রাসূল (সাঃ) নাম শুনলে দরুদ পাঠ করতে হয় কিনা। আল্লামা মামুনুল হক।
Автор: Naeem The Aladdin
Загружено: 2021-02-04
Просмотров: 12852
রাসূল (সাঃ) নাম শুনলে দরুদ পাঠ করতে হয় কিনা। আল্লামা মামুনুল হক।
দরূদ বলতে ‘সালাত আলান নবী’ অর্থাৎ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি পঠিত শুভকামনা, গুণকীর্তন, তার প্রতি আল্লাহর দয়া-করুণা ও প্রার্থনাকে বোঝায়। দরূদ অতীব মর্যাদা ও সম্মানের। আরবিতে ‘সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ’ বা ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ই হলো- দরূদ।
দরূদ অর্থ শুভকামনা বা কল্যাণ প্রার্থনা। আরবি সালাত শব্দের সমার্থক দরূদ।
সালাতের মূল চারটি অর্থ। সেগুলো হলো- শুভকামনা, গুণকীর্তন, দয়া-করুণা ও ক্ষমা প্রার্থনা।
সাধারণভাবে দরূদ বলতে ‘সালাত আলান নবী’ অর্থাৎ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি পঠিত শুভকামনা, গুণকীর্তন, তার প্রতি আল্লাহর দয়া-করুণা ও প্রার্থনাকে বোঝায়। দরূদ অতীব মর্যাদা ও সম্মানের। আরবিতে ‘সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ’ বা ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ই হলো- দরূদ।
নবীর প্রতি দরূদ পড়ার নির্দেশ আল্লাহতায়ালা নিজেই দিয়েছেন। নবীর প্রতি দরূদ পড়ার অর্থই হলো- আল্লাহর আদেশের বাস্তবায়ন ও হুকুম পালন করা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালার নির্দেশ হলো, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত-দরূদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। ’ -সূরা আহজাব: ৫৬
হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরূদ পড়ার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর আস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ওপর দশবার দরূদ পাঠ করবেন। ’ –সহিহ মুসলিম: ৩৮৪
হজরত ইবনে মাসঊদ (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তি সব লোকের তুলনাঢ আমার বেশি নিকটবর্তী হবে, যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমার ওপর দরূদ পড়বে। ’ –সুনানে তিরমিজি: ৪৮৪
হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আমার কবরকে উৎসব কেন্দ্রে পরিণত করো না। তোমরা আমার প্রতি দরূদ পেশ কর। কারণ, তোমরা যেখানেই থাক, তোমাদের পেশকৃত দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়। ’ –সুনানে আবু দাউদ: ২০৪২
হজরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম শোনার পর দরূদ না পড়লে তাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদদোয়া করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম শুনে যে ব্যক্তি দরূদ পড়ে না তার জন্য হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম বদদোয়া করেছেন আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমীন বলেছেন।
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই অভিশাপ দিলেন যে, ‘সেই ব্যক্তির নাক ধূলা-ধূসরিত হোক, যার কাছে আমার নাম উল্লেখ করা হল, অথচ সে (আমার নাম শুনেও) আমার প্রতি দরূদ পড়ল না। ’ (অর্থাৎ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলল না)। -তিরমিজি: ৩৫৪৫
হজরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তি, যার কাছে আমি উল্লিখিত হলাম (আমার নাম উচ্চারিত হল), অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করল না। ’ –সুনানে তিরমিজি: ৩৫৪৬
নবীজী ( সাঃ ) এর নাম শুনলে দুরুদ
রাসূল ( সাঃ ) নামে দরুদ পাঠে নিয়ম
নবীর উপর দরুদ কিভাবে পাঠ করবো
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম‘
সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরবি
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অর্থ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফজিলত
নবীর প্রতি দরুদ ও সালাম                
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
- 
                                
Информация по загрузке: