পুর্ন মুসলমান হতে গেলে প্রথমে কাফের হতে হয় | মকতুবাত শরীফ | মোজাদ্দেদ আলফেসানি | Mojadded alfesani
Автор: Tariqat Darpan
Загружено: 2021-07-01
Просмотров: 1025
#সুফিবাদের_জটিল_বিষয়ের_সমাধান।
এই ধরনের আরও তথ্য জানতে এই চ্যানেলটি subscribe করে রাখুন।
মোল্লা শামস নামে একজন মুরিদ হযরত ইমামে রব্বানী মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ)-এর নিকট চিঠি লিখেছিলেন এই ভাবে যে, "শায়েখুল মাশায়েখ শায়েখ শরফ উদ্দিন ইয়াহইয়া মানেরী (রহঃ) তাঁহার রেসালা 'এরশাদুস সালেকীন' এর মধ্যে লিখেছেন, "যে পর্যন্ত কাফের না হইবে, সে পর্যন্ত মুসলমান হইবে না।" এই কথার অর্থ কি?
হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ)- বিশদভাবে এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা লিখেছিলেন।
তিনি লিখেছেন এই স্থলে কুফরের অর্থ _ তরীকত বা আধ্যাত্মিক পথের কুফর। যাহাকে মরতবায়ে জমা বা সঙ্গীভুত স্থল বলা হয়ে থাকে এবং যাহা গুপ্ততার স্থান। এই মাকামে একজন সালেক 'ইসলামের' সৌন্দর্য ও কুফরের অপকৃষ্টতার মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। বরং ইস্লমাওকে যেরুপ ভাল মনে করেন , কুফরকেও সেরুপ ভাল মনে করেন। উভয়কেই আল্লাহ্ তায়ালার আল হাদি অর্থাৎ হেদায়েত কারী নাম এবং আল মোজেল বা ভ্রস্টকারী নামের আবির্ভাবস্থল জানিয়া উভয় হইতেই সে আত্মিক অংশ প্রাপ্ত হয় ও লজ্জত গ্রহন করে।ইহা ঐ কুফর যাহার নির্দেশ মনসুর বিন হাল্লাজ দিয়েছিলেন এবং তিনি ইহার মধ্যেই ছিলেন ও ইহাতেই তাঁহার ইন্তেকাল হইয়াছে। তিনি বলেছিলেন,
আল্লাহ্র দ্বীনের প্রতি করিনু কুফর
ইহা যে অবশ্য ওয়াজিব আমার উপর।
মন্দ করে, এই কুফরে মুসলিম সবাই
আমার নিকট কিন্তু কর্তব্য ইহাই।।
অমূলক বাক্য সমুহ , যেমন _ 'আনাল হক' ( আমি আল্লাহ্ ) , ছোবহানী ( আমি পবিত্র জাত) কিংবা আমার বস্ত্রের মধ্যে আল্লাহ্ ব্যাতীত অন্য কিছু নাই ইত্যাদি। এই বাক্য সমুহ উক্ত জমা মর্তবার বৃক্ষের ফল স্বরূপ। যাহার উৎপত্তি প্রকৃত মাহবুব বা প্রিয় বস্তুর ভালবাসার প্রাবল্য হইতে হইয়া থাকে। অর্থাৎ প্রিয় বস্তু ব্যাতীত অন্য সকল বস্তু তাহার দৃষ্টি হইতে অন্তর্হিত হইয়া যায় ও প্রিয় বস্তু ব্যাতীত অন্য কোন কিছুর তাহার দৃষ্টি গোচর হয় না।ইহা 'জহল' বা অজ্ঞতা এবং 'হায়রত' বা অস্থিরতার মাকাম। কিন্তু এই অজ্ঞতা ও অস্থিরতা প্রশংসনীয়।
আল্লাহ্ তায়ালার অনুগ্রহে যখন একজন সালেক এই মাকাম থেকে উন্নতিলাভ করে এবং উপরের মাকামে সয়ের বা ভ্রমন করে এবং এই অজ্ঞতার সহিত এলেম বা জ্ঞান সম্মিলিত হয় ও এই অস্থিরতার সহিত পরিচয়প্রাপ্তি ঘটে এবং উভয়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে ও মত্ততা হইতে সংজ্ঞায় আগমন করে ; তখন প্রকৃত ইসলামের সৌভাগ্য প্রকাশ পায় ও প্রকৃত ঈমান লাভ হয়। এবং এই 'ইসলাম' ও 'ঈমান' বিনষ্ট ও ধ্বংস হইতে সুরক্ষিত এবং কুফর হইতে নিশ্চিন্ত। দোয়া মাছুরায় আমরা যেমন দোয়া করি, " হে আল্লাহ্ আমি আপনার নিকট এমন ঈমান প্রার্থনা করতেছিযে, যার পরে কুফর নাই" " ইহাই সেই ঈমান যা ধ্বংস হইতে রক্ষিত।" এইরুপ ঈমানধারীদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন, " নিশ্চয়ই আল্লাহ্র অলীগণের কোন ভয় নাই এবং তাঁহারা দুঃখিত হইবেন না।" (আল কোরআন)
আল্লাহ্র নৈকট্য বা বেলায়েত ব্যাতীত প্রকৃত ঈমান লাভ হয় না।
সুতরাং শায়খ ইয়াহইয়া মানেরী (রহঃ)-এর বক্তব্য সঠিক প্রমানিত হইল।তিনি বলেছিলেন, "যতক্ষন তরীকার কুফরের সহিত সম্মিলিত না হইবে ততক্ষন প্রকৃত ইসলাম লাভ হইবে না।"
মকতুবাত শরীফ, ৩য় খন্ড পঞ্চম ভাগ, ৩৩ নং মকতুব
লেখক: মোজাদ্দেদ আলফেসানি রহ
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: