ঋনের দায়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে ব্লাক সোলজার মাছি চাষ করে সুদিন ফিরেছে আটঘরিয়ার কৃষি উদ্যোক্তা শিমুলের
Автор: Spastobadi News
Загружено: 2025-10-26
Просмотров: 798
হাঁস চাষ করে ব্যাপক পরিমাণ ঋনের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে একদিন বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল যে তরুণের। অদম্য ইচ্ছা শক্তির বলে সেই তরুণ নতুন করে শুরু করেন ব্লাক সোলজার মাছির চাষ। পাঁচ বছরের সফলতায় প্রায় ১৬ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধ করেছেন। এ যেন হতাশায় ভরা জীবন থেকে এক তরুণ উদ্যোক্তার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
পাবনা থেকে তুহিন আব্দুল্লাহর ক্যামেরায় রবিউল রনির রিপোর্ট
পাবনার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাশন ডিজাইনে ডিপ্লোমা শেষ করে ঢাকায় চাকরি করতেন শিমুল। 'তখন থেকেই কৃষিতে নিজে কিছু করার পরিকল্পনা ছিল তার। চাকুরিতে তেমন সুবিধা করতে না পেরে চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে বাড়িতে এসে হাঁস পালন শুরু করেন। নতুন হওয়ার কারণে ১৮ লাখ টাকা ঋণের মধ্যে পড়েন এই তরুণ উদ্যোক্তা।
এর পরে ইউটিউব ভিডিও দেখে ব্লাক সোলজার চাষের আগ্রহ থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন এই মাছির খামার।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, পোকা চাষ করে নিজের ভাগ্যে বদলে ফেলেছেন পাবনার আটঘরিয়ার পারসিধাই গ্রামের যুবক শিমুল হোসেন।
‘এক সময়ে যে ছিল সবার কাছে অবহেলার পাত্র সে এখন সমাজের সবার আইডল’। পোকা চাষ করে মাত্র চার বছরে পরিশোধ করেছেন ১৬ লাখ টাকার ঋণ। নিজ এলাকা আর কক্সবাজারে গড়ে তুলেছেন আরও দুটি নতুন খামার। সব খরচ বাদে এখন মাসে তার আয় অন্তত দেড় থেকে ২ লাখ টাকা।
তরুণ এই উদ্যোক্তা বলেন, 'পোকা চাষের কারণে স্থানীয়রা এক সময় আমাকে পাগল ভাবত। কিন্তু কিছুদিন আগে আমি ভারত, নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তানে মাদার পোকা (পিউপা) রপ্তানি করেছি। উদ্যোক্তারা ওই সব দেশেও এই পোকার খামার করেছেন।
তিনি আরো বলেন.....
এবিষয়ে খামার দেখাশানা করে যে তার সাথে কথা হয়....
স্থানীয় এক কৃষক বলেন.....
শিমূলকে ঋন সহযোগিতা দেয়া এক এনজিও কর্মী সুজন বলেন
ব্লাক সোলজার কিছুটা শক্ত খোলস যুক্ত মূল পোকাগুলো একটি জালের মধ্যে, দিনের বেলায় আলো-বাতাস আসে এমন জায়গায় রাখা হয়। পোকাগুলো প্রজনন সম্পন্ন করার পর সেখানে কাঠেরস্তরের মধ্যে ডিম পাড়ে। সেই ডিম গুলো হ্যাচিং করে ফোটানোর আট থেকে ১০ দিন পর আলাদা করে অন্য জায়গায় রাখা হয়। এরপর সেখান থেকে তৈরি হয় লার্ভা।
২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এই লার্ভা গুলো দেখতে পোকার মতো হয় যা মাছ, হাঁস বা মুরগিকে খাবার হিসেবে দেয়া হয়। ২০ থেকে ৩০ দিন পর লার্ভাটি থেকে মাছিতে পরিণত হয়। একেকটি প্রাপ্ত বয়স্ক মাছির জীবনকাল হয় ৮ থেকে ১০ দিন। প্রত্যেক ব্লাক সোলজার ফ্লাই ৯০০ থেকে ১ হাজার পিউপা দিয়ে মারা যায়।
মুরগির নাড়িভুড়ি পচা বা জীবিত মাছ বা যে কোনো ধরনের নষ্ট বর্জ্য লার্ভার খাবার হিসেবে দেয়া হয়ে থাকে। ব্যাপক প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার খাওয়ালে কম খরচে মাছ ও পোল্ট্রির উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে বায়োটেকনোলজি, সার ও ভালো প্রোটিন পাওয়া যাবে। এই পোকা পরিবেশ বান্ধবও।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন
মাছ ও পোলট্রির প্রচলিত খাদ্যের বিপরীতে ব্লাক সোলজারই হবে আগামীর বিকল্প। কারণ এর পুষ্টিমান ও খরচ তুলনামূলক ভাবে কম। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রয়েছে ব্যাপক অবদান। এই পোকা ফিশারিজ ও পোল্ট্রি শিল্পের জন্য আগামীতে আশীর্বাদ হবে বলে জানান পোলট্রি বিশেষজ্ঞরা।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: