আলোচিত ৫ রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড
Автор: বিস্ময় _Bishmoy
Загружено: 2020-08-22
Просмотров: 368
মানুষ হত্যা বরাবরই নিন্দনীয়। হত্যা কোনও সমস্যার সমাধান নয় বরং নতুন সংকট তৈরি করে। যার উদাহরণ বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চিলির মতো রাষ্ট্রগুলো। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে এসব দেশে অস্থিরতা ছাড়া কিছু আসেনি।
ইতিহাসের অনেক বিখ্যাত ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদই হত্যার শিকার হয়েছেন। তাদের অনেকের মধ্যে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুও ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার এসব মুক্তিকামী নেতা স্বীয় দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেইসাথে তাদের পরিচিতিও নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বব্যাপী। চলুন জেনে নিই আলোচিত এমন ৫টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আদ্যোপান্ত-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের প্রায় সব সদস্য। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড বাঙালির ইতিহাসে এক নির্মম ট্র্যাজেডি। পৃথিবীতে বহু নেতা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে এই ঘটনা একেবারে বিরল। বাঙালির অবিসংবাদিত এ নেতা বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত-নির্যাতিত জনতার মুক্তির ইতিহাসের নায়ক। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এক ভাষণের মাধ্যমে তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। বাঙালিকে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
মহাত্মা গান্ধী
পৃথিবীর সব চাইতে আলোচিত হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারতীয় নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর হত্যাকাণ্ড। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারিতে দিল্লির বিরলা ভবনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে সময় তিনি তার পরিবার এবং অনুসারীদের সাথে সন্ধ্যাকালীন পথসভা করছিলেন। সভা চলাকালীন সময়ে নাথুরাম গডসে নামের একজন হিন্দু মৌলবাদী পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই সত্যাগ্রহ আন্দোলনের এ প্রতিষ্ঠাতা মৃত্যুবরণ করেন। জানা যায়, নাথুরাম গডসে ব্রিটিশদের সহিংস কাজের বিরুদ্ধে গান্ধীর অহিংস বাণী এবং সত্যাগ্রহের বিপক্ষে ছিলেন। তাছাড়া তিনি মনে করতেন গান্ধী পাকিস্তানকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর মহাত্মা গান্ধীর এ হত্যাকারীকে আমবালা জেলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
আব্রাহাম লিংকন
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন। ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনের ফোর্ডস থিয়েটারে ‘আওয়ার আমেরিকান কাজিন’ নাটকের অভিনয় দেখছিলেন। রাত ১০টা ১৫ মিনিটে নাট্যাভিনেতা জন উইলকেস বোথ পিস্তল দিয়ে লিংকনের মাথার পেছনে গুলি করেন। প্রেসিডেন্টকে বাঁচাতে সেনা কর্মকর্তা রাথবন এগিয়ে এলে তাকেও বোথ ছুরিকাঘাত করে লাফ দিয়ে মঞ্চে উঠে যান এবং পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কনফেডারেট রাষ্ট্র তৎকালীন অস্বীকৃত উত্তর আমেরিকার সমর্থকদের ভূমিকা ছিল।
মার্টিন লুথার কিং
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গ করেছেন লুথার কিং। ১৯৫০ মধ্যবর্তী সময় থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন আমেরিকান সিভিল রাইট মুভমেন্টের নেতা। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মেমফিসে অবস্থিত লরাইন মোটেলে অবস্থান করছিলেন মার্টিন। আর মোটেলের ৩০৬ নম্বর কামরার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জেমস আর্ল রে নামের শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী যুবকের গুলিতে নিহত হন এই অধিকার কর্মী। বুলেটটি তার ডান গাল ভেদ করে স্পাইনাল কর্ড হয়ে ঘাড়ের শিরা ছিঁড়ে ফেলে। রাত ৭টা ৫ মিনিটে সেন্ট জোসেফ হাসপাতালে মারা যান কিং।
সালভাদর আলেন্দে
১৯৭০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত চিলির রাষ্ট্রপতি ছিলেন সালভাদর আলেন্দে। তিনি ছিলেন দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সমাজতন্ত্রবাদী রাষ্ট্রপতি। ১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন-সমর্থিত এক সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন আলেন্দে। সেনা ও বিমান অভিযানের পর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। আলোচিত ওই সেনা অভ্যুত্থানে মার্কিন-সমর্থিত জেনারেল আগুস্তো পিনোচেট ক্ষমতা দখল করেন। পিনোচেটের টানা ১৭ বছরের শাসনামলে দেশে তিন হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। এছাড়া তখন অসংখ্য মানুষ পিনোচেটের জেল-জুলুমের শিকার হন।

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: