Boxer's Battle//বক্সারের যুদ্ধ//দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস//
Автор: swapna khonj education
Загружено: 2023-08-08
Просмотров: 551
Boxer's Battle//বক্সারের যুদ্ধের কারন ও ফলাফল//দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস//#history #bengali #class ✍️#youtubevideo #education #india #viral #swapnakhonj #swapnakhonjeducation #exam #wbclass10 #wbeducation #hsc #historywbcs
এইরকম নতুন নতুন ক্লাস ভিডিও পেতে দয়া করে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন ও পাশের নটিফিকেশন বোতামটি সক্রিয় করে পাশে থাকবেন। ভিডিও ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট,শেয়ার করবেন।ধন্যবাদ।🙏
দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস
আজকের বিষয়- বক্সারের যুদ্ধের কারন ও ফলাফল আলোচনা করো।
পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজরা জয়লাভের পর বাংলার প্রকৃত ক্ষমতা পেয়ে নবাবদের হাতের পুতুলে পরিণত করে সাম্রাজ্যবাদ চালাতে থাকে। এর ফলে বাংলার নবাব ও জনগনেরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এছাড়াও বিনা শুল্কে বাণিজ্য শুরু করলে নবাবের বা বাংলায় অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়। এর ফলে 1764 খ্রিস্টাব্দে বাংলার নবাব মিরকাশিম,অযোধ্যার রাজা সুজা উদ দৌল্লা,দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম এর সাথে ইংরেজদের বক্সারের যুদ্ধ শুরু হয়।
১। বক্সারের যুদ্ধের কারন-
বক্সারের যুদ্ধের বিভিন্ন কারন ছিল,সেগুলি হলো-
ক। আর্থিক শক্তি বৃদ্ধি-
ইংরেজদের সহায়তায় মিরকাশিম সিংহাসন লাভ করলেও, মিরকাশিম সিরাজের মতো স্বাধীন চেতা মনোভাব দেখায়। তিনি ইংরেজদের কে বিভিন্ন রকম স্বর্ত চাপিয়ে বাংলার আর্থিক শক্তির বৃদ্ধির উদ্দেশ্য ও রাজস্ব আদায়ের জন্য কঠোর দমন নীতি ইংরেজদের ওপর চাপিয়ে দেন। তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারীদের বরখাস্ত করেন এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন। এর ফলে ইংরেজরা ক্ষুব্ধ হয়েছিল।
খ। রাজধানী স্থানান্তর -
প্রথমে মুর্শিদাবাদে নবাবের রাজধানী প্রতিষ্টিত হওয়ার ইংরেজরা যখন তখন নবাবের কাজে হস্তক্ষেপ করত। এই জন্য ইংরেজদের প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করার উদ্দেশ্যে মিরকাশিম মুর্শিদাবাদ থেকে রাজধানী বিহারের মুঙ্গেরে স্থানান্তর করেন। এতে ইংরেজরা ক্ষুব্ধ হয়ে।
গ। সাময়িক শক্তি বৃদ্ধি-
সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্য মিরকাশিম ইউরোপীয় তিনজন সেনাপতিকে তার সামরিক বাহিনীতে নিযুক্ত করেন। তিনি মুঙ্গেরে একটি কামান ও বন্দুকের কারখানা তৈরি করলে ইংরেজরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়।
ঘ। সামরিক শক্তি বৃদ্ধি-
সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মিরকাশিম ইউরোপীয় তিনজন সেনাপতিকে তার সামরিক বাহিনীতে নিযুক্ত করেন। তিনি মুঙ্গেরে একটি কামান ও বন্দুকের কারখানা তৈরি করলে ইংরেজরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়।
ঙ। ফরমান লাভ-
মিরকাশিম বার্ষিক 26 লক্ষ টাকার বিনিময়ে রাজস্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে নবাবি ফরমান লাভ করলে ইংরেজরা মিরকাশিম এর ওপর থেকে আস্থা হারায়।
চ। বিনা শুল্কে বাণিজ্য-
1717 খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট ফারুক শিয়ারের কাছ থেকে বাংলায় বিনা শুল্কে বাণিজ্যের অধিকার পেলে মিরকাশিম ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।
২। বক্সারের যুদ্ধের ফলাফল-
বক্সারের যুদ্ধের বেশ কয়েকটি গুরুত্ব ছিল-
ক। সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি-
ব্রিটিশ রা মনে করেছিল, পলাশী যুদ্ধের থেকে বক্সারের যুদ্ধের গুরুত্ব বেশি ছিল, কারন পলাশীর যুদ্ধে সিরাজকে বিশ্বাস ঘাতকতায় পড়তে হয়েছিল কিন্তু বক্সারের যুদ্ধে বাংলা,অযোধ্যা,দিল্লি তিনটি শক্তির কাছে ইংরেজরা জয়লাভ করে ভারতে তাদের সাম্রাজ্যের মূল ভিত্তি প্ৰতিষ্ঠা করে।
খ। শাসন ক্ষেত্রে আধিপত্য-
এই যুদ্ধে জয়লাভ এর দ্বারা ইংরেজ কোম্পানি বাংলায় চূড়ান্ত আধিপত্য প্ৰতিষ্ঠা করে। নবাব কোম্পানির হাতের পুতুলে পরিণত হয়। নবাবের কাছ থেকে বাংলার সমস্ত শাসন ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে ইংরেজরা প্রশাসনিক বা শাসন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনেন।
গ। অর্থনৈতিক আধিপত্য -
এই যুদ্ধের পর ইংরেজরা বাংলার বাণিজ্য ও অর্থনীতির ওপর একচেটিয়া আধিপত্য প্ৰতিষ্ঠা করে। এই আধিপত্যর দ্বারা ইংরেজরা অন্যান্য ইউরোপীয় বণিকদের বিতাড়িত করে নিজেরা অর্থনীতির ওপর আধিপত্য ফলাতে শুরু করে। এতে বাংলার অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।
ঘ। সাম্রাজ্যের প্রসার-
এই যুদ্ধে বাংলা ,অযোধ্যা, দিল্লির সম্রাটরা ইংরেজদের হাতে পরাজিত হলে, বাংলা তথা ভারতের পুরো শাসন ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। এর ফলে ইংরেজরা তাদের সাম্রাজ্য বাংলা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রসার ঘটায়।
ঙ। দেওয়ানি লাভ-
এই যুদ্ধের পর ইংরেজরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বার্ষিক 26 লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাংলা,বিহার,উড়িষ্যার বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার অধিকার বা দেওয়ানি লাভ করে।

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: