আমার জন্মভিটায় "হরে কৃষ্ণ হরে রাম", কিন্তু কেন? Char Chenga,
Автор: Boni Amin
Загружено: 2021-04-03
Просмотров: 210494
বনি আমিনের কথা
- - - - - - - - - - - - -
সকল শ্রোতা ও দর্শকদের প্রতি: ঘরটির মূল্য বিষয়ে ত্রুটি সংশোধনঃ ঘরের দাম বিষয়ে ভিডিওতে উল্লেখিত টাকার অংক ভুল ছিলো। পুরো ঘর এবং সাথে আরো দামি আসবাবপত্র সব মিলিয়ে মোট মূল্য ছিল মাত্র পাঁচ হাজার টাকা (৫,০০০), আমার মামা মুখ ফসকে ভুল বলে ফেলেছে। বয়স্ক মানুষ, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন দয়াকরে।
জীবনে মনে হয় অনেক কিছু হারিয়েছি, তার বিনিময়ে সামান্য কিছু পেয়েছি। তাই প্রতিদিন - প্রতিমুহূর্তে আমার এই জন্মভিটার কথা মনে হয়। মাঝে মাঝে মন কেঁদে ওঠে, পৃথিবীর যে প্রান্তেই বা যে পরিবেশেই থাকিনা কেন, এই বাড়ী - এই ঘর সর্বদা আমার মানসপটে ভাসে। দক্ষিণ আমেরিকার উরুগুয়েতে আটলান্টিক সাগরের পাড়ে একবার এই বাড়ি এবং আমার জন্মদ্বীপ হাতিয়ার কথা মনে করে আমি সশব্দে কেঁদে উঠি। ভেরোনিকা সাথে ছিলো, তার স্বান্তনায় আমি নিজের আবেগটাকে সেদিন সামাল দেয়। আর্জেন্টিনা থেকে উরুগুয়ে যাবার পথে যে ফেরি জেট এর ভিডিও আছে তা দেখুন, আপনি তাতে ভিডিও কথনে আমার আর্তি শুনবেন। যারা শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান তারা হয়তো বোঝেন কেন আমি আমার ভিডিওগুলোতে আবহ সংগীত হিসেবে সর্বদা লোকগীতির বা পল্লীগীতির মিউজিক দিয়ে থাকি। ছোট্ট একটি সংশোধনঃ আমি মাত্র ক্লাস সেভেন (৭ ক্লাস) থেকে দশ ১০ ক্লাস, অর্থাৎ মাত্র চার বছর হাতিয়া টাউনে পড়েছি। তার আগে ও পরে বাকি জিন্দেগী আমার চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে। উক্ত ভিডিওটিতে আরো সামান্য কয়েকটি ভুল আছে। উপস্থাপকের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
পুনুশ্চ: অনেকে আমার বাবার বাড়ীর সংবাদ জানতে চান, তাদের প্রতি আমার উত্তরঃ আমার ঠাকুরদা অর্থাৎ আমার দাদার বাড়ীর আজ আর কোন অস্তিত্ব নেই, ১৯৫৯ তারপর ১৯৬৯ পরপর কয়েকবার নদী ভেঙ্গে কাকা - জেঠারা সকলে হাতিয়া শহরে এসে বাস গাড়েন কিন্তু বিধি বাম ১৯৮২ সনেও সেই শহর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা এমনিতেই ১৯৬২ সন থেকে স্থায়ীভাবে বাবার চাকুরীর সুবাদে চট্টগ্রাম শহরেই থাকছি, একদম শহরের বুকের মাঝখানে। পৈতৃক ভিটা নদী গর্ভে যাওয়ার কারণে এবং অতঃপর হাতিয়া টাউনে আমাদের বাসভবনটি বিলীন হওয়ার পর হাতিয়ার সাথে বস্তুত আর কোন 'বাসযোগ্য সম্পর্ক' আমাদের থাকেনি, তবে এখনো আমাদের প্রচুর পৈতৃক সম্পত্তি হাতিয়াতে আছে, সেটাই এখন হাতিয়ার সাথে আমাদের যোগসূত্রের একমাত্র কারণ। আমি ১৯৯০ সন থেকে এই অবদি মোট তিনবার হাতিয়া গিয়েছিলাম শুধুমাত্র বেড়াতে। এই তিনবারের মধ্যে একবার ২০০৪ সনে আমার মায়ের পক্ষ হয়ে আমি অস্ট্রেলিয়া থেকে হাতিয়াতে যাই আমাদের জমির বিভিন্ন চাষিদের সাথে সংক্ষিপ্ত একটি বৈঠক করার জন্যে। অথচ আমি ১৯৯২ সন থেকে বাংলাদেশে গড়ে বছরে দুইবার করে বেড়াতে যেতাম। দেশে যাওয়া মানে চট্টগ্রাম শহরের বাড়ি। পৈতৃক ভিটে নেই তবে মাতুলালয় আজো অক্ষত আছে, আর সেই স্মৃতি আমাকে আজো কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে প্রতিনিয়ত, কারণ আমার শৈশবের দেড়বছর আর স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি বছর টানা এই মাতুলালয়েই আমি কাটিয়েছিলাম - আহা কী মধুর সেই স্মৃতি। পুনরায় ধন্যবাদ সকলকে। - বনি আমিন, সিডনী
#হাতিয়া #নোয়াখালী #স্বন্দীপ #বাংলাদেশী_হিন্দু
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: