ধর্ষণ মামলায় নতুন আইনে শাস্তি ও বিচার।ধর্ষণ মামলায় ডিএনএ টেস্ট বাধ্যতামূলক নয়। যৌন নিপীড়ন।Rape
Автор: LAW TIPS BD
Загружено: 2025-05-06
Просмотров: 761
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আইনি পরামর্শ পেতে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ৫১০ টাকা বিকাশ করে পরামর্শ নিতে পারবেন। সরাসরি সাক্ষাৎ করে আইনী পরামর্শ নিতে চাইলে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ১৫৩০ টাকা বিকাশ করে সাক্ষাতের সময়সূচি জেনে নিয়ে নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যদি থাকে) নিয়ে চেম্বারে আসতে হবে। ঠিকানা: ব্যারিষ্টার দোলন এন্ড এ্যাসোসিয়েটস, প্রেস্টিজ হোমস (১ম তলা), চিটাগাং হোটেলের সামনে, সেগুনবাগিচা, ঢাকা। অথবা প্রামাণিক ল’ চেম্বার, জজ কোর্ট চত্ত্বর, কুষ্টিয়া। This Channel does not promote and encourage any illegal content, illegal activities. The aim and objects of this channel is to create a law-conscious population.
#law_tips_bd #seraj_pramanik #civil_court #divorce #shortsvideo #rapper
এখন থেকে ধর্ষণের বিচার হবে দ্রুত গতিতে। এখন থেকে ধর্ষক ও ধর্ষিতা ডিএনএ টেস্ট আর বাধ্যমূলক নয়। ন্যূনতম সময়ের ভেতর ধর্ষণ মামলার বিচার সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নতুন সংশোধনীতে মামলার তদন্ত ও বিচারের সময়সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। পূর্বে হাতেনাতে ধৃত আসামির ক্ষেত্রে তদন্তের সময়সীমা ছিল ষাট দিন। এটি কমিয়ে ত্রিশ দিনে আনা হয়েছে। অবশ্য বিশেষ পরিস্থিতিতে আদালতের নজরদারিসাপেক্ষে তদন্তের সময়সীমা বৃদ্ধির সুযোগও রাখা আছে (ধারা ১৮)। কী আছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এ সংশোধনীতে-বিস্তারিত কথা বলতে আমি---। নারী শিশু আইনের অন্যান্য অপরাধগুলোর বিচার একশত আশি দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার বিধান থাকলেও ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, অভিযোগ গঠন থেকে নব্বই কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে হবে (ধারা ২০)।
তদন্ত ও বিচার প্রলম্বনে যেসব বিষয় দায়ী, সেগুলোর বিষয়েও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেমন: আগে সবধরনের মামলায় ডিএনএ পরীক্ষা করার বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন থেকে আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিএনএ টেস্ট করবেন (ধারা ৩২ক)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত বা বিচার সম্পন্ন না হওয়ার পেছনে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ যেকোনো ‘সরকারি কর্মকর্তা’র দায় থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। পূর্বে কেবল তদন্তকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ ছিল। পলাতক আসামির অনুপস্থিতিতে বিচারের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৮৭, ৮৮ বা ৩৩৯খ ধারার দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কিংবা একটি খবরের কাগজে প্রজ্ঞাপিত আদেশ প্রচার করার কথা বলা হয়েছে (২১ ধারা)।
দূরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করতে গিয়ে মামলা যেন প্রলম্বিত না হয়, সেজন্য সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এ-ধরনের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারবে এবং এ-ব্যাপারে সরকার ট্রাইব্যুনালগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তিগত উপকরণ সরবরাহ করবে [ধারা ২৪(৪)]। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধর্ষণ মামলা নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে ট্রাইব্যুনালকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে। এ-প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল নির্দিষ্ট সময়ে মামলা নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে সুপ্রিম কোর্ট ও সরকারকে অবহিত করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে [ধারা ৩১ক উপ-ধারা (৪)]। শিশু ধর্ষণ সম্পর্কিত অপরাধ বিচারের জন্য সরকার প্রয়োজনে পৃথক ‘শিশু ধর্ষণ অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করতে পারবে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে (২৬ক ধারা)।
তবে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালগুলোতেই বিচার চলবে।
ভালবাসা থাকাকালীন জবরদস্তিহীন যৌনকর্ম ‘ধর্ষণ’ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত নয়। এধরনের যৌনকর্মের পেছনে বিশেষ কোনো প্রলোভন থাকলে সেটিকে বড়জোর ‘অপরাধমূলক বা প্রতারণামূলক যৌনকর্ম’ বলা যেতে পারে। সংশোধিত আইনে এই অপরাধকে বলা হয়েছে: ‘আস্থাভাজন সম্পর্ক থাকাকালে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে বলপ্রয়োগহীন যৌনকর্ম’। প্রকৃতপক্ষে এধরনের যৌনকর্ম এতদিন পর্যন্ত ‘ধর্ষণ’ হিসেবে গণ্য হয়ে আসলেও সংশোধনীর পর থেকে আর ‘ধর্ষণ’ বলে গণ্য হবে না। আমাদের সমাজে প্রণয় থাকা সত্ত্বেও শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে নারীরা সাধারণত অনিচ্ছুক থাকে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল’ করে এ-ধরনের নারীদের শারীরিক সম্পর্কে সম্পৃক্ত করার ঘটনা এখানে অহরহই ঘটে।
ফলে এটিকে অপরাধের আওতামুক্ত করার সুযোগ যেমন নেই, আবার একে ‘ধর্ষণের’ মতো মারাত্মক অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করাটাও সঠিক নয়। সংশোধিত আইনে এই ভারসাম্যটুকু আনার চেষ্টা করা হয়েছে। আর ধর্ষণের সংজ্ঞাও পরিবর্তন আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তার পুরুষাঙ্গ বা দেহের কোনো অংশ কিংবা অন্য যেকোনো বস্তু কোনো নারী বা শিশুর যোনী বা পায়ুপথ কিংবা মুখের অভ্যন্তরে প্রবিষ্ট করেন, সেটি ‘যৌনকর্ম’ হিসেবে গণ্য হবে [ধারা ২(ঞঞ)]। ধর্ষণের উদ্দেশ্য কোনো নারী বা শিশুর গোপনাঙ্গে মারাত্মক জখম করার কোনো সাজা এতদিন এই আইনে ছিল না। ৯(৪) ধারায় নতুন দফা (গ) যুক্ত করে এক্ষেত্রে মৃত্যুদ- বা যাবজ্জীবন সাজার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। কাজেই নতুন সংশোধনী বিষয়ে আরও কিছু জানতে---।

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: