বেলস পালসি কি? লক্ষন ও চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
Автор: Neurosurgeon Humayun Rashid
Загружено: 2025-02-13
Просмотров: 57
বেলস পালসি কি?
বেলস পালসি মুখের পেশির প্যারালাইসিস যার ফলে মুখ বেকিয়ে যায়। আমাদের মস্তিষ্ক থেকে আসা ৭ নম্বর ক্রেনিয়াল নার্ভের নাম ফেসিয়াল নার্ভ, যা মুখের পেশির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন এটি আংশিক অথবা পুরোপুরি ভাবে প্যারালাইজড হয়ে যায়, তখন মুখের ঐ অংশটাকে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস অথবা বেলস পালসি বলা হয়ে থাকে।
গবেষণায় দেখা যায় প্রতি ১লক্ষ মানুষের মধ্যে ১৫-২০ জনের হয়ে থাকে। পুরুষ ও মহিলা উভয়ের হতে পারে তবে মহিলাদের হওয়ার প্রবনতা বেশী।আর শীত কালে বেলস পালসি বেশী হয়।
বেলস পালসি কেন হয়?
এটি সাধারনত বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে তবে এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারন হলোঃ
ঠান্ডা বা আঘাতজনিত কারন, ভাইরাস সংক্রমন, মস্তিষ্কের স্ট্রোক, মুখে টিউমার, হেড ইঞ্জুরি, মুখে অস্ত্রোপচার এর পরবর্তী জটিলতায় ও হতে পারে।
কখন বুঝবেন আপনার বেলস পালসি হয়েছে?
আপনি বেশ মাথা ব্যথা নিয়ে ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ বুঝতে পারলেন আপনার মুখটা ভার ভার লাগছে। কুলি করার সময় মুখে পানি ধরে রাখতে পারছেন না। আয়নার সামনে গিয়ে দেখলেন- মুখের একদিকে বাঁকা হয়ে গেছে। তখন বঝবেন আপনার বেলস পালসি হয়েছে।
কী কী লক্ষন দেখা দেয় এই রোগের?
• আক্রান্ত রোগীর মুখ একদিকে বাঁকা হয়ে যাওয়া
• আক্রান্ত চোখ বন্ধ না হওয়া এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া
• খাবার গিলতে ও কপাল ভাঁজ করতে কষ্ট হওয়া।
• মুখের একপাশ থেকে খাবার পড়ে যাওয়া
• মুখের পেশীর উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে মুখ ঝুলে পড়া
• তরল পদার্থ দ্বারা কুলি করতে গেলে পানি অন্য পাশে চলে যায়
• মুখের অভিব্যক্তি তৈরি করতে সমস্যা হওয়া
• দীর্ঘ সময় কথা বলতে সমস্যা হওয়া ইত্যাদি
বেলস পালসির ঝুঁকিতে কারা বেশি আছে?
গর্ভবতী মহিলা (বিশেষ করে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের সময়), ডায়াবেটিস রোগী, ফুসফুসের সংক্রমণ আছে এমন ব্যক্তি, উচ্চ রক্তচাপ ভুগছেন এমন রোগী, অতিরিক্ত মোটা ব্যক্তি, রোগটি পরিবারের কারো হয়েছিল এমন ব্যক্তি। শরীরে ভিটামিন-সি এর ঘাটতি থাকলে।
রোগীর কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে রোগীকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।
যেমন-
• ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে
• ঠান্ডা জাতীয় খাবার যেমন আইসক্রিম ও ফ্রিজের ঠাণ্ডা খাবার পরিহার করতে হবে।
• বাইরে বা রোদে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে যেন আক্রান্ত চোখে ময়লা না ঢুকতে পারে।
• রাতে ঘুমানোর সময় আক্রান্ত চোখের ওপর নরম কাপড় বা রুমাল দিয়ে রাখতে হবে যাতে কোনোকিছু চোখের মধ্যে না পড়ে।
• বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ ও ব্যয়াম করতে হবে।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: