সাতক্ষীরার দর্শনীয় নলতা রওজা শরীফ । Nalta Sharif, Kaligonj, Satkhira Travel
Автор: Dr. Mahadi The Traveler
Загружено: 2021-06-26
Просмотров: 55775
নলতা রওজা শরীফ (Nalta Sharif, Kaligonj, Satkhira) সাতক্ষীরা জেলার, কালীগঞ্জ উপজেলার পবিত্র মাজার শরীফ ও দর্শনীয় স্থান। খান বাহাদুর আহসানুল্লাহ এর স্মৃতি বিজড়িত সাতক্ষীরার দর্শনীয় নলতা রওজা শরীফ ভ্রমনে গিয়েছিলাম আমরা। নলতা রওজা শরীফ ও এর পিছনের ইতিহাস জানতে দেখুন আমাদের এই ভিডিওটি।
After visiting Debhata in Satkhira, our destination today is Kaliganj Upazila of Satkhira districts. In this upazila there is Rawza Sharif of Khan Bahadur Ahsan Ullah, the founder of the famous Ahsania Mission of Bangladesh. Let's visit this one of the places of interest in Satkhira district.
এ উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসার ঘটেছে পীর-আউলিয়া ও ধর্মপ্রচারকদের হাত ধরে, যাদের মধ্যে অন্যতম খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ। খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ ১৮৭৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুন্সী মোহাম্মদ মুফিজ উদ্দিন এবং মায়ের নাম মোছা: আমিনা বেগম। স্থানীয় স্কুলে লেখাপড়া শেষে আহসান উল্লাহ উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা যান এবং ১৮৯৫ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শনে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ছিলেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রথম মুসলিম প্রধান শিক্ষক। তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগে একজন মুসলমান হিসেবে যোগ দেন এবং সহকারী ডিরেক্টর পদ পর্যন্ত অলঙ্কৃত করেন। এছাড়াও তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনেটর ছিলেন।
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, শিক্ষা সংস্কারক ও সামজ হিতৈষী এবং বাংলাদেশের বিখ্যাত আহছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা খান বাহাদুর আহসানুল্লাহ ১৯২১ সালে আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রাখেন। ১৭৫৭ সালে পলাশি যুদ্ধে সিরাজউদ্দোলার পরাজয়ের পর ইংরেজরা এ অঞ্চলে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটানোর যে উদ্যোগ নেয় তাতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও অন্যান্যরা এগিয়ে আসলেও বাঙালী মুসলমানরা নানা ধর্মীয় কারন দেখিয়ে সেটা গ্রহন করা থেকে বিরত থেকে। অবশ্য পরবর্তীতে মুসলমানদেরকে এর ফল ভোগ করতে হয়। অন্যরা বড় বড় পদে আসীন হলেও ইংরেজী ও পাশ্চাত্য শিক্ষার অভাবে মুসলমানেরা এসব উচ্চপদের ধারের কাছেও ঘেষতে পারত না। শিক্ষাবিদ ও সমাজ হিতৈষী আহসানুল্লাহ এসব সমস্যা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেন। আর এজন্যই তিনি মুসলিম সমাজকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে দিনরাত পরিশ্রম করেন। তার উদ্যোগেই বাঙালী মুসলমানদের উচ্চশিক্ষার পথ প্রশস্ত হয়। তিনিই সর্বপ্রথম পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার রীতি বিলোপ করে শুধু রোল নম্বর লেখার রীতি প্রচলন করেন। এ রীতি প্রচলিত হলে পরীক্ষকদের পক্ষপাতিত্বের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
দর্শক খান বাহাদুর আহসানুল্লাহ মুসলিম সমাজ সংস্কারক ও ইসলাম ধর্মানুসারী হলেও তার অনেক হিন্দু ভক্তও লক্ষ্য করা যায়। খানবাহাদুর আহসান উল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সমাধিকে কেন্দ্র করে সামনের বিশাল মাঠে প্রতিবছর ৮, ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি এখানে বার্ষিক ওরস মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগীরা ছুটে আসেন এই নলতা শরীফে। এই ওরজ উপলক্ষে নলতায় মেলাও বসে। সেখানে দেশ-বিদেশের হরেক রকম জিনিস বিক্রয় করা হয়।
প্রায় ৪০ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা এই বিশাল কমপ্লেক্সের মধ্যে আছে মাজার, মসজিদ, অফিস, লাইব্রেরি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অতিথিশালা, পুকুর ও বেশকিছু উন্মুক্ত জায়গা। একটি উঁচুমাটির ঢিবির মতো দেখতে, যার চারদিকের ঢালে রয়েছে নজর কাড়া ফুলের বাগান। এ বাগানের শীর্ষে রয়েছে একটি দৃষ্টি নন্দন সমাধি সৌধ। ১৯৬৫ সালে খান বাহাদুর আহাসানুল্লাহ এহকালে ত্যাগ করলে এখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়। তবে এই অপূর্ব নির্মাণশৈলীর সমাধিসৌধটি তার মৃত্যুর পরেই তৈরি করা হয়। সমাধি সৌধে ওঠার জন্য তিন দিকে ৩টি সিঁড়ি রয়েছে। তবে দক্ষিণের সিঁড়িটি বেশ প্রশস্ত এবং আকর্ষণীয়। মোট ৯টি গম্বুজ দ্বারা সৌধটি সুশোভিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গম্বুজটি বেশ বড় এবং দর্শনীয়। প্রতি রমজানে এই নলতা শরীফ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়।
নলতা শরীফ সারাবছর সব ধরনের দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। তবে নলতা শরীফে অবস্থিত জাদুঘর সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: