও বহু অর্থ খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল। পাথরগুলো আনা হয়েছিল রাজমহল থেকে। এটি বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের একটির মধ্যে অবস্থিত; বাগেরহাট শহরটিকেই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো এই সম্মান প্রদান করে।
*মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের এক অনুপম নিদর্শন ষাট গম্বুজ মসজিদ*
পিরোজপুর-রূপসা মহাসড়কের পাশে খানজাহান আলী (রহ.) মাজার শরীফ থেকে প্রায় দেড় মাইল উত্তর-পশ্চিম দিকে সুন্দরঘোনা গ্রামে মসজিদটি অবস্থিত। বাংলাদেশে এত বড় ঐতিহাসিক মসজিদ আর নেই। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১৬০ ফুট এবং প্রস্থ ১০৮ ফুট। পূর্ব-পশ্চিমে ৭টা করে ১১টি সারিতে মোট ৭৭টি গম্বুজ রয়েছে। এর মধ্যে মাঝের এক সারিতে ৭ গম্বুজের উপরিভাগ চৌকোণা, বাকি ৭০টির উপরিভাগ গোলাকার। মসজিদের ভেতরে পূর্ব-পশ্চিমে ১০টি সারিতে ৬টা করে মোট ৬০টি স্তম্ভ রয়েছে। স্থানীয় লবণাক্ত জলবায়ুর প্রভাবে যাতে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে কারণে মসজিদের স্তম্ভের নিচে ৪ ফুট পর্যন্ত চারপাশে পাথরের আস্তরণ দেয়া হয়েছে। এ মসজিদে প্রায় আড়াই হাজার লোক এক সঙ্গে নামায পড়তে পারে। ৪ কোণে ৪টি গম্বুজসহ ৮১টি গম্বুজ থাকা সত্ত্বেও নাম ষাট গম্বুজ হলো কেন? প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। ছাদ গম্বুজ দিয়ে তৈরি সে কারণেই ছাদ থেকে ‘ষাট গম্বুজ'; আবার কারো মতে, ৭টি সারিতে গম্বুজ এ থেকে ‘ষাট গম্বুজ' হতে পারে। মসজিদের চারপাশে বেষ্টক প্রাচীর ছিল। পূর্ব দিকে ছিল প্রবেশ তোরণ। তোরণের দু'পাশের দু'টি কক্ষ ছিল কিন্তু এখন তার কোন অস্তিত্ব নেই। চারপাশে নতুন করে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। এটি শুধু মসজিদ ছিল না, খানজাহান (রহ.) এর দরবার হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। এখান থেকেই তৎকালীন দক্ষিণাঞ্চলীয় স্বাধীন-সার্বভৌম ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র হাবেলী পরগণা বা খলিফাতাবাদ রাষ্ট্র পরিচালনা করা হতো। ।১৯৯৩ সালে এখানে জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। জাদুঘরে ২৮টি গ্যালারি রয়েছে। এখানে খানজাহান (রহ.)- এর আমলের শতাধিক নিদর্শন সংরক্ষিত আছে। ঐ সময়কার রূপার মুদ্রার একটি বাক্স এখানে সংরক্ষিত রয়েছে।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: