কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষের
Автор: ꧁༒☬𝓢𝓣 𝓑𝓛𝓞𝓖𝓢☬༒꧂
Загружено: 2024-06-11
Просмотров: 14
কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষের
রুই কাতলা, মৃগেল, রাজপুঁটি, সিলভার কার্প ইত্যাদি চাষ লাভজনক। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এগুলো চাষ করলে ঝুঁকি কম ও খরচ কম। মাছের মিশ্র চাষ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বরং অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হবে।
কার্প জাতীয় মাছ চাষের আধুনিক কৌশল ও পুকুর ব্যবস্থাপনা
যে সব প্রজাতির মাছ রাক্ষুসে স্বভাবের নয়, খাদ্য নিয়ে প্রতিযোগীতা করেনা, জলাশয়ের বিভিন্ন স্তরে বাস করে এবং বিভিন্ন স্তরের খাবার গ্রহণ করে এসব গুণাবলীর কয়েক প্রজাতির রুইজাতীয় মাছ একই পুকুরে একত্রে চাষ করাই হল মিশ্রচাষ।আসুন জেনে নিই কার্প জাতীয় মাছ চাষের আধুনিক কৌশল ও পুকুর ব্যবস্থাপনা।
কার্প জাতীয় মাছ
কার্প জাতীয় মাছ বলতে দেশী ও বিদেশী রুই জাতীয় মাছকেই বুঝায়। আমাদের দেশে, দেশী কার্পের মধ্যে কাতলা, রুই, মৃগেল, কালিবাউশ ইত্যাদি এবং বিদেশী কার্পের মধ্যে সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, বিগহেড কার্প, ব্লাক কার্প, কমন কার্প ইত্যাদি অন্যতম।
উপরের স্তরের মাছ
কাতলা, সিলভার কার্প এবং বিগহেড জলাশয়ের উপরের স্তরের খাবার খায়। উপরের স্তরে এসব মাছ সবুজ উদ্ভিদকণা (ফাইটোপ্ল্যাংকটন) এবং প্রাণীকণা (য্যুপ্ল্যাংকটন) খেয়ে থাকে।
মধ্য স্তরের মাছ
রুই মাছ এ স্তরে থাকে এবং ক্ষুদ্র প্রাণীকণা, ক্ষুদ্র কীট, শেঁওলা প্রভৃতি খাবার খায়।
নিম্ন স্তরের মাছ
মৃগেল, কালিবাউশ, মিরর কার্প বা কার্পি্ও, ব্ল্যাক কার্প অধিকাংশ সময়েই জলাশয়ের নিম্নস্তরে বিচরন করে। তলদেশের ক্ষুদ্র কীট-পতঙ্গ, শেঁওলা, শামুক, ঝিনুক, ক্ষুদ্র উদ্ভিদকণা ও প্রাণীকণা এদের প্রধান খাবার।
সকল স্তরের মাছ
গ্রাস কার্প ও সরপুঁটি সকল স্তরেই অবস্থান করে। জলজ উদ্ভিদ, নরম ঘাস, শেঁওলা, ক্ষুদি পানা, টোপা পানা, হেলেঞ্চা, ঝাঁঝি ইত্যাদি গ্রাস কার্পের প্রধান খাবার। ক্ষুদি পানা ও টোপা পানা সরপুটির প্রধান খাবার। তাই কোন জলাশয়ের তলদেশে অধিক পরিমাণ আগাছা, ঘাস, হেলেঞ্চা প্রভৃতি জন্মালে গ্রাস কার্প ছেড়ে তা নিয়ন্ত্রন করা যায়।
কার্প জাতীয় মাছ চাষের সুবিধা
১. জলাশয়ের বিভিন্ন স্তরের খাবার খায়।
২. খাদ্য ও জায়গায় জন্য একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয় না।
৩. এরা রাক্ষুসে স্বভাবের নয়।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো।
৫. খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে বা দ্রুত বর্ধনশীল।
৬. সহজে পোনা পাওয়া যায়।
৭. স্বল্প মূল্যের সম্পূরক খাদ্য খায়।
৮. খেতে সুস্বাদু এবং বাজারে চাহিদা আছে।
৯. অর্থনৈতিক মূল্য আছে।
১০. কৃত্রিম প্রজনন দ্বারা পোনা উৎপাদন করা যায়।
চাষ পদ্ধতি
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবেশে ও উপকরণের প্রাপ্যতা, চাষীর আর্থিক অবস্থা এবং চাষীর জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে এক এক রকম পদ্ধতি গড়ে উঠেছে। যেমনঃ
ক. সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষ।
খ. আধা-নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ।
গ. নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ।
সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষ
অল্প ব্যায়ে জলাশয়ের প্রাকৃতিক খাদ্যের উপর নির্ভর যে পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হয় তাকে সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষ বলে। এ পদ্ধতিতে কম অথবা বেশি ঘনত্বে পোনা মজুদ করা হয়। পুকুরের রাক্ষুসে ও অবাঞ্চিত মাছ দূর করা হয় না। পুকুরে বাহির থেকে কোনো খাবার ও সার দেয়া হয় না। এ পদ্ধতিতে হেক্টর প্রতি উৎপাদন ও অনেক কম হয়।
আধা-নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ
বৈজ্ঞানিক নিয়মে পুকুর প্রস্তুত করে, নিয়মিত সার এবং সম্পূরক খাদ্য ব্যবহার করে, মধ্যম ঘনত্বে পোনা মজুদ করে মাছ চাষ পদ্ধতির নাম আধা-নিবিড় পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবার যাতে বেশি উৎপাদন হয় তার জন্য সার ব্যবহার করা হয়। পুকুরের বিভিন্ন স্তরে উৎপন্ন খাবার যাতে সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয় তার জন্য খাদ্যাভ্যাসের ভিত্তিতে প্রজাতি নির্বাচন করে পুকরে নির্দিষ্ট ঘনত্বে পোনা মজুদ করা হয়। এসব মাছের প্রাকৃতিক খবারের চাহিদা পূরন না হলে বাহির থেকে চাহিদা মাফিক খাবার দেয়া হয়। আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হয়।
নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ
এই পদ্ধতিতে অল্প জায়গায়, অল্প সময়ে, অধিক উৎপাদনের উদ্দেশ্যে সার ব্যবহার করে প্রাকৃতিক খদ্য বৃদ্ধি ও বাহির থেকে উন্নতমানের পরিপূর্ণ সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করে উচ্চতর ঘনত্বে পোনা মজুদ করা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রযুক্তির সর্বাধিক সুযোগ ব্যাবহার করা হয়। তাই অন্য দু’পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি ঘনত্বে পোনা মজুদ ছাড়া ও নিয়মিত পানি বদল ও বায়ু সঞ্চালনের আধুরিক ব্যবস্থা করা হয়।
পুকুরের স্থান নির্বাচন
মাছ চাষের জন্য প্রথমেই যা প্রয়োজন তা হলো পুকুর। ঠিকমত পুকুর নির্বাচন করা না হলে মাছ চাষে সমস্যা হয়, মাছ ঠিকমত বাড়েনা, মাছ চুরি হতে পারে, পোনা পরিবহনে অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে। লাভজনক চাষ করতে হলে নিচের বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবেঃ
১. পুকুরের মালিকানা নিজস্ব এবং একক হলে ভাল হয়। তবে লীজ পুকুর হলে তার মেয়াদ ৫ বছরের বেশী বা দীর্ঘ মেয়াদী হলে ভাল হয়।
২. পুকুরটি অবশ্যই বন্যামুক্ত হতে হবে।
৩. পুকুরের পানির গভীরতা ২-৩ মিটার হতে হবে।
৪. দো-আঁশ মাটি পুকুরের জন্য সবচেয়ে ভাল।
৫. পুকুরের তলার কাদার পরিমান কম হলে সবচেয়ে ভাল। তবে কোন মতেই ১০-১৫ সেঃমিঃ এর বেশি হবে না।
৬. পুকুরের পারে যেন কোন বড় গাছপালা না থাকে।
৭. পুকুরটি যেন খোলামেলা হয়। পুকুরে যেন প্রচুর আলো-বাতাস লাগে। অর্থাৎ দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা সূর্যালোক যেন পুকুরে পড়ে।
৮. পুকুর ২০-৫০ শতাংশের মধ্যে হলে ব্যবস্থাপনায় সুবিধা হয়।
৯. পুকুরের পাড়ের ঢাল ১.৫:২.০ হলে ভাল হয়।
১০. স্থান নির্বাচনের খেয়াল রাখতে হবে খুব সহজেই যেন পোনা পাওয়া যায়।
১১. পুকুর বসত বাড়ির কাছাকাছি হলে ভাল হয়। এতে পুকুরের ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যার সুবিধা হয়। মাছ চুরির ভয় থাকে না।
১২. ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নিকটে হাট-বাজার থাকলে ভাল হয়।

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: