যাত্রাবাড়ী সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন।

যাত্রাবাড়ী বাংলাদেশ রাজধানী ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত এটি একটি নিভৃত পল্লী ছিল, যা ব্রাহ্মণচিরণ মৌজার অন্তর্ভুক্ত ছিল। সময়ের সাথে সাথে, বিশেষ করে পাকিস্তান আমলের পর এলাকাটি একটি ব্যস্ত urban area-তে রূপান্তরিত হয়, যা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য পরিচিত। 

নামকরণ ও অতীত ইতিহাস

নামকরণ: 

"যাত্রাবাড়ী" নামকরণের সঠিক কারণ জানা না গেলেও, একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে এর নাম 'যাত্রা' (ভ্রমণ) এবং 'বাড়ি' (আবাসস্থল) শব্দের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে, যা ঢাকা শহরের একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে এর গুরুত্বকে নির্দেশ করে। 

১৯৫০ সাল পর্যন্ত: 

এই সময়ে যাত্রাবাড়ী একটি শান্ত পল্লী ছিল, যেখানে মূলত গ্রামের মতো পরিবেশ বিরাজ করত। 

বর্তমান চিত্র ও গুরুত্ব

আধুনিক রূপ: 

সময়ের পরিক্রমায় যাত্রাবাড়ী একটি নিভৃত পল্লী থেকে একটি বিশাল ও জনবহুল এলাকায় পরিণত হয়েছে। 

গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল: 

এটি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের সংযোগস্থলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। 

বাণিজ্য ও শিল্প: 

বর্তমানে যাত্রাবাড়ী তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু। 

উত্তর ও দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী: 

এলাকাটি এখন উত্তর যাত্রাবাড়ী এবং দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী—এই দুই ভাগে বিভক্ত। 

শিক্ষা ও প্রশাসনিক গুরুত্ব: 

যাত্রাবাড়ী থানা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রশাসনিক ইউনিট, যেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।



#Jatrabari
#যাত্রাবাড়ী
#যাত্রাবাড়ীরইতিহাস
#যাত্রাবাড়ীথানা