ফিতরা টাকা দিয়ে দেওয়া যাবে না। খাদ্যদ্রব্য দিয়েই দিতে হবে। নাসিম বিন আনারুল সালাফী
Автор: Wb Islamic Salafi Media
Загружено: 16 апр. 2023 г.
Просмотров: 82 просмотра
যাকাতুল ফিৎরা এবং উলামাদের উক্তি খাদ্যে দেওয়ার পক্ষে, টাকা নয় ।
১_ইমাম মালিক -রহিমাহুল্লাহ্ -
২_ ইমাম শাফেঈ - রহিমাহুল্লাহ্ -
৩_ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল - রহিমাহুল্লাহ্ -
৪_ ইমাম নববী - রহিমাহুল্লাহ্ -
৫_ইমাম ইবনু হাযম - রহিমাহুল্লাহ্ -
৬_ইমাম বাগাওয়ী- রহিমাহুল্লাহ্ -
৭_ইবনে কুদামা - রহিমাহুল্লাহ্ -
৮_ওমার ইবনু আল-হুসাইন আল-খিরাকী - রহিমাহুল্লাহ্
১০_শাইখ আলবানী - রহিমাহুল্লাহ্ -
১১_ শাইখ বিন বাজ - রহিমাহুল্লাহ্ -
১২_শাইখ সলেহ আল-উছাইমিন -রহিমাহুল্লাহ্ -
১৩_শাইখ মুকবিল আল-ওয়াদাঈ- রহিমাহুল্লাহ্ -
১৪_শাইখ সলেহ আল-লুহাইদান - রহিমাহুল্লাহ্ -
১৫_শাইখ সলেহ আল শাইখ - হাফিযাহুল্লাহ্ -
১৬_শাইখ সলেহ আল-ফাওজান - হাফিযাহুল্লাহ্
১৭_সৌদি ফতোয়া বোর্ড ।
*মুসলিমদের ঐক্যমতে সাদাকাতুল ফিতর একটি ইবাদত । অতএব তাতে রসূল ﷺ এর নির্দেশিত পথ বাদ দিয়ে অন্য পন্থা অবলম্বন করলে তা ইবাদত বলে গণ্য হবে না ।
[📗সহীহ মুসলিম ৪৩৮৫]*
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল ﷺ প্রত্যেক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, বয়স প্রাপ্ত , অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর সদকাতুল ফিতর হিসেবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতের বের হবার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
[📗বুখারী ১৫০৩]
*আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : আমরা রসূল ﷺ -এর যুগে এক 'সা' পরিমাণ খাদ্য ফিতরা হিসাবে বের করতাম । খেজুর, যব, কিসমিস, ও পনির ।
[📗বুখারী ১৫০৮]
গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত]
অধ্যায়ঃ ৫/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ)
হাদিস নম্বরঃ ৬৭৩
৩৫. সাদাকাতুল ফিতর (ফিতরা)
৬৭৩। আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে থাকা অবস্থায় আমরা (মাথাপিছু) এক সা খাবার অথবা এক সা' যব অথবা এক সা খেজুর অথবা এক সা’ কিশমিশ অথবা এক সা’ পনির (ফিত্রা হিসাবে) দান করতাম। আমরা এভাবেই দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু মুআবিয়া (রাঃ) মাদীনায় এসে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে লোকদের সাথে আলোচনা করলেন। তার আলোচনার মধ্যে একটি ছিলঃ আমি দেখছি, সিরিয়ার দুই মুদ গম এক সা খেজুরের সমান। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর লোকেরা এটাই অনুসরণ করতে লাগলো। আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, কিন্তু আমি পূর্বের মতই দিতে থাকব।
– সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮২৯); বুখারী, মুসলিম।
📌*ইমাম মালিক রহিমাহুল্লাহ্ বলেন: যাকাতুল ফিতরের জায়গায় অর্থ বা খাদ্য মূল্য নির্ধারণ করলে তা যথেষ্ট হবে না, আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে আদেশ দেন নি ।
[📗আল-মুদাওওয়ানা আল-কুবরা খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৮৫ ]*
📌*ইমাম শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ বলেন : আর ফিতরার খাদ্যমূল্য দিয়ে তা আদায় করবে না।
[📗কিতাবুল-উম, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৭২]*
