বিহারের জয়, কিন্তু বাংলা নয়-কেন সম্ভব নয় সেই সাফল্য? সাতটি বড় কারণ।
Автор: রাজ্য রাজনীতি
Загружено: 2025-11-15
Просмотров: 25
বিহারের জয়, কিন্তু বাংলা নয়-কেন সম্ভব নয় সেই সাফল্য? সাতটি বড় কারণ।
প্রত্যেককে স্বাগত জানাই আমাদের রাজ্য রাজনীতি youtube চ্যানেলে।
প্রথমবারের জন্য দেখলে চ্যানেলটিকে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করে পাশের নোটিফিকেশন বেলটি অন করে রাখবেন।
অব কি বার, ২০০ পার"- ২০২১-এর আগে বাংলায় বিজেপির এই স্লোগান ছিল সর্বত্র। পাঁচ বছর পরে সেই স্বপ্ন সত্যি হল ঠিকই, কিন্তু বাংলায় নয়-বিহারে। নীতীশ কুমারকে মুখ করে এনডিএ ২০০-র বেশি আসন পেয়েছে, আর এই জয়ের পরই বঙ্গ বিজেপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে নতুন আত্মবিশ্বাসে।এবার প্রশ্ন-বিহারের জয় বাংলায় কোনও প্রভাব ফেলবে কি?
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বলছে, বিহারের জয় বাংলায় ন্যারেটিভ তৈরি করতে সাহায্য করলেও নির্বাচনী ফল বদলানোর মতো সরাসরি প্রভাব ফেলবে না। কারণ বাংলার ভোটারদের মনোভাব, সামাজিক বাস্তবতা, ইস্যু এবং রাজনৈতিক নকশা-সবই বিহারের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
বিহারের জয়, কিন্তু বাংলা নয়-কারণ সাতটি
বিহারের রাজনৈতিক গতিবিধির দিকে তাকালে দেখা যায়, এনডিএর সাফল্যের মূল ভিত্তি মহিলা ভোটব্যাঙ্ক, সামাজিক প্রকল্প, জাতপাতের সমীকরণ এবং অ্যান্টি-আরজেডি ন্যারেটিভ। এই চারটি স্তম্ভ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কার্যত অনুপস্থিত।
এক. মহিলা ভোট-বিহারে নীতীশ, বাংলায় মমতা
নীতীশ কুমার দীর্ঘ দুই দশক ধরে মহিলা ভোটারদের আস্থার ভিত্তি তৈরি করেছেন-আইনশৃঙ্খলা উন্নতি, সাইকেল প্রকল্প, জীবিকা দিদি, শিক্ষা, এবং সাম্প্রতিক ১০ হাজার টাকা ক্যাশ ট্রান্সফার।
ঠিক একইভাবে বাংলায় মহিলা ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি।
কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-এসব প্রকল্পে মহিলা ভোটারদের যে আস্থা তৈরি হয়েছে, তা এখনও অটুট।
মহিলা ভোট ভাঙতে না পারলে বাংলায় বিজেপির সাফল্য অসম্ভব।বিহারের জয়, কিন্তু বাংলা নয়-কেন সম্ভব নয় সেই সাফল্য? সাতটি বড় কারণ
দুই. সামাজিক প্রকল্পে লড়াইয়ে পিছিয়ে বিজেপি
বিহারে এনডিএ জিতেছে মূলত একের পর এক সরকারি সাপোর্ট স্কিম-এর কারণে।
বাংলায় সেই জায়গা বহু আগেই দখল করেছে তৃণমূল।
মমতার ৫০টির বেশি সামাজিক প্রকল্প সরাসরি মানুষের ঘরে পৌঁছয়।
বিজেপি এই জায়গায় এখনও এনগেজমেন্ট তৈরি করতে পারেনি।
তিন. SIR বিজেপির জন্য উল্টো ফল দিতে পারে
বঙ্গ বিজেপি নেতারা বলছেন, বিহারে SIR-এর প্রভাবে এনডিএ ভোট পেয়েছে।
কিন্তু বাংলায় SIR ভীতি সংখ্যালঘুদের আরও একজোট করতে পারে-যেমনটা হয়েছিল CAA-NRC ইস্যুতে।
মতুয়া, রাজবংশী এবং উদ্বাস্তু বাঙালি ভোটাররাও অসন্তোষে-যা BJP-র জন্য বড় ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করছে।
চার. সংখ্যালঘু ভোট সম্পূর্ণ মমতার দিকে
বিহারে সংখ্যালঘুরা কংগ্রেস-আরজেডিতে আস্থা হারিয়ে AIMIM-এ ভোট দিয়েছে।
কিন্তু বাংলায় সংখ্যালঘু ভোট প্রায় এককভাবে যায় তৃণমূলের দিকে।
৭০ টিরও বেশি আসনে এই ভোট সরাসরি সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারে।পাঁচ. তৃতীয় শিবিরের প্রভাব নেই বাংলায়
বিহারে AIMIM, BSP, জন সুরাজের মতো দল মিলে প্রায় ১৫% ভোট কেটেছে।
বাংলায় তেমন কোনও তৃতীয় শক্তির অস্তিত্ব নেই।
দ্বিমুখী লড়াইয়ে বিজেপির পথ আরও কঠিন।
ছয়. জাতপাতের অঙ্ক নেই বাংলায়
বিহারে যাদব-মুসলিম বনাম দলিত-মহাদলিত-বাহুবলিদের জোটের অঙ্ক কাজ করে।
বাংলায় জাতপাত ভোটব্যাঙ্কের প্রশ্নে প্রভাবহীন।
এটি বিজেপির সবচেয়ে বড় হারানো অস্ত্র।
সাত. মমতার মতো মুখ নেই বিজেপির কাছে
বিহারের ফল প্রমাণ করেছে-জনপ্রিয় মুখ ছাড়া শক্তিশালী শাসক দলকে হারানো যায় না।
বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা।
বিজেপির মুখ কে-এই প্রশ্ন এখনও দলে স্পষ্ট নয়।
এই দোটানা ২০২১-এ যেমন BJP-কে বিপদে ফেলেছে, ২০২৬-এও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বিহারের জয় কি তবু উৎসাহ দেবে?
অবশ্যই।
এনডিএর বড় জয় বিজেপি কর্মীদের উজ্জীবিত করবে, দলের ন্যারেটিভ জোরদার করবে, এবং মমতা-বিরোধী প্রচারে নতুন গতি দেবে।
কিন্তু বাংলায় ভোট জেতার জন্য এতেই হবে না।
বিহারের জয় মাটির বাস্তবতা বদলাবে না।
শেষ কথা
বিহারের জয় বাংলায় আলোড়ন তুললেও ভোটের অঙ্ক বদলাবে না।
বাংলার সমাজ-সংস্কৃতি, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, মহিলা ভোটব্যাঙ্ক, সংখ্যালঘু সমীকরণ, তৃণমূলের সংগঠন-এসবের উপর দাঁড়িয়ে থাকা বাস্তবে বিহারের মডেল সরাসরি প্রযোজ্য নয়।
বঙ্গ বিজেপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ-
সংগঠন গড়া, মুখ ঠিক করা, এবং নারী ভোটব্যাঙ্কে ঢোকার রাস্তায় বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি।
বিহারের জয় তাদের চাঙ্গা করবে ঠিকই-
কিন্তু বাংলার ভোট জিততে গেলে শুধু জয়ের উচ্ছ্বাস নয়, দরকার গভীর রাজনৈতিক প্রস্তুতি।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: