শ্রীকৃষ্ণের অভিশপ্ত দ্বারকা নগরী | শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যু ও সমুদ্রগ্রাসের অজানা সত্য |
Автор: Gopon Drishti
Загружено: 2025-12-17
Просмотров: 1408
শ্রীকৃষ্ণের অভিশপ্ত দ্বারকা নগরী | শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যু ও সমুদ্রগ্রাসের অজানা সত্য |
শ্রীকৃষ্ণের অভিশাপ, গান্ধারীর ক্রোধ ও হারিয়ে যাওয়া সোনার নগরীর রহস্য
সমুদ্রের তলায় হারিয়ে যাওয়া দ্বারকা | শ্রীকৃষ্ণের নগরী, অভিশাপ ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ
গান্ধারীর অভিশাপ কি ডুবিয়েছিল শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা? পৌরাণিক কাহিনী বনাম বিজ্ঞান
হারিয়ে যাওয়া সোনার নগরী দ্বারকা | শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যু ও সমুদ্রগ্রাসের অজানা সত্য
মিথ না ইতিহাস? শ্রীকৃষ্ণের নগরী, অভিশাপ ও সমুদ্রের নিচের রহস্য
৩৬ বছরের অভিশাপ ও দ্বারকার পতন | শ্রীকৃষ্ণের নগরী কি সত্যিই সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল?
পৌরাণিক কাহিনী থেকে আধুনিক প্রত্নতত্ত্বের চমকপ্রদ আবিষ্কার
“অভিশপ্ত সোনার নগরী”
“সমুদ্রের নিচে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা?”
“মিথ নাকি ইতিহাস?”
"#Dwarka
#LostCityOfDwarka
#ShriKrishna
#LordKrishna
#DwarkaMystery
#UnderwaterDwarka
#GandhariCurse
#Mahabharata
#HinduMythology
#IndianMythology
#AncientIndia
#MythologyVsScience
#UnderwaterCity
#SRRao
#ASI
#KrishnaStory
#YadavaDynasty
#BengaliMythology
#বাংলা_ইতিহাস
#দ্বারকা
#শ্রীকৃষ্ণ
#অভিশপ্ত_সোনার_নগরী"
বিষয়বস্তু
🔱 দ্বারকা: শ্রীকৃষ্ণের অভিশাপ ও হারিয়ে যাওয়া সোনার নগরী
স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্মিত এবং তাঁর মৃত্যুর পরই সমুদ্রের জলে তলিয়ে যাওয়া পৌরাণিক নগরী হলো দ্বারকা। এই নগরীর কাহিনী একই সাথে ধর্মীয় বিশ্বাস, কিংবদন্তী এবং আধুনিক বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের এক জটিল জাল বুনেছে।
১. পৌরাণিক পটভূমি: অভিশাপ এবং পতন
ক. মথুরা ত্যাগ ও দ্বারকা নির্মাণ
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে বধ করার পর মথুরাতেই বসবাস শুরু করেন। কিন্তু কংসের শ্বশুর, মগধরাজ জরাসন্ধ ১৮ বার মথুরা আক্রমণ করেন।জরাসন্ধের লাগাতার আক্রমণে বিরক্ত হয়ে এবং যদুবংশকে সুরক্ষিত রাখতে শ্রীকৃষ্ণ মথুরা ছেড়ে পশ্চিম দিকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সমুদ্রের দান: শ্রীকৃষ্ণ সমুদ্রদেবের কাছে বাস করার জন্য এক টুকরো জমির প্রার্থনা করেন। সমুদ্রদেব তাঁকে ১২ যোজন (প্রায় ৯৬ বর্গ কিলোমিটার) জমি দান করেন।
বিশ্বকর্মার সৃষ্টি: দেবতাদের স্থপতি বিশ্বকর্মা এই ভূমির ওপর এক অপূর্ব নগরী নির্মাণ করেন। এটি ছিল একটি সুরক্ষিত, সমৃদ্ধ এবং অত্যাধুনিক শহর, যেখানে প্রায় ৯ লক্ষ বিশাল প্রাসাদ, সোনার দরজা, উন্নত নিষ্কাশন ব্যবস্থা (ড্রেনেজ সিস্টেম), রাস্তা এবং বাগান ছিল। এই নগরীই পরিচিত হয় দ্বারকা (যা 'দ্বার' বা দরজা থেকে এসেছে) নামে।
চতুর্ধাামের অংশ: গুজরাটের জামনগর জেলায় অবস্থিত এই স্থানটি ভগবান বিষ্ণুর পবিত্র চার ধামের অন্যতম।
খ. গান্ধারীর অভিশাপ
কুরুক্ষেত্রের মহাভারত যুদ্ধের শেষে পাণ্ডবদের জয় হয়, কিন্তু কৌরব বংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। মাতা গান্ধারী, শতপুত্রের শোকে মুহ্যমান হয়ে, এই বিনাশের জন্য শ্রীকৃষ্ণকেই দায়ী করেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল, ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কৃষ্ণ যুদ্ধ বন্ধ করেননি। ক্রোধে অন্ধ হয়ে তিনি শ্রীকৃষ্ণকে অভিশাপ দেন:
"যেভাবে কৌরব বংশ ধ্বংস হয়েছে, ঠিক সেইভাবেই আজ থেকে ৩৬ বছর পর তোমার যদু বংশও ধ্বংস হয়ে যাবে।"
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হাসিমুখে এই অভিশাপ স্বীকার করে নেন।
গ. যাদব বংশের বিনাশ
ঋষির অভিশাপ: প্রচলিত অন্য একটি কাহিনী অনুসারে, একবার কৃষ্ণের পুত্র শাম্ব ও তার কয়েকজন বন্ধু ঋষিদের (বিশ্বামিত্র, নারদ, কণ্ব) সাথে মজা করার জন্য শাম্বকে মেয়েদের বেশ পরিয়ে ঋষিদের কাছে নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞেস করে যে তার গর্ভ থেকে পুত্র হবে না কন্যা। ক্রুদ্ধ ঋষিরা অভিশাপ দেন যে, এর গর্ভ থেকে লোহার এক মুশল (গদা বা লোহার টুকরো) জন্ম নেবে, যা গোটা যাদব বংশকে ধ্বংস করবে।
ধ্বংসের সূচনা: অভিশাপের ফলে একটি লোহার টুকরো বের হলে, রাজা উগ্রসেন সেটিকে ঘষে গুঁড়ো করে সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার আদেশ দেন। গুঁড়ো হওয়া অংশ জলে মিশে যায় এবং অবশিষ্ট ছোট লোহার টুকরোটুকু একটি মাছ গিলে ফেলে। সেই মাছটি পরে এক জেলের জালে ধরা পড়লে, মাছের পেট থেকে পাওয়া লোহার টুকরোটি জরা (Jara) নামের এক ব্যাধের হাতে আসে, যে তা দিয়ে একটি বিষাক্ত তীর তৈরি করে।
গৃহযুদ্ধ: এর মধ্যেই গান্ধারীর দেওয়া ৩৬ বছর পূর্ণ হয়। যাদবরা অতিরিক্ত মদ্যপান ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। একসময় তারা প্রভাস তীর্থের কাছে মত্ত অবস্থায় নিজেদের মধ্যে কলহ শুরু করে, যা এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে পরিণত হয়। এই যুদ্ধে প্রায় সমগ্র যাদব বংশ নিজেদের মধ্যে লড়াই করে ধ্বংস হয়ে যায়।
ঘ. শ্রীকৃষ্ণের তিরোধান ও দ্বারকার বিলীন হওয়া
পরিবার ও রাজ্যের এই পরিণতি দেখে শ্রীকৃষ্ণ অত্যন্ত ব্যথিত হন। তিনি দ্বারকার কাছে এক জঙ্গলে বিশ্রাম নেওয়ার সময় একটি গাছের ডালে বসে ছিলেন।
ব্যাধের ভুল: জরা নামের সেই ব্যাধ দূর থেকে শ্রীকৃষ্ণের লালচে পা দেখে হরিণের কান বলে ভুল করে এবং তার তৈরি করা বিষাক্ত তীরটি ছুড়ে মারে। তীরটি শ্রীকৃষ্ণের পায়ে বিদ্ধ হয়।
স্বর্গারোহণ: ব্যাধ জরা নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা প্রার্থনা করলে শ্রীকৃষ্ণ তাকে ক্ষমা করেন এবং এরপরই তিনি মর্তলোক ছেড়ে সশরীরে স্বর্গলোকে গমন করেন।
মহাপ্রস্থান: শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যুর খবর শুনে অর্জুন দ্বারকায় আসেন। তিনি বাসুদেবের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে অবশিষ্ট মহিলা ও শিশুদের নিয়ে দ্বারকা ত্যাগ করেন। অর্জুন যখন দ্বারকা ছেড়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই এক বিশাল ঢেউ এসে সম্পূর্ণ নগরীটিকে গ্রাস করে নেয় এবং তা চিরকালের জন্য সমুদ্রের জলে তলিয়ে যায়।
৩. উপসংহার
দ্বারকা নগরীর অনুসন্ধান ভারতে মানব সভ্যতার ইতিহাসকে মহেঞ্জোদারোর সময়কালের থেকেও বহু পূর্বে প্রসারিত করে। পৌরাণিক কাহিনী এবং আধুনিক প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের এই সমন্বয় অনেক গবেষককে এই সিদ্ধান্তে আসতে বাধ্য করেছে যে, দ্বারকা কেবল একটি মিথ নয়, বরং একসময় এটি ভারতের পশ্চিমে এক সমৃদ্ধ, উন্নত এবং ঐতিহাসিক নগরী ছিল, যা প্রকৃতির এক বিধ্বংসী ঘটনার শিকার হয়ে চিরকালের জন্য আরব সাগরের গভীরে হারিয়ে গেছে।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: