Ganit : বৈদিক ঋষি ও আধুনিক গণিত বিজ্ঞান
Автор: Vedic Siddhant
Загружено: 2020-06-16
Просмотров: 95
আজকের বিষয় বৈদিক ঋষি ও আধুনিক গণিত বিজ্ঞান
অনেক ভারতীয় ও পাশ্চত্য বিদগনের মতে ভারতে শুধুই ০ আবিষ্কার হয়েছে, এই বিষয়ে প্রচুর বিতর্ক হতেপারে কিন্তু আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে প্রমান দেব তা থেকে আপনাদের সন্দেহ আরো বেরে যাবে যে, সত্যই কি আমারা শুধুই ০ আবিষ্কার করেছিলাম নাকি এখানেও কিছু লুকোচুরি আছে ?
আগেই আমরা জেনেছি বেদে ০ থেকে ৯ ও ১০ এর উল্লেখ এবং বেদ ও মহাভারতে শ্লোক সংখ্যা তার মধ্যেই মন্ত্রের মাধ্যমে লিখে গেছেন ঋিষিগণেরা অর্থাৎ তখনও আমাদের সংখ্যা সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারনা ছিল।
এবার প্রথমেই একটি প্রসিন্ধ গাণিতিক সূত্রের আলোচনা করা যাক- পারমুডেশন ও কম্বিনেশন যেটি ১৭ শতকে ফ্রান্সে আবিষকার বলাহয় কিন্তু আচার্য পিঙ্গলের ছন্দশাস্ত্রে এর উল্লেখ ও নিওমাবলি পাওয়া যায়
খৃঃ পূঃ ২য় শতাব্দীতে ও ভাস্করাচার্য ছন্দগণিতেও এর ব্যখ্যা করেছেন এবং তার উত্তর ও দিয়েছেন, সেই শ্লোকটি দেখা যাক ।
“ পাশাঙ্কুশাহি ডমরুক কপাল শূলৈঃ খট্টাঙ্গ শক্তি শরচাপযুতৈ ভর্বন্তি।
অন্যোন্যহস্ত কলিতৈকতিমূর্ত্তি ভেদাঃ শম্ভোর্হরেরিব গদারি সরোজ শঙ্খৈঃ।।”
অর্থাৎ মহাদেবের দশহাতে যথাক্রমে রজ্জু, অংকুশ, সাপ, ডমরুক, কপাল, ত্রিশূল, খাট তরোয়াল, তীর ও ধনুক এবং হরির চারহাতে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম। মহাদেব ও হরির নিজ নিজ একহাতের জিনিষ অপর হাতে দিয়ে অদল বদল করলে কত প্রকারের মূর্ত্তি হয় ?
উত্তর – মহাদেবের মূর্ত্তি = ৩৬,২৮,৮০০ ও হরির মূর্ত্তি = ২৪
যেহেতু সেই সময়ের অনেকাংশে উদাহারণ স্বরুপ দেব-দেবী ব্যবহার করা হয়েছে তাই তাদের উপেক্ষাকরে ধার্মিক আলোচনা বানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমিরা ও তাদের অনুসরসন করে আমাদের বিজ্ঞ জনেরা। যার ফল স্বরুপ আমাদের নিজেদের দ্বারা কিছুই হয়নি, সবই তাদের থেকে এই কুন্ঠা ভরে দিলেন আমাদের বিদ্য জনেরা। এখনো অনেক ব্যক্তিকে বলতে শুনি “বিদেশে ভালো” এটা তারই ফল।
১০ সংখ্যা ধরে গণনা ও পাটিগণিত সম্পুর্ণ ভারতীয় আবিষ্কার, ঐতিহাসিক এলফিনষ্টোন তার ভারত-ইতিহাসে এই তথ্য দিয়ে বলেছেন ভারতীয়রা ১০ সংখ্যা ধরে গণনার ফলে তারা গণিতে গ্রীকদের তুলনায় উন্নত। গ্রীকে মিরিয়াড বা ১০,০০০ এর উর্ধে কোনো সংখ্যা না থাকার কারনে তারা পিছিয়ে পড়ে যেখানে আমাদের ১ থেকে পারার্ধ বা ১,০০০,০০০,০০০,০০০ পর্যন্ত উল্লেখ আছে।