📌*ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহিমাহুল্লাহ বলেন: "ফিতরার খাদ্যমূল্য প্রদান করবে না" তখন তাকে বলা হল, তারা বলে উমার বিন আব্দুল আযীয রহ: খাদ্যমূল্য গ্রহণ করতেন, তখন তিনি [ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ ] বলেন: তারা আল্লাহর রসূলের কথা পরিত্যাগ করেছে, আর তারা বলছে অমুক এটা বলেছেন? ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন রসূল ﷺ ফিতরা ফরজ করেছেন, আর আল্লাহ বলেছেন তোমরা আল্লাহর অনুগত্য করো এবং রসূলের অনুগত্য করো [সূরা নিসা ৫৯] অথচ একদল সুন্নতকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে অমুক বলেছেন আর তমুক বলেছেন।*
[[📗আল মুগনী লিইবনে কুদামা ২/ ৩৫২]]
📌*ইবনু হাযম -রহিমাহুল্লাহ - বলেন:
মূল্য মোটেই যথেষ্ট নয়, কারণ এটা সেটা নয় যা আল্লাহর রসূল ﷺ ফরজ করে দিয়েছেন ।
[📗আলমুহাল্লা খন্ড ৬ ,পৃষ্ঠা ১৩৭]
📌*ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ্ বলেন: ফুক্কাহায়ে ইযামরা মূল্য বের করাকে নাজায়েয বলেছেন*।
[📗শরহে সহীহ মুসলিম খন্ড ৭ , পৃষ্ঠা ৬০]
📌*ইমাম বাগাওয়ী - রহিমাহুল্লাহ্ - বলেন: সদকাতুল ফিতর দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের খাদ্য থেকে বের করে নিতে হবে, এবং এর মূল্য বের করা জায়েয নয়।*
[📗শারহুস-সুন্নাহ খন্ড ৬ পৃষ্ঠা ৭৩-৭৪]
📌*ওমার বিন আল-হুসাইন আল-খিরাকী - রহিমাহুল্লাহ - বলেন: (যাকাতুল ফিতরের হাদীসের স্থানে) আর যে মূল্য দিয়েছে, তার (ফিতরা) যথেষ্ট হয়নি।*
[📗আল মুগনী লিইবনে কুদামা খন্ড ৪ , পৃষ্ঠ ২৯৫]
📌*ইবনু কুদামা রহিমাহুল্লাহ বলেন:
....এবং কেননা মূল্য বের করা নুসুস (হাদীস) হতে বিচ্যুত হওয়ার কারণ, সুতরাং এটি যথেষ্ট নয়, যেন তিনি ভালোর জায়গায় খারাপকে বের করলেন।
[📗আল মুগনী লিইবনে কুদামা খন্ড ৪ , পৃষ্ঠ ২৯৭ ]
📌* শাইখ বিন বায রহিমাহুল্লাহ বলেন আমরা যা আলোচনা করলাম তা সত্যানুসন্ধানী ব্যক্তির কাছে স্পষ্ট করে দেয় যে মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা জায়েয নয় আর যে ব্যক্তি মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করে তা তাঁর পক্ষ হতে যথেষ্ট হবে না কেননা তা উল্লেখিত আদিল্লায়ে শরঈয়া বিরোধী।
[📗[মাজমুউ ফাতাওয়া খন্ড ২ ,পৃষ্ঠা ২২১]]
📌* শাইখ সলিহ আল_ফাওযান ( হাফিযাহুল্লাহ ) বলেন: মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করলে তা ( আদায় হিসেবে ) যথেষ্ট হবে না। কেননা তা নাবী ﷺ এর নির্দেশ বিরোধী। যেহেতু রাসূল ﷺ খাদ্য দ্বারা ফিতরা আদায় করতে আদেশ করেছেন। এটা [জমহুর উলামা] অধিকাংশ আলিমের মত। এটা তিন ইমাম তথা ইমাম মালিক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রাহিমাহুমুল্লাহ)'র মত। আবূ হানীফাহ (রাহিমাহুল্লাহ) অর্থ দিয়ে আদায় করা জায়েজ বলেছেন। কিন্তু এটা সুস্পষ্ট (নস) দলিলের বিরোধী এবং সুস্পষ্ট দলিলের সাথে ইজতিহাদ।
আর সুস্পষ্ট দলিলের বিদ্যমানতায় ইজতিহাদ জায়েয নয়। তারপর তিনি ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ এর ঐ উল্লিখিত কথা উল্লেখ করার পর বলেন
"সুতরাং সুস্পষ্ট দলিল অনুযায়ী আমল করা ওয়াজিব।"
[📗শারহু যাদিল মুস্তাকনি, খণ্ড: ২ পৃষ্ঠা: ৩০৩-৩০৫ ]*
📌*শাইখ সলিহ আল-উসাইমীন রহিমাহুল্লাহ বলেন অর্থ দিয়ে ফিতরা দেওয়া কোন অবস্থাতেই জায়েয নয়, বরং তা খাদ্যদ্রব্য দিয়ে আদায় করতে হবে, তবে অভাবী ব্যক্তি চাইলে সে খাদ্য বিক্রি করে তার মূল্য দিয়ে উপকৃত হতে পারে।
[📗 মাজমুউল ফাতাওয়া ও রাসাইল ১৮, ২৭৭ ]

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: