কুয়েতে আকুদ হুকুমা ভিসা কী? এবং এর সুবিধা অসুবিধা গুলো কি?

কুয়েতে সুন আকুদ হুকুমা ভিসা কি? এবং এর সুবিধা আর অসুবিধা গুলো।

আসসালামুয়ালিকুম আমি আশিকুল ইসলাম, কুয়েত থেকে বলছি, আজকে কুয়েতের ভিসা সম্পর্কে আরও একটি তথ্যমূলক ভিডিও নিয়ে আসলাম আপনাদের জন্য।

সুন আকুদ হুকুমা ১৮ নাম্বার এই ভিসা

আমরা জানি ১৮ সুন ভিসার মধ্যে বেস কয়েকটা ভিসা category রয়েছে, যার মধ্যে এই আকুদ হুকুমা ভিসাটি অন্যতম আর খুব commom, কারণ কুয়েতে কর্মরত আমাদের দেশের খুব ভাল একটা অংশ কিন্তু এই ভিসায় এসে কাজ করছেন।

এই ভিসাটি সাধারণত cleaning company, বা temporary কোন সরকারি প্রোজেক্টের হয়ে থাকে।
সুন ভিসার মধ্যে এইটাই বেশি মানুষ আসে আর এই ভিসাটাই বেশি হয় আর এই ভিসার মানুষ গুলাই বেশি ভুক্তভোগীর শিকার হয়।

এখন এই ভিসার সুবিধা আর অসুবিধার কথা বলতে বললে আমি এর অসুবিধাগুলোই বেশি বলতে পারব। যেমন উলটোদিকে সুন আহালির ভাল দিক গুলোই বেশি ছিল।

তাই কয়েকটা common অসুবিধা গুলোই বলি,

১। আপনি যেই কোম্পানি বা কাজে আসছেন আপনাকে সেই কাজেই থাকতে হবে কুয়েতে যতদিন আপনি থাকবেন। আপনি হাউল বা transfer হলেও একই category এর similar কাজের কোন কোম্পানিতে হতে পারবেন। মানে আপনি চাইলেই আপনার পেশা পরিবর্তন করতে পারবেন না।

একটি উদাহরণ দেই যেমন, আপনি এই ভিসা নিয়ে একটি কোম্পানিতে আসলেন আর আপনার কাজ দিল রাস্তা পরিষ্কার করার আর রাস্তার পাশের গাছ-পালা কাটার। এখন কোন কাজই কিন্তু ছোট্ট নয় তবে আমাদের সবারই কিন্তু স্বপ্ন থাকে ভাল হওয়ার বা বড় হওয়ার। যে আমি এখন কষ্ট করতেছি ইনশাল্লাহ সামনে আরও ভাল কিছু করব। আর এই ভিসায় এই সুযোগটাই আপনার নেই। আর এটাই আমার কাছে অনেক গুলো Downside এর মধ্যে সবচেয়ে বড় একটা Downside মনে হইছে। কারন জীবন খুবই ছোট্ট আর একটি কাজ করে সারা জীবন পার করা আমার কাছে খুবই boring idea মনে হয়।

২। কোম্পানির নেওয়া প্রোজেক্টের contract শেষ হলে কর্মীদের দেশে চলে আসতে হয় আবার অনেকেই সেখানে অবৈধ থেকে যায়, আর ধরা পরলে দেশের নাম নিচু হয়।

৩। অনেক সময় কোন কোম্পানির ভুলের কারণে কালো তালিকা ভুক্ত করে দেয়, যার জন্যে অনেক নিরাপরাধ লোক অবৈধ হয়ে যায়। আমার পরিচিত কয়েকজন এর এমন হইছিল। অনেকেই ভাল অঙ্কের টাকা দিয়ে এসে এখানে ফেঁসে যান। পরে তাঁদেরও কিন্তু অবৈধ ভাবে একটি অনিশ্চিত risk নিয়ে থাকতে হইছে।

৪। ভিসা স্থানান্তর বা transfer নিয়ে ঝামেলা হয়, যেমন অনেক সময় কোম্পানি থেকে অযৌক্তিক ভাল অঙ্কের টাকা দাবি করেন যেটা খুবই বাজে আর কষ্টকর একটা পরিস্থিতি, যারা পরেছেন তারাই বলতে পারবেন। একটি বিষয় বুঝেন, আপনার বেতনই মাত্র ১০০ টাকা বা অনেকের আরও কিছু কম বেশি হতে পারে। বেশিরভাগই একটি ভাল অঙ্কের টাকা দিয়ে ভিসা কিনে আসেন ঋণ হয়ে যা শোধ করতেই এই অল্প বেতনে অনেকের দুই দিন বছর লেগে যায় আবার বাড়িতে টাকা পাঠানো আর তার উপর আবার এত গুলো টাকা চেয়ে বসা হাউলের জন্যও। সহজ না ভাই সহজ না।

হ্যাঁ, এই ভিসার এই বিষয়গুলাই আমার কাছে খুব sad, disapointment আর খুব খারাপ মনে হইছে, মানে আমার কাছে পরামর্শ চাইলে বলব ভাই এই ভিসায় হয়ত না আসলেই ভাল হবে, বাকিটা সম্পূর্ণই আপানর ইচ্ছে।