বীজগণিতও ভারতে অন্য সকলের বহু আগে আনেক উন্নত সমীকরণ সমাধান হয়ে গেছিল উদাহারণ আগেই দিয়েছি। বীজগণিত কে অব্যক্তগণিত ও বীজগণিত দুই নামেই অভিহিত করাহত, অব্যক্ত গণিত অর্থাৎ অজ্ঞাত রাশির গণনা ও বীজ অর্থাৎ মূল বা কারণ। ঋণাত্বক, ধনাত্বক ও সমীকরণ এই সবই গণিতজ্ঞ ব্রহ্মগুপ্ত ৬২৮ খৃঃ লিখে গেছেন। গণিতে ৪ প্রকার বর্গ সমীকরেণর উল্লেখ আছে যথা একবর্গ (Simple Equation ), অনেকবর্গ, মধ্যমহারণ ও ভাবিত, বর্গসমীকরণে অজ্ঞাত সংখ্যা ঋণাত্বক বা ধনাত্বক দুই হতেপারে, এই সবই গণিতজ্ঞ পদ্মনাভ আবিষ্কার করেন ও ভাস্কারাচার্য আরো উন্নত করেন, অনিশ্চিত একবর্গ সমীকরন বা কুটকের সমাধান আর্যভট্টের গ্রন্থে পাওয় যায় যেটি ১৬২৪ সালে Bajel De Mazirik পুনরায় আবিষ্কার করেন ও Oylar & Lagraze উন্নিত সমাধান করেন।
আমাদের গণিতজ্ঞ আর্যভট্ট, ব্রহ্মগুপ্ত, শ্রীধর, পদ্মনাভ ও ভাষ্করাচার্য এতসব গণিতের সমাধান করেগেছেন যার বর্ণনা এইটুকু সময়ে সম্ভব নয়, একটি নাম সকলেই জানেন ভাষ্করাচার্যের লেখা লীলাবতী যেখানে পাটিগণিত ও বীজগণিত সিদ্ধান্তের সর্বশ্রেষ্ঠ দুটি বই। এছারা জ্যামিতি, ত্রিগোনোমিতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান কত কি। উপপাদ্যর একটি উদাহারন দেখা যাক, খৃঃ পূঃ ৮ম শতাব্দীর লেখা শূল্বসূত্র থেকে
সমচতুরস্রস্যাক্ষ্ণয়ারজ্জুর্দ্বিস্তাবতীং ভূমিং করোতি। অর্থাৎ - সম চতুষ্কোণের কর্ণের উপরে অঙ্কিত বর্গক্ষেত্রের আয়তন ঐ চতুষ্কোণের দ্বিগুণ।
দীর্ঘচতুরস্রস্যাক্ষ্ণয়ারজ্জুপার্শ্বোমানো তির্যঙমানোচ যৎ পৃথগ্ভূতে কুরুতস্তদুভয়ং করোতি। দীর্ঘ চতুষ্কোণের কর্ণের উপর অঙ্কিত বর্গক্ষেত্র চতুষ্কোণের পাশের ও নিচের দুই বাহুর অঙ্কিত দুইটি বর্গক্ষেত্রের সমষ্টির সমান। এই সূত্র দুটি উপপাদ্যের, বৌধায়ণের আবিষ্কৃত যিনি পিথোগোরাসের বহু পূর্বে জন্মেছিলেন কিন্তু এটি পিথোগোরাসের আবিষ্কার বলে চলে আসছে।
পৃথিবী গোলাকার এই সিদ্ধান্তও বৈদিক ঋিষিদের “কপিত্থ ফল বৎ বিশ্বম” । গোলাধ্যায় বইতে কোপার্নিকাসের ১০০০ বছর আগে তার বর্ণনা পাওয়া যায়।
পৃথিবীর আকার, ব্যাস, সূর্য হতে দুরত্ব, চদ্রমাস, সৌরমাস, মল্ মাস, মাসের নাম, সপ্তাহ, বছর, জ্যামিতি, ঘন্টা-মিনিট-সেকেন্ড ইত্যাদি নিয়ে আরো একটি ভিডিও বানব, আমাদের বৈদিক ঋিষিগণ এত কিছু লিখেছেন তা এইটুকু সময়ে সম্ভব না। সামান্য কিছু উদাহারণ সহ, পশ্চিমি সাহেবদের নাম সহ প্রমান দেওয়া থাকল।

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: